Ajker Patrika

শৌচাগারের অভাবে দুর্ভোগ

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ৩১
শৌচাগারের অভাবে দুর্ভোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার সবচেয়ে বড় বাজার হচ্ছে অরুয়াইল বাজার। ছোট-বড় মিলে ১ হাজার ৫০০ দোকান রয়েছে এই বাজারে। প্রতিদিন ৪০ গ্রামের হাজারও মানুষের সমাগম ঘটে এখানে। কিন্তু বৃহৎ এই বাজারে শৌচাগার মাত্র একটি। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সবাইকে।

অরুয়াইল-পাকশিমুল ব্রিজসংলগ্ন অরুয়াইল বাজারের উত্তর পাশে রয়েছে অটোরিকশার স্ট্যান্ড। তবে এখানও কোনো শৌচাগার ব্যবহারের সুবিধা নেই। অথচ এসব স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন শত শত যাত্রী বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। তাঁদের বাধ্য হয়ে খোলা জায়গায় প্রকৃতির কাজ সম্পন্ন করতে হয়। সবচেয়ে বেশি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় নারীযাত্রীদের। অনেক সময় নিরুপায় হয়ে স্ট্যান্ডের আশপাশের বাসাবাড়িতে যেতে হয়।

সরেজমিনে অরুয়াইল সিএনজিচালিত অটোরিকশাস্ট্যান্ডে দেখা গেছে, কয়েকজন সড়কের পাশে প্রস্রাব করছেন। সেখানে কথা হয় বাজারশ্রমিক লিটন মিয়ার (৩৮) সঙ্গে। তিনি জানান, সরকারি শৌচাগার না থাকায় বাধ্য হয়ে এমনটি করতে হচ্ছে। এ জন্য মাঝেমধ্যে গালমন্দও শুনতে হয়। এ সময় পাশে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী মামুন মিয়া জানান, শৌচাগার না থাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় সবাইকে।

অটোরিকশাস্ট্যান্ডের পাশের জমির মালিক ইঞ্জিনিয়ার হেলাল আহমেদ জানান, নিষেধ করা সত্ত্বেও অনেকে তাঁদের বাসার আশপাশের ফাঁকা জায়গায় প্রস্রাব করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী যাত্রী বলেন, সপ্তাহে দুই দিন জেলা শহরে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। গাড়ি থেকে নেমে অনেক সময় প্রাকৃতিক কর্মের প্রয়োজন হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পানি পান করা থেকে বিরত থাকতে হয়।

অরুয়াইল বাজারের সবচেয়ে বড় ওষুধ ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান বলেন, ‘শৌচাগার একটি জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ১ হাজার ৫০০-এর অধিক দোকানের বাজারে মাত্র একটি শৌচাগার। বাজার ব্যবসায়ীরা মসজিদের টয়লেটে গিয়ে প্রস্রাব-পায়খানার কাজটি সারেন।’

বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা মামুনুর রশীদ বলেন, ‘মসজিদের টয়লেট রাত-দিন খোলা থাকে। কারণ এত বড় বাজারে একটি মাত্র গণশৌচাগার। এ ছাড়া মানুষ যাবে কোথায়? তাই আমরা এলাকার মানুষের সহযোগিতায় মসজিদের পাশে আরেকটি গণশৌচাগার তৈরি করার চেষ্টা করছি।’

এ প্রসঙ্গে অরুয়াইল বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, জায়গা না থাকায় শৌচাগার নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। শৌচাগারের ব্যাপারটি মাথায় আছে, হবে ইনশা আল্লাহ।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল মকবুল হোসাইন জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই অরুয়াইল বাজারে আরেকটি গণশৌচাগার হবে। জায়গাও ঠিক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত