নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় কৃষকের ঘরে উঠতে শুরু করেছে আমন ধান। কিন্তু এ মৌসুমেও জেলার খুচরা বাজারে সাত থেকে দশ দিনের ব্যবধানে কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম। ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকাম থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারেও দাম বাড়িয়েছেন তাঁরা। তবে সরু ও মাঝারি জাতের চালের দাম বাড়লেও মোটা চালের দাম বাড়েনি। এ বছর ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের দাম বেড়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
গতকাল রোববার সকালে নওগাঁ শহরের খুচরা চাল বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শম্পা কাটারি জাতের যে চাল এক সপ্তাহ আগেও কেজিতে ৬০ টাকা বিক্রি হয়েছে, তা এখন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। এ ছাড়া কেজিতে তিন থেকে চার টাকা পর্যন্ত বেড়ে মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। নন-শর্টার জিরা, কাটারি, বিআর-২৮ ও ২৯ জাতের চালের দাম কেজিতে তিন টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে মোটা জাতের মধ্যে স্বর্ণা চালের দাম কিছুটা কমেছে। ধানের ভরা মৌসুমেও চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।
খুচরা বাজারে চাল কিনতে আসা উকিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা মমতাজ বেগম বলেন, ‘বাড়িতে গত রাতে চাল শেষ হয়ে গেছে। তাই আজ বাজারে চাল কিনতে এসে দেখি দাম বেড়ে গেছে। পাঁচ কেজি চাল কিনতে এসেছিলাম, দাম বেশি দেখে দুই কেজি কিনলাম। ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি চাল কিনে খাওয়া আমাদের জন্য খুব কষ্টের।’
আরেক ক্রেতা মো. মাহাবুব হোসেন বলেন, চালের শহর নওগাঁ অথচ এখানে চালের দাম বেশি। এর থেকে আর কষ্টের কী হতে পারে। সরকারের উচিত চালের দাম কমানো। আরও যদি বাড়ে তাহলে গরিবেরা ভাত পাবে না।
নওগাঁ পৌর বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী তাপস কুমার বলেন, এক সপ্তাহ থেকে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। মোকাম থেকেই খুচরা ব্যবসায়ীরা আগের চেয়ে বেশি দামে চাল কিনছেন। তাই খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে। মোকামে চাল কিনতে গেলে তাঁরা বলছেন ধানের দাম বেশি, এ জন্য চালের দাম বেড়েছে।
এদিকে পার-নওগাঁ আলুপট্টি চালের মোকামগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরু চালের (মিনিকেট ও শম্পা কাটারি) দাম বস্তাপ্রতি ২০০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিআর-২৮ ও বিআর-২৯ জাতের চাল বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মানতে নারাজ মোকামের পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, বাড়তি সুবিধা নিতে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে খুচরা ব্যবসায়ীরা।
দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইল ফারিহা রাইস মিলের মালিক ও পাইকারি ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ উদ্দিন বলেন, খুচরা ব্যবসায়ীরা নিজেরা বাড়তি সুবিধা নিতে দাম বাড়ার বিষয় প্রচার করছে। এমন অবস্থায় বাজার মনিটর করার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তা জিএম ফারুক হোসেন পাটওয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের বলেছি, একেবারে বড় বাজার, মোকাম, গুদাম মনিটর করে কেন, কোন পরিস্থিতিতে কী হচ্ছে বা উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহের পরিমাণ কী- এই বিষয়গুলো জানতে চাওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় বাজারদর বাড়ার কথা নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
নওগাঁয় কৃষকের ঘরে উঠতে শুরু করেছে আমন ধান। কিন্তু এ মৌসুমেও জেলার খুচরা বাজারে সাত থেকে দশ দিনের ব্যবধানে কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম। ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকাম থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারেও দাম বাড়িয়েছেন তাঁরা। তবে সরু ও মাঝারি জাতের চালের দাম বাড়লেও মোটা চালের দাম বাড়েনি। এ বছর ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের দাম বেড়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
গতকাল রোববার সকালে নওগাঁ শহরের খুচরা চাল বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শম্পা কাটারি জাতের যে চাল এক সপ্তাহ আগেও কেজিতে ৬০ টাকা বিক্রি হয়েছে, তা এখন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। এ ছাড়া কেজিতে তিন থেকে চার টাকা পর্যন্ত বেড়ে মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। নন-শর্টার জিরা, কাটারি, বিআর-২৮ ও ২৯ জাতের চালের দাম কেজিতে তিন টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে মোটা জাতের মধ্যে স্বর্ণা চালের দাম কিছুটা কমেছে। ধানের ভরা মৌসুমেও চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।
খুচরা বাজারে চাল কিনতে আসা উকিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা মমতাজ বেগম বলেন, ‘বাড়িতে গত রাতে চাল শেষ হয়ে গেছে। তাই আজ বাজারে চাল কিনতে এসে দেখি দাম বেড়ে গেছে। পাঁচ কেজি চাল কিনতে এসেছিলাম, দাম বেশি দেখে দুই কেজি কিনলাম। ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি চাল কিনে খাওয়া আমাদের জন্য খুব কষ্টের।’
আরেক ক্রেতা মো. মাহাবুব হোসেন বলেন, চালের শহর নওগাঁ অথচ এখানে চালের দাম বেশি। এর থেকে আর কষ্টের কী হতে পারে। সরকারের উচিত চালের দাম কমানো। আরও যদি বাড়ে তাহলে গরিবেরা ভাত পাবে না।
নওগাঁ পৌর বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী তাপস কুমার বলেন, এক সপ্তাহ থেকে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। মোকাম থেকেই খুচরা ব্যবসায়ীরা আগের চেয়ে বেশি দামে চাল কিনছেন। তাই খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে। মোকামে চাল কিনতে গেলে তাঁরা বলছেন ধানের দাম বেশি, এ জন্য চালের দাম বেড়েছে।
এদিকে পার-নওগাঁ আলুপট্টি চালের মোকামগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরু চালের (মিনিকেট ও শম্পা কাটারি) দাম বস্তাপ্রতি ২০০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিআর-২৮ ও বিআর-২৯ জাতের চাল বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মানতে নারাজ মোকামের পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, বাড়তি সুবিধা নিতে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে খুচরা ব্যবসায়ীরা।
দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইল ফারিহা রাইস মিলের মালিক ও পাইকারি ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ উদ্দিন বলেন, খুচরা ব্যবসায়ীরা নিজেরা বাড়তি সুবিধা নিতে দাম বাড়ার বিষয় প্রচার করছে। এমন অবস্থায় বাজার মনিটর করার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তা জিএম ফারুক হোসেন পাটওয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের বলেছি, একেবারে বড় বাজার, মোকাম, গুদাম মনিটর করে কেন, কোন পরিস্থিতিতে কী হচ্ছে বা উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহের পরিমাণ কী- এই বিষয়গুলো জানতে চাওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় বাজারদর বাড়ার কথা নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪