Ajker Patrika

চিনি, আলু ও পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
চিনি, আলু ও পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে

ময়মনসিংহে এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিনি, আলু ও পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়লেও স্থিতিশীল আছে মাছ ও সবজির দাম। তবে পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিংয়ের কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসক।

গতকাল শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ মহানগরীর মেছুয়া বাজার, নতুন বাজার ও সানকিপাড়া বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

মেছুয়া বাজারের মো. সুরুজ আলী বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা করে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। একই সঙ্গে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে আলুর দাম।

সুরুজ আরও বলেন, দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫, দেশি আলু ৪০, হল্যান্ড আলু ৩০, দেশি আদা দ্বিগুণ বেড়ে ১২০, রসুন ৮০ ও কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।সানকিপাড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা এমদাদুল হক বলেন, নতুন বেশ কয়েক প্রকার সবজি বাজারে এসেছে। এগুলোর দাম কিছুটা বাড়তি। তবে, অন্যান্য সবজির দাম স্থিতিশীল আছে।

এমদাদুল হক বলেন, বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৬০, টমেটো ১৪০, গাজর ১২০, শিম ১৬০, কাঁচকলা হালি ৩০, মুখি কচু ৬০, মিষ্টি লাউ ৪০ টাকা কেজি, পটোল ৪০, শসা ৪০, ঢ্যাঁড়স ৫০, ছোট ফুলকপি ৩০, চিচিঙ্গা ৫০, পেঁপে ২০, মুলা ৫০, বরবটি ৬০, ছোট লাউ ৬০ ও কাঁকরোল ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

একই বাজারের আব্দুল হালিম বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। তিনি বলেন, ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩২০ এবং সাদা কক ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মেছুয়া বাজারের মাছ মহালের মাছ বিক্রেতা হোসেন আলী বলেন, মাছের দামে তেমন ওঠানামা নেই। তিনি আরও বলেন, বাটা মাছ ২০০ টাকা, গুলশা ৫০০, কাচকি ৩০০, দেশি চিংড়ি ৭০০, দেশি টেংড়া ৪০০, ছোট রুই ৩০০, কাতল ৩০০, বাউশ ৩২০, গলদা চিংড়ি ৭০০, মলা ২০০, কই ২৫০, শিং ৩৫০, তেলাপিয়া ২০০, পাঙাশ ১৭০, সিলভার কার্প ২২০, ছোট কার্প ২৫০ ও পাবদা ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

জুয়েল স্টোরের প্রোপ্রাইটর জুয়েল মিয়া বলেন, হঠাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে চিনি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৯৫ টাকা এবং খোলা ও প্যাকেট আটার দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা করে বেড়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েক প্রকার ডালের দাম বেড়েছে।

জুয়েল মিয়া আরও বলেন, খোলা আটা ৫২ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৮, ছোলা বুট ৩ টাকা বেড়ে ৭৮, দেশি মসুর ১২৫, মটর ডাল ৭০, বুটের ডাল ৮০, মুগডাল ১২৫, ভাঙা মাষকলাই ডাল ৫ টাকা ১৩৫ ও মাষকলাই ১১০ টাকা কেজিতে বেড়েছে।

নতুন বাজারের মাংস বিক্রেতা মোজাম্মেল বাবু বলেন, গরুর মাংস ৬৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

একই বাজারের ডিম বিক্রেতা কাশেম মিয়া বলেন, হাঁসের ডিমের হালি ৬৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৭০ এবং ফার্মের মুরগির ডিম ৪৬ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে কোনো কিছুর দাম কম নেই। আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের, তাদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা। ৫০০ টাকা নিয়ে এলেও বাজার শেষ করে বাসায় ফেরা যায় না।’

তাহমিনা বেগম নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে এখন শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করলেও দাম চড়া।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি অন্যান্য অধিদপ্তর নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে। অস্বাভাবিকভাবে কোনো পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হলে জরিমানা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত