সিয়াম সাহারিয়া, নওগাঁ
পথের দুই ধারে সারি সারি তালগাছ। গাছের নিচেই বসেছে বিভিন্ন পণ্য ও হরেক রকমের তালপিঠার দোকান। তাতে থরে থরে সাজানো বাহারি পিঠা। সড়কের পাশে একটি ফাঁকা জায়গায় বসেছে সংগীতের আসর। গানের সুরে পিঠার স্বাদ নিতে মেতে উঠেছেন হাজারো মানুষ। তালের পিঠার এই উৎসব শুরু হয়েছে নওগাঁর নিয়ামতপুরে ঘুঘুডাঙা তালতলি সড়কের পাশে।
গতকাল শনিবার বিকেলে মেলার উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার। এই মেলা চলবে ৩ থেকে ৪ দিন, সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত।
উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে হাজিনগর ইউনিয়নের তালতলি মোড় থেকে ঘুঘুডাঙা মোড় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কে রয়েছে সারি সারি তালগাছ। সড়কটি দেখে মনে হবে এ যেন পটে আঁকা ছবি। জানা যায়, হাজিনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান থাকার সময় ৩৬ বছর আগে তালের চারা রোপণ করেছিলেন বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সেই তালগাছগুলো পরিচর্যা আর নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় সড়কের দুই ধারে সৌন্দর্যবর্ধন করছে এখন। চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় সাধন চন্দ্র এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতেন। সে কারণে সড়কটি ছিল তাঁর নজরদারিতে। সড়কটি আজ বরেন্দ্র অঞ্চলের দৃষ্টিকাড়া তাল সড়কে পরিণত হয়েছে।
আয়োজকেরা জানান, ১৫ থেকে ২০টি সংগঠন পিঠা উৎসবে অংশ নিয়েছে। তারা প্রায় ৩০ ধরনের তালের পিঠা এনেছে। পাকান, পুলিসহ সচরাচর যেসব পিঠা দোকানে পাওয়া যায়, সেগুলো ছাড়া রয়েছে হৃদয় হরণ, ঝিনুক পিঠা, তালের কেক, তালের ফুলঝুরি, পাখির বাসা, তালের মাংস শিঙাড়াসহ বিচিত্র সব পিঠা। পিঠার দাম ১০ থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
‘মিনা পিঠা ঘরে’র মালিক মিনা বেগম জানান, তাল দিয়ে তৈরি এমন ১৫ থেকে ২০ রকমের পিঠা নিয়ে মেলায় অংশ নিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন উৎসব আয়োজনে পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন। তবে তাল সড়কের পাশে তালের পিঠা নিয়ে এমন উৎসবে অংশ নেননি আগে।
দর্শনার্থী ইমরান হোসেন বলেন, ‘সারি সারি তালগাছের সড়কে এলে এমনিতেই হৃদয়ে একটা প্রশান্তি অনুভব হয়। এর মাঝে তাল সড়কের পাশে একসঙ্গে এত রকমের পিঠা পাওয়া যাচ্ছে! বিভিন্ন ধরনের পিঠা দেখে এবং তার স্বাদ নিতে পেরে অনেক খুশি।’
উৎসবের আয়োজক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘এবারের উৎসবে বিপুলসংখ্যক মানুষের সাড়া পেয়ে আমরা অভিভূত। দূরদূরান্ত থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হরেক রকমের পিঠা নিয়ে এখানে স্টল দিয়েছে। ঘুঘুডাঙার তাল সড়কের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে খাসজমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে গণশৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে।’ ভবিষ্যতেও এখানে পিঠা উৎসব আয়োজনের ইচ্ছে রয়েছে বলে জানান ফরিদ আহমেদ।
মেলা ঘুরে দেখার পর অনুষ্ঠানের উদ্বোধক খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামীণ সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ তালপিঠা। ঘুঘুডাঙার দৃষ্টিনন্দন তালগাছের নিচে তালপিঠা উৎসব আমাদের সেই সংস্কৃতির শিকড়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় আশির দশকে হাজিনগর-ঘুঘুডাঙা দুই কিলোমিটার
সড়কজুড়ে এই তালগাছগুলো আমি রোপণ করেছিলাম। আজ সেসব তালগাছ বড় হয়ে সড়কটিকে সৌন্দর্যময় করে তুলেছে।’
পথের দুই ধারে সারি সারি তালগাছ। গাছের নিচেই বসেছে বিভিন্ন পণ্য ও হরেক রকমের তালপিঠার দোকান। তাতে থরে থরে সাজানো বাহারি পিঠা। সড়কের পাশে একটি ফাঁকা জায়গায় বসেছে সংগীতের আসর। গানের সুরে পিঠার স্বাদ নিতে মেতে উঠেছেন হাজারো মানুষ। তালের পিঠার এই উৎসব শুরু হয়েছে নওগাঁর নিয়ামতপুরে ঘুঘুডাঙা তালতলি সড়কের পাশে।
গতকাল শনিবার বিকেলে মেলার উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার। এই মেলা চলবে ৩ থেকে ৪ দিন, সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত।
উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে হাজিনগর ইউনিয়নের তালতলি মোড় থেকে ঘুঘুডাঙা মোড় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কে রয়েছে সারি সারি তালগাছ। সড়কটি দেখে মনে হবে এ যেন পটে আঁকা ছবি। জানা যায়, হাজিনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান থাকার সময় ৩৬ বছর আগে তালের চারা রোপণ করেছিলেন বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সেই তালগাছগুলো পরিচর্যা আর নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় সড়কের দুই ধারে সৌন্দর্যবর্ধন করছে এখন। চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় সাধন চন্দ্র এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতেন। সে কারণে সড়কটি ছিল তাঁর নজরদারিতে। সড়কটি আজ বরেন্দ্র অঞ্চলের দৃষ্টিকাড়া তাল সড়কে পরিণত হয়েছে।
আয়োজকেরা জানান, ১৫ থেকে ২০টি সংগঠন পিঠা উৎসবে অংশ নিয়েছে। তারা প্রায় ৩০ ধরনের তালের পিঠা এনেছে। পাকান, পুলিসহ সচরাচর যেসব পিঠা দোকানে পাওয়া যায়, সেগুলো ছাড়া রয়েছে হৃদয় হরণ, ঝিনুক পিঠা, তালের কেক, তালের ফুলঝুরি, পাখির বাসা, তালের মাংস শিঙাড়াসহ বিচিত্র সব পিঠা। পিঠার দাম ১০ থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
‘মিনা পিঠা ঘরে’র মালিক মিনা বেগম জানান, তাল দিয়ে তৈরি এমন ১৫ থেকে ২০ রকমের পিঠা নিয়ে মেলায় অংশ নিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন উৎসব আয়োজনে পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন। তবে তাল সড়কের পাশে তালের পিঠা নিয়ে এমন উৎসবে অংশ নেননি আগে।
দর্শনার্থী ইমরান হোসেন বলেন, ‘সারি সারি তালগাছের সড়কে এলে এমনিতেই হৃদয়ে একটা প্রশান্তি অনুভব হয়। এর মাঝে তাল সড়কের পাশে একসঙ্গে এত রকমের পিঠা পাওয়া যাচ্ছে! বিভিন্ন ধরনের পিঠা দেখে এবং তার স্বাদ নিতে পেরে অনেক খুশি।’
উৎসবের আয়োজক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘এবারের উৎসবে বিপুলসংখ্যক মানুষের সাড়া পেয়ে আমরা অভিভূত। দূরদূরান্ত থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হরেক রকমের পিঠা নিয়ে এখানে স্টল দিয়েছে। ঘুঘুডাঙার তাল সড়কের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে খাসজমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে গণশৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে।’ ভবিষ্যতেও এখানে পিঠা উৎসব আয়োজনের ইচ্ছে রয়েছে বলে জানান ফরিদ আহমেদ।
মেলা ঘুরে দেখার পর অনুষ্ঠানের উদ্বোধক খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামীণ সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ তালপিঠা। ঘুঘুডাঙার দৃষ্টিনন্দন তালগাছের নিচে তালপিঠা উৎসব আমাদের সেই সংস্কৃতির শিকড়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় আশির দশকে হাজিনগর-ঘুঘুডাঙা দুই কিলোমিটার
সড়কজুড়ে এই তালগাছগুলো আমি রোপণ করেছিলাম। আজ সেসব তালগাছ বড় হয়ে সড়কটিকে সৌন্দর্যময় করে তুলেছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪