Ajker Patrika

চট্টগ্রাম বন্দর: ভবন তৈরির ২ বছর আগেই কিনে রাখা হয়েছে লিফট

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২: ৪৫
Thumbnail image

চট্টগ্রাম বন্দরের আবাসিক এলাকায় ভবন নির্মাণ শেষ হওয়ার ২ বছর আগেই তিনটি লিফট কিনে রাখা হয়েছে স্টোরে। এতে অর্ধকোটি টাকার বেশি সরকারি অর্থ অপচয় হয়েছে। সরকারি অডিট দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

সরকারি জেনারেল ফিন্যান্সিয়াল রুলস ১০(১) লঙ্ঘন করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিদ্যুৎ বিভাগ ২০২২-২৩ অর্থবছরে এসব লিফট কেনে। স্টোরে দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে লিফটগুলো। 

ভবন নির্মাণ শেষ হওয়ার আগে লিফট কেনার কথা স্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকোশৗলী (বিদ্যুৎ) নাজিম উদ্দিন। পরিবহন অডিট অধিদপ্তরের কমপ্লায়েন্স অডিট ইন্সপেকশন রিপোর্টেও বিষয়টি নিয়ে আপত্তি দিয়েছে অডিট দল। অডিট দপ্তর ও বন্দর সূত্রে জানা গেছে, একটি প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম বন্দরের নার্স কলোনিতে ১০ তলা পাঁচটি ভবন নির্মাণ শুরু হয়। এর মধ্যে ৪টির কাজ শেষ হলেও একটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। 

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ভবনে এখনো পূর্ত কাজ শেষ হয়নি। তাই লিফট লাগানো হয়নি। লিফটগুলো কেনা হয়েছে এবং স্টোরে রাখা আছে। এত আগে কেন কেনা হলো, এ প্রশ্নের জবাব তিনি দেননি। 

বন্দর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, লিফট সরবরাহের জন্য ২০২১ সালের ১৪ জুলাই এক ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তিনটি লিফট সরবরাহ করে স্টোরে রাখা হয়েছে। 

বন্দর ও অডিট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ওই ভবনের মাত্র ৫৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে। অথচ দুই বছর আগেই তিনটি লিফট কিনে রাখায় সরকারের ৫১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৯৪ টাকা অপচয় হয়েছে। পরিবহন অডিট অধিদপ্তরের কমপ্লায়েন্স অডিট ইন্সপেকশন রিপোর্টেও ভবন নির্মাণ হওয়ার আগে লিফট কেনার বিষয়ে আপত্তি দিয়েছে অডিট দল। 

বন্দর ও অডিট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ সদস্যের অডিট দল চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন বিভাগ অডিট করে। অডিট দলে নেতৃত্ব দেন অডিটের উপপরিচালক মো. আব্দুর রব মিয়া। ওই দলে থাকা উপনেতা আব্দুল মালেক চট্টগ্রাম বন্দরে অডিট করার কথা স্বীকার করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. রাফিউর রহমান গত বৃহস্পতিবার বলেন, এখনো ভবনের কাজ শেষ হয়নি। তাই কেনা লিফটগুলো লাগানো যায়নি। ভবনের কাজ ৫৬ শতাংশ নয়, ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেন বন্দরের এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত