মো. রবিউল ইসলাম, অভয়নগর (যশোর)
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ার চেঙ্গুটিয়া রেলস্টেশনের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারসহ ইয়ার্ডকে পতিত জমি দেখিয়ে ইজারা (লিজ) দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী যোগসাজশ করে ওই ইয়ার্ড রেলওয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মচারীর ছেলেকে লিজ দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে ওই ইয়ার্ডে তিন প্রজন্ম থেকে বসবাস করে আসা রেলওয়ের মৃত ভূমিহীন কর্মচারীর পরিবারসহ সাতটি পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি উচ্ছেদে ব্যর্থ হয়ে ওই পরিবারগুলোর সদস্যদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে ওই পরিবারগুলোর সদস্যদের দাবি, তাঁরা ইতিপূর্বে অনেকবার এই জমি লিজ নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। এখন এই জমি অন্যকে লিজ দেওয়া হয়েছে। তাই এই জায়গা তাঁরা ছাড়বেন না।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে নওয়াপাড়ার চেঙ্গুটিয়া রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনসংলগ্ন পরিত্যক্ত সরকারি কোয়ার্টার এবং এর গা ঘেঁষে সাতটি পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। এরই একপাশে বসবাস করছেন রেলস্টেশনে কর্মরত কর্মচারীরা।
জানা গেছে, এই জায়গা পতিত দেখিয়ে রেলওয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মুক্তার মিস্ত্রির ভাতিজা এবং পাঁচ বছর আগে অবসরপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমান মিস্ত্রির ছেলে মিরাজ হোসেন গোপনে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে লিজ নিয়েছেন। বর্তমানে সেখানে বসবাসরত ব্যক্তিদের উচ্ছেদে তাঁরা মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
ডকে বসবাসরত রেলওয়ের মৃত কর্মচারী (ওয়েম্যান) শাহজাহান মোল্লার স্ত্রী শাহিদা বেগম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে এখানে বসবাস করে আসছিলাম। ১৫ বছর আগে রেলওয়েতে কর্মরত অবস্থায় শাবলের আঘাতে স্বামী মারা যান। চার ছেলেমেয়ে নিয়ে এখানেই বসবাস করে আসছি। বর্তমানে মিরাজ জায়গা ছেড়ে দিতে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এমনকি প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে। রেলওয়ের পুলিশ পরিচয়ে দুজন এসে জায়গা ছেড়ে দিতে বলে গেছে।’
তালাকপ্রাপ্ত ও ভূমিহীন মিনা বেগম (৩২) এবং তাঁর ভাই মামুন (১৭) বলেন, ‘ডকের ওই ঘরেই আমাদের জন্ম। বাপ-দাদারাও এখানেই বসবাস করে গেছেন। আমাদের নামে এই জায়গার ডিসিআর করে দেওয়ার কথা বলে ১০ হাজার করে টাকাও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরে আমাদের না জানিয়ে গোপনে মিরাজকে ওই জায়গা পতিত দেখিয়ে লিজ দেওয়া হয়েছে। জীবন গেলেও আমরা এই জায়গা ছেড়ে কোথাও যাব না।’
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে মিরাজ হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
যশোর রেলওয়ের ১৭ নম্বর কাচারির আমিন আব্দুল মতিন স্টেশনের ডকের জায়গা পতিত দেখিয়ে লিজ দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। স্টেশনের ডক ও সরকারি কোয়ার্টারের জায়গা লিজ দেওয়ার বিধান আছে কি না, জানতে চাইলে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে জানান।
নওয়াপাড়া রেলস্টেশনে দায়িত্বরত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সোহাগ কুমার শর্মা ওই পরিবারগুলোকে উচ্ছেদের জন্য হুমকি-ধমকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, যেহেতু জায়গাটি একজন লিজ নিয়েছেন, তাঁর পক্ষে রেলওয়ে পুলিশ ওই জায়গায় যেতে পারে। তবে কাউকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়নি।
রেলওয়ের পাকশী জোনের কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা সেখানে অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাঁরা আবেদন করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ার চেঙ্গুটিয়া রেলস্টেশনের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারসহ ইয়ার্ডকে পতিত জমি দেখিয়ে ইজারা (লিজ) দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী যোগসাজশ করে ওই ইয়ার্ড রেলওয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মচারীর ছেলেকে লিজ দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে ওই ইয়ার্ডে তিন প্রজন্ম থেকে বসবাস করে আসা রেলওয়ের মৃত ভূমিহীন কর্মচারীর পরিবারসহ সাতটি পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি উচ্ছেদে ব্যর্থ হয়ে ওই পরিবারগুলোর সদস্যদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে ওই পরিবারগুলোর সদস্যদের দাবি, তাঁরা ইতিপূর্বে অনেকবার এই জমি লিজ নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। এখন এই জমি অন্যকে লিজ দেওয়া হয়েছে। তাই এই জায়গা তাঁরা ছাড়বেন না।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে নওয়াপাড়ার চেঙ্গুটিয়া রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনসংলগ্ন পরিত্যক্ত সরকারি কোয়ার্টার এবং এর গা ঘেঁষে সাতটি পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। এরই একপাশে বসবাস করছেন রেলস্টেশনে কর্মরত কর্মচারীরা।
জানা গেছে, এই জায়গা পতিত দেখিয়ে রেলওয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মুক্তার মিস্ত্রির ভাতিজা এবং পাঁচ বছর আগে অবসরপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমান মিস্ত্রির ছেলে মিরাজ হোসেন গোপনে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে লিজ নিয়েছেন। বর্তমানে সেখানে বসবাসরত ব্যক্তিদের উচ্ছেদে তাঁরা মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
ডকে বসবাসরত রেলওয়ের মৃত কর্মচারী (ওয়েম্যান) শাহজাহান মোল্লার স্ত্রী শাহিদা বেগম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে এখানে বসবাস করে আসছিলাম। ১৫ বছর আগে রেলওয়েতে কর্মরত অবস্থায় শাবলের আঘাতে স্বামী মারা যান। চার ছেলেমেয়ে নিয়ে এখানেই বসবাস করে আসছি। বর্তমানে মিরাজ জায়গা ছেড়ে দিতে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এমনকি প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে। রেলওয়ের পুলিশ পরিচয়ে দুজন এসে জায়গা ছেড়ে দিতে বলে গেছে।’
তালাকপ্রাপ্ত ও ভূমিহীন মিনা বেগম (৩২) এবং তাঁর ভাই মামুন (১৭) বলেন, ‘ডকের ওই ঘরেই আমাদের জন্ম। বাপ-দাদারাও এখানেই বসবাস করে গেছেন। আমাদের নামে এই জায়গার ডিসিআর করে দেওয়ার কথা বলে ১০ হাজার করে টাকাও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরে আমাদের না জানিয়ে গোপনে মিরাজকে ওই জায়গা পতিত দেখিয়ে লিজ দেওয়া হয়েছে। জীবন গেলেও আমরা এই জায়গা ছেড়ে কোথাও যাব না।’
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে মিরাজ হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
যশোর রেলওয়ের ১৭ নম্বর কাচারির আমিন আব্দুল মতিন স্টেশনের ডকের জায়গা পতিত দেখিয়ে লিজ দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। স্টেশনের ডক ও সরকারি কোয়ার্টারের জায়গা লিজ দেওয়ার বিধান আছে কি না, জানতে চাইলে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে জানান।
নওয়াপাড়া রেলস্টেশনে দায়িত্বরত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সোহাগ কুমার শর্মা ওই পরিবারগুলোকে উচ্ছেদের জন্য হুমকি-ধমকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, যেহেতু জায়গাটি একজন লিজ নিয়েছেন, তাঁর পক্ষে রেলওয়ে পুলিশ ওই জায়গায় যেতে পারে। তবে কাউকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়নি।
রেলওয়ের পাকশী জোনের কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা সেখানে অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাঁরা আবেদন করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪