Ajker Patrika

অবৈধ পাইপলাইনে পানি নিষ্কাশনে বাধা

গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ২৮
অবৈধ পাইপলাইনে পানি নিষ্কাশনে বাধা

খুলনার ডুমুরিয়ায় শোলমারি নদীর ওপর দিয়ে আবারও পাইপ লাইন টানার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার শেখ এনায়েত করিম নামের এক বালু ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে। এতে জোয়ারের পানি নামার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এনায়েত করিমকে নদীর ওপর বসানো পাইপ লাইন সরানোর নোটিশ দিলেও তিনি সে নির্দেশ মানেননি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনা শহরের বালু ব্যবসায়ী শেখ এনায়েত করিম। তিনি বছর খানেক আগে শোলমারি নদীর তীরে একটি বালির বেড তৈরি করেন। বাল্কহেডের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী কাজিবাছা নদী থেকে উত্তোলন করা বালি এনে ওই বেডে রাখা হয়। বাল্কহেডগুলোর মাধ্যমে নিয়ে আসা বালু বেডে স্থানান্তর করার সুবিধার্থে কাজিবাছা নদী থেকে শোলমারি নদী পর্যন্ত অবৈধ পাইপলাইন স্থাপন করেন এনায়েত। পাইপলাইনটি প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রবহমান নদীর ওপর দিয়ে বালুর পাইপ লাইন স্থাপন করায় জোয়ারের সময় আসা পানি আটকে থাকছে। তা ছাড়া পাইপ লাইনের খুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা আটকে পড়ায় সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশনে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয়রা আরও জানান, তাঁদের অভিযোগ পেয়ে তিন মাস আগে দ্রুত সময়ের মধ্যে পাইপলাইন সরিয়ে নিতে এনায়েতকে নোটিশ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নোটিশ পেয়ে কিছুদিন পাইপ খুলে রাখার পর আবারও নদীতে বাঁশ ও গাছের খুঁটি পুঁতে আরও মজবুতভাবে পাইপ টেনেছেন এনায়েত।

এ প্রসঙ্গে ভদ্রা-সালতা পানি ব্যবস্থাপনা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ এনামুল হোসেন বলেন, ‘এখন বোরো মৌসুম শুরু হয়েছে। ধান চাষাবাদের উপযোগী করতে হলে বিলের পানি নামাতে হবে। ইতিমধ্যে রংপুর, শলুয়া, আড়ংঘাটা, বিলপাটেলা, মাধবকাটি, খাজুরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকেরা পানি সরানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে শোলমারি-১০ এর সব কপাট ওঠানো হয়েছে। কিন্তু গেটের মুখে এক বালু ব্যবসায়ীর পাইপ বসানোয় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’

এদিকে বালি ব্যবসায়ী শেখ এনায়েত করিম বলেন, ‘আমি এখন এলাকার বাইরে আছি। এসে দেখব।’

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড, খুলনার উপপ্রকৌশলী মো. সাঈদুর রহমান বলেন, ‘নদী প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে পাইপ লাইন স্থাপন করার কোনো সুযোগ নেই। বালু ব্যবসায়ী এনায়েত আলীকে আমরা একবার নোটিশ দিয়েছি। আদেশ অমান্য করায় এবার আমরা তাঁর বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত