বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন পর্যটন মৌসুম। কিন্তু এ সময়ে বান্দরবানে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। আবাসিক হোটেল-রিসোর্টে করোনা টিকা সনদ বাধ্যতামূলক করেছে প্রশাসন। এতে কমে গেছে পর্যটকের সংখ্যা। ভরা মৌসুমে পর্যটক না থাকায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এর আগে তিন দিন জেলায় করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশের বেশি ছিল। তাদের অধিকাংশ জেলা সদরের বাসিন্দা।
জেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি সম্পর্কে সিভিল সার্জন অংসুই প্রু মারমা বলেন, বান্দরবানে মাস্ক পরিধানে উদাসীনতা ও ব্যাপকভাবে পর্যটক-জনসমাগমের কারণেও আক্রান্ত বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতেই শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে।
সিভিল সার্জন অংসুই প্রু মারমা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৫ জনের। এতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে ৫২ জনই সদর উপজেলার বাসিন্দা। অন্যদের মধ্যে রোয়াংছড়ি ৭, আলীকদম ৬, লামা ৪, রুমা ও নাইক্ষ্যংছড়িতে ৩ জন করে আছেন। এই সময়ের মধ্যে জেলায় করোনায় কারও মৃত্যু না হলেও রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ভর্তি হয়েছেন।
শুক্রবার সদর উপজেলার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে পর্যটকের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কম দেখা গেছে। বান্দরবান সদরের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র নীলাচলে গতকাল খুব কম দর্শনার্থী ছিল। এ ছাড়া মেঘলা, শৈলপ্রপাতেও পর্যটকের সমাগম বেশ কম ছিল।
বান্দরবান হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পর্যটন মৌসুম, তার পরও করোনার কারণে এখন জেলায় পর্যটকের সংখ্যা কম। তা ছাড়া সরকার থেকে বিধিনিষেধ থাকায় হোটেল-রিসোর্টে টিকা গ্রহণের সনদ ছাড়া কাউকে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে পর্যটকের সংখ্যা আরও কমে গেছে।
বান্দরবান হিল প্যালেস হোটেলের ম্যানেজার মো. সুমন গতকাল বলেন, স্বাভাবিকভাবে এ সময়ে বান্দরবানে হোটেল-রিসোর্টগুলো পর্যটকে ভরা থাকত, পর্যটনকেন্দ্রগুলোতেও বিপুল পর্যটকের সমাগম ঘটত। তবে গত কয়েক দিন পর্যটক তুলনামূলকভাবে কম আসায় তাঁদের কিছু কক্ষ বুকিং ছাড়াই থাকছে।
বান্দরবানের পর্যটককেন্দ্রিক পরিবহনগুলোও যাত্রী কম পাচ্ছে বলে চালক ও মালিকরা জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, স্বাভাবিক অবস্থায় যে যাত্রী পাওয়া যেত, শুক্রবার সপ্তাহের ছুটির দিনেও সেই পরিমাণ যাত্রী পাওয়া যায়নি। জিপচালক শাহ আলম বলেন, বর্তমানে বান্দরবান শহরে পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম।
এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। অভিযানের পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণ ও মাইকিং করা হচ্ছে। এতে করোনাকালে বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হতে ও প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক ব্যবহারের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রকাশিত তথ্যমতে, জেলায় মোট ১০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৭ জনের শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৪ জনই সদর উপজেলার বাসিন্দা। এতে শনাক্তের হার ছিল ৫২ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেলায় বর্তমানে করোনা রোগী রয়েছেন ৫২৫ জন। এর মধ্যে ৪০৫ জন জেলা সদরের। বাকিদের মধ্যে লামায় ৪৩, রোয়াংছড়িতে ৩০, আলীকদমে ২২, নাইক্ষ্যংছড়িতে ১৬, রুমায় ৭ ও থানচিতে ২ জন। এর মধ্যে ৮ জন হাসপাতালে ভর্তি। বাকিরা নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সিভিল সার্জন আজকের পত্রিকাকে বলেন, টিকা গ্রহণকারীদের চেয়ে টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত বেশি। এখন পর্যন্ত টিকা নেওয়া ব্যক্তি আক্রান্ত হলেও মৃত্যুঝুঁকি কম দেখা যাচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন পর্যটন মৌসুম। কিন্তু এ সময়ে বান্দরবানে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। আবাসিক হোটেল-রিসোর্টে করোনা টিকা সনদ বাধ্যতামূলক করেছে প্রশাসন। এতে কমে গেছে পর্যটকের সংখ্যা। ভরা মৌসুমে পর্যটক না থাকায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এর আগে তিন দিন জেলায় করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশের বেশি ছিল। তাদের অধিকাংশ জেলা সদরের বাসিন্দা।
জেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি সম্পর্কে সিভিল সার্জন অংসুই প্রু মারমা বলেন, বান্দরবানে মাস্ক পরিধানে উদাসীনতা ও ব্যাপকভাবে পর্যটক-জনসমাগমের কারণেও আক্রান্ত বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতেই শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে।
সিভিল সার্জন অংসুই প্রু মারমা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৫ জনের। এতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে ৫২ জনই সদর উপজেলার বাসিন্দা। অন্যদের মধ্যে রোয়াংছড়ি ৭, আলীকদম ৬, লামা ৪, রুমা ও নাইক্ষ্যংছড়িতে ৩ জন করে আছেন। এই সময়ের মধ্যে জেলায় করোনায় কারও মৃত্যু না হলেও রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ভর্তি হয়েছেন।
শুক্রবার সদর উপজেলার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে পর্যটকের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কম দেখা গেছে। বান্দরবান সদরের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র নীলাচলে গতকাল খুব কম দর্শনার্থী ছিল। এ ছাড়া মেঘলা, শৈলপ্রপাতেও পর্যটকের সমাগম বেশ কম ছিল।
বান্দরবান হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পর্যটন মৌসুম, তার পরও করোনার কারণে এখন জেলায় পর্যটকের সংখ্যা কম। তা ছাড়া সরকার থেকে বিধিনিষেধ থাকায় হোটেল-রিসোর্টে টিকা গ্রহণের সনদ ছাড়া কাউকে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে পর্যটকের সংখ্যা আরও কমে গেছে।
বান্দরবান হিল প্যালেস হোটেলের ম্যানেজার মো. সুমন গতকাল বলেন, স্বাভাবিকভাবে এ সময়ে বান্দরবানে হোটেল-রিসোর্টগুলো পর্যটকে ভরা থাকত, পর্যটনকেন্দ্রগুলোতেও বিপুল পর্যটকের সমাগম ঘটত। তবে গত কয়েক দিন পর্যটক তুলনামূলকভাবে কম আসায় তাঁদের কিছু কক্ষ বুকিং ছাড়াই থাকছে।
বান্দরবানের পর্যটককেন্দ্রিক পরিবহনগুলোও যাত্রী কম পাচ্ছে বলে চালক ও মালিকরা জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, স্বাভাবিক অবস্থায় যে যাত্রী পাওয়া যেত, শুক্রবার সপ্তাহের ছুটির দিনেও সেই পরিমাণ যাত্রী পাওয়া যায়নি। জিপচালক শাহ আলম বলেন, বর্তমানে বান্দরবান শহরে পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম।
এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। অভিযানের পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণ ও মাইকিং করা হচ্ছে। এতে করোনাকালে বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হতে ও প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক ব্যবহারের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রকাশিত তথ্যমতে, জেলায় মোট ১০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৭ জনের শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৪ জনই সদর উপজেলার বাসিন্দা। এতে শনাক্তের হার ছিল ৫২ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেলায় বর্তমানে করোনা রোগী রয়েছেন ৫২৫ জন। এর মধ্যে ৪০৫ জন জেলা সদরের। বাকিদের মধ্যে লামায় ৪৩, রোয়াংছড়িতে ৩০, আলীকদমে ২২, নাইক্ষ্যংছড়িতে ১৬, রুমায় ৭ ও থানচিতে ২ জন। এর মধ্যে ৮ জন হাসপাতালে ভর্তি। বাকিরা নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সিভিল সার্জন আজকের পত্রিকাকে বলেন, টিকা গ্রহণকারীদের চেয়ে টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত বেশি। এখন পর্যন্ত টিকা নেওয়া ব্যক্তি আক্রান্ত হলেও মৃত্যুঝুঁকি কম দেখা যাচ্ছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৯ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪