আয়নাল হোসেন, ঢাকা
নানা অজুহাতে ভোজ্যতেলের দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গত ৯ মাসে তিন দফায় সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ানো হয়েছে ২১ টাকা। এরপর আবারও লিটারপ্রতি ৮ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে পণ্যটির দাম পাইকারিতে ৫ টাকা এবং খুচরায় ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ভোজ্যতেল, পরিশোধনকারী, পরিবেশক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ছে। তাই দাম বাড়াতে হচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইনডেক্সমুন্ডি ডটকম সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে গত জুনে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১ হাজার ৫১৮ ডলার, জুলাইতে ১ হাজার ৪৬৮ ডলার, আগস্টে ১ হাজার ৪৩৩ ডলার, সেপ্টেম্বরে ১ হাজার ৩৯৮ ডলার, অক্টোবরে ১ হাজার ৪৮৩ ডলার ও নভেম্বরে ১ হাজার ৪৩৯ ডলারে বিক্রি হয়।
দফায় দফায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনের সভাপতি গোলাম রহমান গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে ভোজ্যতেলের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে ব্যবহার কমানো ছাড়া ভোক্তার কোনো উপায় নেই।
গত এপ্রিলে খুচরায় বোতলজাত সয়াবিনের দাম ছিল লিটার ১৩৯ টাকা। চার মাস পর আগষ্টে ১১ টাকা বেড়ে হয় ১৫০ টাকা। পরে সেপ্টেম্বরে তা করা হয় ১৫৩ টাকা। অক্টোবরে আরেক দফা বাড়িয়ে করা হয় ১৬০ টাকা। বর্তমানে আরেক দফা লিটারে ৮ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে পরিশোধনকারীরা। এতে বাজারে পণ্যটির দাম অনেকটাই বেড়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগ) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে লিটারে ১২ টাকা দাম বাড়ানোর একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। পরে সেটি সংশোধন করে ৮ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বর্তমানে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে বিশ্লেষণের জন্য রয়েছে।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ জানান, গত এক মাস আগে বাজারে প্রতি মণ (৩৭ কেজি ৩২০ গ্রাম) সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৫ হাজার ৩৫০ টাকা। এ হিসাবে কেজিতে দাম পড়ে ১৪৩ টাকা ৩৫ পয়সা। গতকাল বুধবার তা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৫৬০ টাকা। অর্থাৎ মণপ্রতি দাম বেড়েছে ২১০ টাকা এবং কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫ টাকা ৬৩ পয়সা। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়েছে। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি সয়াবিন তেল ৪ টাকা এবং সুপার ও পাম তেলে দাম বেড়েছে ৩ টাকা।
ভোজ্যতেলের পরিবেশকেরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি ও পরিশোধনকারীরা লিটারে ৮ টাকা দাম বাড়াচ্ছেন—এই খবরে গতকাল দাম মণপ্রতি ৩০-৪০ টাকা বাড়ে।
খুচরা ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সৌরভ মাহমুদ জানান, আগে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হতো ১৫২ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে ১৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ১৪২-১৪৩ টাকার সুপার পাম ১৪৫-১৪৬ টাকা এবং ১৪০ টাকার পাম তেল ১৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, এক সপ্তাহ আগে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছিল ১৩৮-১৪০ টাকা। গতকাল তা ১৪০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে সুপার ও পাম তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রায় ৩১ শতাংশ এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল ২৬ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় দেশেও দাম বাড়ানোর একটি প্রস্তাব তাঁরা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন।
তবে এ ব্যাপারে এখনো গণমাধ্যমকে জানানোর মতো সময় হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ভেজিটেবল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা হায়দার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা চলছে।
নানা অজুহাতে ভোজ্যতেলের দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গত ৯ মাসে তিন দফায় সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ানো হয়েছে ২১ টাকা। এরপর আবারও লিটারপ্রতি ৮ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে পণ্যটির দাম পাইকারিতে ৫ টাকা এবং খুচরায় ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ভোজ্যতেল, পরিশোধনকারী, পরিবেশক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ছে। তাই দাম বাড়াতে হচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইনডেক্সমুন্ডি ডটকম সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে গত জুনে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১ হাজার ৫১৮ ডলার, জুলাইতে ১ হাজার ৪৬৮ ডলার, আগস্টে ১ হাজার ৪৩৩ ডলার, সেপ্টেম্বরে ১ হাজার ৩৯৮ ডলার, অক্টোবরে ১ হাজার ৪৮৩ ডলার ও নভেম্বরে ১ হাজার ৪৩৯ ডলারে বিক্রি হয়।
দফায় দফায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনের সভাপতি গোলাম রহমান গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে ভোজ্যতেলের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে ব্যবহার কমানো ছাড়া ভোক্তার কোনো উপায় নেই।
গত এপ্রিলে খুচরায় বোতলজাত সয়াবিনের দাম ছিল লিটার ১৩৯ টাকা। চার মাস পর আগষ্টে ১১ টাকা বেড়ে হয় ১৫০ টাকা। পরে সেপ্টেম্বরে তা করা হয় ১৫৩ টাকা। অক্টোবরে আরেক দফা বাড়িয়ে করা হয় ১৬০ টাকা। বর্তমানে আরেক দফা লিটারে ৮ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে পরিশোধনকারীরা। এতে বাজারে পণ্যটির দাম অনেকটাই বেড়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগ) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে লিটারে ১২ টাকা দাম বাড়ানোর একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। পরে সেটি সংশোধন করে ৮ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বর্তমানে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে বিশ্লেষণের জন্য রয়েছে।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ জানান, গত এক মাস আগে বাজারে প্রতি মণ (৩৭ কেজি ৩২০ গ্রাম) সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৫ হাজার ৩৫০ টাকা। এ হিসাবে কেজিতে দাম পড়ে ১৪৩ টাকা ৩৫ পয়সা। গতকাল বুধবার তা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৫৬০ টাকা। অর্থাৎ মণপ্রতি দাম বেড়েছে ২১০ টাকা এবং কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫ টাকা ৬৩ পয়সা। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়েছে। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি সয়াবিন তেল ৪ টাকা এবং সুপার ও পাম তেলে দাম বেড়েছে ৩ টাকা।
ভোজ্যতেলের পরিবেশকেরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি ও পরিশোধনকারীরা লিটারে ৮ টাকা দাম বাড়াচ্ছেন—এই খবরে গতকাল দাম মণপ্রতি ৩০-৪০ টাকা বাড়ে।
খুচরা ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সৌরভ মাহমুদ জানান, আগে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হতো ১৫২ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে ১৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ১৪২-১৪৩ টাকার সুপার পাম ১৪৫-১৪৬ টাকা এবং ১৪০ টাকার পাম তেল ১৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, এক সপ্তাহ আগে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছিল ১৩৮-১৪০ টাকা। গতকাল তা ১৪০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে সুপার ও পাম তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রায় ৩১ শতাংশ এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল ২৬ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় দেশেও দাম বাড়ানোর একটি প্রস্তাব তাঁরা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন।
তবে এ ব্যাপারে এখনো গণমাধ্যমকে জানানোর মতো সময় হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ভেজিটেবল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা হায়দার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা চলছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪