Ajker Patrika

অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধ রাস্তা

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ মে ২০২২, ১২: ৫২
অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধ রাস্তা

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় থানাহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তায় অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। এতে কোথাও হাঁটুপানি, আবার কোথাও কাদা হওয়ায় চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।

চিলমারী উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত থানাহাট বাজার। এই বাজার থেকে সবুজপাড়া দুর্গামন্দির এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা তলিয়ে থাকে বৃষ্টির পানিতে।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন সড়ক থানাহাট বাজার থেকে কাশিমবাজার, বজরা, উলিপুর হয়ে কুড়িগ্রাম শহরে গিয়ে শেষ হয়েছে। সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত চিলমারী, কাশিমবাজার, মাচাবান্দা সুন্দরগঞ্জ, হরিপুরসহ লক্ষাধিক মানুষ চলাফেরা করেন। এ ছাড়া গোলাম হাবীব মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জলাবদ্ধতা পার হয়ে কলেজে যেতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির ফান্ড থেকে ইটের গুঁড়া ফেলে রাস্তার একপাশ কিছুটা উঁচু করলেও বৃষ্টিতে তা ধুয়ে গেছে। বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের জন্য একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।’

ওই কলেজের সহকারী অধ্যাপক মামুন অর রশিদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটির এমন দশা থাকলেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ফলে শিক্ষার্থীদের কলেজে আসতে সমস্যা হচ্ছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি রাস্তাটি যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়।’

কলেজশিক্ষার্থী শাম্মী, শিল্পী, রেহেনা ও জান্নাতুল ফেরদৌসি বলেন, ‘আমাদের কলেজে আসতে খুব সমস্যা হচ্ছে। রাস্তায় পানি ও কাদা থাকার কারণে পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমরা প্রতিদিন কলেজে আসতে পারি না।’

সবুজপাড়া এলাকার ধীরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ‘বাড়ি থেকে বের হলেই কাদাপানিতে হেঁটে বাজারে যেতে হচ্ছে। এতে অনেক সময় ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটে।’

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. তানভির হামিদ বলেন, ‘রাস্তার কাজের টেন্ডার হয়েছে। আমি ঠিকাদারকে চাপ দিচ্ছি দ্রুত কাজ করার জন্য। আশা করি জুনের মধ্যে শেষ হবে।’

এ বিষয়ে থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলন বলেন, ‘ড্রেনের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু কেউ জায়গা দিচ্ছে না। জায়গা দিলে ড্রেনের ব্যবস্থা করা হবে। ড্রেনটি হলে রাস্তায় পানি জমে থাকবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত