নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক রায়হান শরীফ তাঁর শিক্ষার্থীদের গুলি করার ভয় দেখাতেন। এমনকি গত সোমবার বিকেলে ক্লাস নেওয়ার সময় শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করার পরও তিনি হুমকি দিয়েছিলেন, যদি তাঁকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয় তবে সবাইকে গুলি করা হবে।
এদিকে শিক্ষার্থীকে গুলির ঘটনায় রায়হান শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখনকার চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা যখন তৃতীয় বর্ষে, তখন রায়হান শরীফ শিক্ষক হিসেবে আসেন। তৃতীয় বর্ষে কমিউনিটি মেডিসিন বিষয় নেই। তাই কমিউনিটি মেডিসিনের শিক্ষক শরীফের কোনো ক্লাস রুটিনে ছিল না। তবে তিনি ফরেনসিক মেডিসিন পড়াতে যেতেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের ভয় দেখাতেন। এ উৎপাত দেখে এখনকার তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাঁদের নতুন বর্ষে মাত্র দুদিন ক্লাস করেছেন। কারণ রুটিন অনুসারে তিনি সময়মতো ক্লাস নিতেন না। ফলে ভয় এবং প্রতিবাদের জায়গা থেকে শিক্ষার্থীরা তাঁর ক্লাসে যেতেন না।
কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ নিয়নের চোখের সামনেই শিক্ষক রায়হান ছাত্র আরাফাতকে গুলি করেন। আব্দুল্লাহ নিয়ন বলেন, ‘স্যার এসেই অস্ত্র দুইটা টেবিলের ওপর রেখে কথা বলতে শুরু করতেন। কখনো কখনো তিনি গুলি ছাড়া পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে ট্রিগারে চাপ দিতেন। আমরা সবাই ভীত ছিলাম এই ভেবে যে কখন কী হয়ে যায়! তারপরও আমাদের এসব সহ্য করে যেতে হয়েছে। মেয়েদের অবস্থা আরও করুণ।’
তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আল-মারুফ বলেন, ‘তাঁর (শিক্ষক শরীফ) ভয়ে সব সময় তটস্থ থাকতাম। অন্য শিক্ষকের সঙ্গে যেভাবে আমরা মনখুলে কথা বলি, অজানা বিষয় জানতে চাই, সেটা তাঁর ক্ষেত্রে কখনোই হয়নি। তাঁর কারণে যে শুধু তৃতীয় কিংবা চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত ছিলেন তা নয়, পুরো ক্যাম্পাসই আতঙ্কিত ছিল। সাধারণ কর্মচারী, ক্যানটিন মালিক এবং শিক্ষকেরাও আতঙ্কে থাকতেন।’
কলেজের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ছাত্রীদের অনেককেই মাঝরাতে ভিডিও কল দিতেন রায়হান শরীফ। ভাইভা নেওয়ার সময় কৌশলে গায়ে হাত দিতেন। ভুক্তভোগী একজন ছাত্রী বলেন, ‘আমাদের বাবা-মা কষ্ট করে এখানে টাকা দিয়ে পড়তে পাঠিয়েছেন। তাই সবকিছু সহ্য করেছি। এই শিক্ষকের উৎপাত থেকে বাঁচতে সম্ভব হলে অন্য কলেজে চলে যেতাম। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। তাই মুখ বুজে সব সহ্য করতে হয়েছে।’
এদিকে মামলায় বলা হয়েছে, শিক্ষক শরীফ ওই শিক্ষার্থীর পায়ে গুলি করার পর অস্ত্র উঁচিয়ে শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘তোরা যদি ওকে (তমালকে) চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগে নিয়ে যাস, তাহলে সবাইকে গুলি করে মেরে ফেলব।’ পরবর্তী সময়ে অন্য শিক্ষার্থীরা জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলে ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রায়হান শরীফকে আটক করে। এ সময় তাঁর ব্যবহৃত দুটি পিস্তল জব্দ করে পুলিশ।
সাময়িক বরখাস্ত, ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে শিক্ষক রায়হান শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। এই আদেশে বলা হয়, রায়হান শরীফ ফৌজদারি অপরাধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এই আদেশের পর ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা ক্লাসে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ আমিরুল হোসেন চৌধুরী।
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক রায়হান শরীফ তাঁর শিক্ষার্থীদের গুলি করার ভয় দেখাতেন। এমনকি গত সোমবার বিকেলে ক্লাস নেওয়ার সময় শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করার পরও তিনি হুমকি দিয়েছিলেন, যদি তাঁকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয় তবে সবাইকে গুলি করা হবে।
এদিকে শিক্ষার্থীকে গুলির ঘটনায় রায়হান শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখনকার চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা যখন তৃতীয় বর্ষে, তখন রায়হান শরীফ শিক্ষক হিসেবে আসেন। তৃতীয় বর্ষে কমিউনিটি মেডিসিন বিষয় নেই। তাই কমিউনিটি মেডিসিনের শিক্ষক শরীফের কোনো ক্লাস রুটিনে ছিল না। তবে তিনি ফরেনসিক মেডিসিন পড়াতে যেতেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের ভয় দেখাতেন। এ উৎপাত দেখে এখনকার তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাঁদের নতুন বর্ষে মাত্র দুদিন ক্লাস করেছেন। কারণ রুটিন অনুসারে তিনি সময়মতো ক্লাস নিতেন না। ফলে ভয় এবং প্রতিবাদের জায়গা থেকে শিক্ষার্থীরা তাঁর ক্লাসে যেতেন না।
কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ নিয়নের চোখের সামনেই শিক্ষক রায়হান ছাত্র আরাফাতকে গুলি করেন। আব্দুল্লাহ নিয়ন বলেন, ‘স্যার এসেই অস্ত্র দুইটা টেবিলের ওপর রেখে কথা বলতে শুরু করতেন। কখনো কখনো তিনি গুলি ছাড়া পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে ট্রিগারে চাপ দিতেন। আমরা সবাই ভীত ছিলাম এই ভেবে যে কখন কী হয়ে যায়! তারপরও আমাদের এসব সহ্য করে যেতে হয়েছে। মেয়েদের অবস্থা আরও করুণ।’
তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আল-মারুফ বলেন, ‘তাঁর (শিক্ষক শরীফ) ভয়ে সব সময় তটস্থ থাকতাম। অন্য শিক্ষকের সঙ্গে যেভাবে আমরা মনখুলে কথা বলি, অজানা বিষয় জানতে চাই, সেটা তাঁর ক্ষেত্রে কখনোই হয়নি। তাঁর কারণে যে শুধু তৃতীয় কিংবা চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত ছিলেন তা নয়, পুরো ক্যাম্পাসই আতঙ্কিত ছিল। সাধারণ কর্মচারী, ক্যানটিন মালিক এবং শিক্ষকেরাও আতঙ্কে থাকতেন।’
কলেজের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ছাত্রীদের অনেককেই মাঝরাতে ভিডিও কল দিতেন রায়হান শরীফ। ভাইভা নেওয়ার সময় কৌশলে গায়ে হাত দিতেন। ভুক্তভোগী একজন ছাত্রী বলেন, ‘আমাদের বাবা-মা কষ্ট করে এখানে টাকা দিয়ে পড়তে পাঠিয়েছেন। তাই সবকিছু সহ্য করেছি। এই শিক্ষকের উৎপাত থেকে বাঁচতে সম্ভব হলে অন্য কলেজে চলে যেতাম। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। তাই মুখ বুজে সব সহ্য করতে হয়েছে।’
এদিকে মামলায় বলা হয়েছে, শিক্ষক শরীফ ওই শিক্ষার্থীর পায়ে গুলি করার পর অস্ত্র উঁচিয়ে শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘তোরা যদি ওকে (তমালকে) চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগে নিয়ে যাস, তাহলে সবাইকে গুলি করে মেরে ফেলব।’ পরবর্তী সময়ে অন্য শিক্ষার্থীরা জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলে ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রায়হান শরীফকে আটক করে। এ সময় তাঁর ব্যবহৃত দুটি পিস্তল জব্দ করে পুলিশ।
সাময়িক বরখাস্ত, ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে শিক্ষক রায়হান শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। এই আদেশে বলা হয়, রায়হান শরীফ ফৌজদারি অপরাধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এই আদেশের পর ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা ক্লাসে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ আমিরুল হোসেন চৌধুরী।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪