দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকা জেলার দোহার পৌরসভায় পৌর টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে আওয়ামী মোটর চালক লীগের মানববন্ধন ও কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যদিকে পৌর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর পদক্ষেপ বলে মনে করছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত জয়পাড়া কলেজ রোড এবং উপজেলা মেইন রোডে এ মানববন্ধন ও কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী মোটর চালক লীগ।
বিক্ষোভ মিছিলটি দোহার উপজেলা প্রদক্ষিণের সময় দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল আশ্বাস দেন তাঁদের বিষয়টি দেখবেন। এ সময় সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন তিনি।
বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন বলেন, ‘দোহার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে চাঁদা তুলছে। তারা চাঁদা তুলতে গিয়ে আমাদের লোকজনের গায়ে হাত তুলছে। আমরা দিন আনি, দিন খাই। আমাদের পেটে লাথি দিচ্ছে তারা। সরকারের জন্য আমরা জীবনবাজি রেখে মিছিল-মিটিং করি। আর এখন আমাদের ওপরই চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। আর এই চাঁদার ভাগ প্রভাবশালী একজন রাজনৈতিক নেতা এবং বাজার কমিটির একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি পৌরসভার সঙ্গে যোগসাজশে তুলছেন।’ সব টাকা পৌর ফান্ডে জমা হচ্ছে না বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন।
অটোরিকশাচালক বাচ্চু মোল্লা (৩০) বলেন, ‘পৌরসভার চাঁদা আদায়কারী লোক আমার কাছে গত সোমবার ওয়ান ব্যাংকের সামনে থেকে টাকা চায়। আমি বলি, টাকা কেন দেব? আমি টাকা দিতে পারব না। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা আমাকে মারধর করে। শুধু আমি নই, আরও একজনকেও তারা এমন মারধর করেছে টাকার জন্য।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী মোটর চালক লীগ দোহার উপজেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিপন শিকদার বলেন, ‘আমরা কামাই করে খাই। আমরা কেন তাদের টাকা দেব? প্রয়োজনে একটা বার্ষিক লাইসেন্স ফি নিক। তাঁরা প্রতিদিন আমাদের কাছ থেকে প্রতি অটোরিকশা বাবদ ২০ টাকা করে নেন। এভাবে তারা অন্যায়ভাবে টাকা আদায় করেন। সে জন্য আমরা এই বিক্ষোভ করেছি।’
শিপন শিকদার আরও বলেন, ‘আমরা আজ দোহার উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি। তারা আমাদের কাছ থেকে দুদিনের সময় নিয়েছে। দুদিনের মধ্যে যদি আমাদের দাবি না মেনে নেয়, তাহলে আমরা গাড়ি চালানো বন্ধ করে দেব। কোনো গাড়ির চাকা আর ঘুরবে না।’
এ সময় বিক্ষোভকারীরা উপজেলার মেইন রোডসহ বিভিন্ন পয়েন্ট কোনো অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঢুকতে দেননি। যে অটোরিকশা চালকেরা যাত্রী নিয়ে এসেছিলেন, তাঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে ফিরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। সে সময় জনসাধারণ ব্যাপক বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন।
দোহার পৌরসভার প্রকৌশলী মশিউর রহমান এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোটরচালকদের থেকে দুদিনের সময় নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা সাংসদ সালমান এফ রহমানকে জানিয়েছি। তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে জনগণ আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট। কারণ, এখন মেইন রোডে জ্যাম হয় না। এ ছাড়া কোনো চালক যাত্রীদের জিম্মি করে রাখতে পারছেন না। স্ট্যান্ডে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার সৃষ্টি হয়েছে।’
দোহার থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আজ আমাদের আইনশৃঙ্খলা মিটিং ছিল। বিষয়টি সমাধান করতে দুদিনের সময় নিয়েছি। দুদিন পর তাঁদের জানাব।’
ঢাকা জেলার দোহার পৌরসভায় পৌর টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে আওয়ামী মোটর চালক লীগের মানববন্ধন ও কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যদিকে পৌর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর পদক্ষেপ বলে মনে করছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত জয়পাড়া কলেজ রোড এবং উপজেলা মেইন রোডে এ মানববন্ধন ও কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী মোটর চালক লীগ।
বিক্ষোভ মিছিলটি দোহার উপজেলা প্রদক্ষিণের সময় দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল আশ্বাস দেন তাঁদের বিষয়টি দেখবেন। এ সময় সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন তিনি।
বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন বলেন, ‘দোহার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে চাঁদা তুলছে। তারা চাঁদা তুলতে গিয়ে আমাদের লোকজনের গায়ে হাত তুলছে। আমরা দিন আনি, দিন খাই। আমাদের পেটে লাথি দিচ্ছে তারা। সরকারের জন্য আমরা জীবনবাজি রেখে মিছিল-মিটিং করি। আর এখন আমাদের ওপরই চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। আর এই চাঁদার ভাগ প্রভাবশালী একজন রাজনৈতিক নেতা এবং বাজার কমিটির একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি পৌরসভার সঙ্গে যোগসাজশে তুলছেন।’ সব টাকা পৌর ফান্ডে জমা হচ্ছে না বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন।
অটোরিকশাচালক বাচ্চু মোল্লা (৩০) বলেন, ‘পৌরসভার চাঁদা আদায়কারী লোক আমার কাছে গত সোমবার ওয়ান ব্যাংকের সামনে থেকে টাকা চায়। আমি বলি, টাকা কেন দেব? আমি টাকা দিতে পারব না। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা আমাকে মারধর করে। শুধু আমি নই, আরও একজনকেও তারা এমন মারধর করেছে টাকার জন্য।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী মোটর চালক লীগ দোহার উপজেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিপন শিকদার বলেন, ‘আমরা কামাই করে খাই। আমরা কেন তাদের টাকা দেব? প্রয়োজনে একটা বার্ষিক লাইসেন্স ফি নিক। তাঁরা প্রতিদিন আমাদের কাছ থেকে প্রতি অটোরিকশা বাবদ ২০ টাকা করে নেন। এভাবে তারা অন্যায়ভাবে টাকা আদায় করেন। সে জন্য আমরা এই বিক্ষোভ করেছি।’
শিপন শিকদার আরও বলেন, ‘আমরা আজ দোহার উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি। তারা আমাদের কাছ থেকে দুদিনের সময় নিয়েছে। দুদিনের মধ্যে যদি আমাদের দাবি না মেনে নেয়, তাহলে আমরা গাড়ি চালানো বন্ধ করে দেব। কোনো গাড়ির চাকা আর ঘুরবে না।’
এ সময় বিক্ষোভকারীরা উপজেলার মেইন রোডসহ বিভিন্ন পয়েন্ট কোনো অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঢুকতে দেননি। যে অটোরিকশা চালকেরা যাত্রী নিয়ে এসেছিলেন, তাঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে ফিরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। সে সময় জনসাধারণ ব্যাপক বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন।
দোহার পৌরসভার প্রকৌশলী মশিউর রহমান এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোটরচালকদের থেকে দুদিনের সময় নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা সাংসদ সালমান এফ রহমানকে জানিয়েছি। তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে জনগণ আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট। কারণ, এখন মেইন রোডে জ্যাম হয় না। এ ছাড়া কোনো চালক যাত্রীদের জিম্মি করে রাখতে পারছেন না। স্ট্যান্ডে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার সৃষ্টি হয়েছে।’
দোহার থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আজ আমাদের আইনশৃঙ্খলা মিটিং ছিল। বিষয়টি সমাধান করতে দুদিনের সময় নিয়েছি। দুদিন পর তাঁদের জানাব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪