অর্চি হক, ঢাকা
এ বছর ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি রাজধানীর একটি স্কুলের শিক্ষার্থী মুশফিকা রহমান। কিন্তু তার পাশের স্কুলে পড়া বন্ধু তাশরিক হাসান এই পরীক্ষায় উতরে গেছে। এ নিয়ে মুশফিকার বেজায় মন খারাপ। সপ্তম শ্রেণির এই ছাত্রীর মা ওয়াজিদা আক্তার বললেন, ‘ভর্তি পরীক্ষায় টিকতে না পারায় আমি ওকে একেবারেই বকাবকি করিনি। আমি জানি, মেয়েদের জন্য এটা খুবই কঠিন। ছেলেদের ক্যাডেট যেখানে ৯টি, মেয়েদের জন্য সেখানে আছে মাত্র ৩টি। স্বাভাবিকভাবেই এখানে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের লড়াইটা অনেক কঠিন।’
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফাওজিয়া মোসলেম এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তে আমরা দেখি, শিক্ষায় মেয়েরা এগিয়ে। ছেলেদের চেয়ে রেজাল্টও ভালো করছে। কিন্তু উচ্চশিক্ষায় এবং কর্মক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে আছে মেয়েরা। কেন পিছিয়ে আছে, সেটা ক্যাডেট কলেজের সংখ্যা দেখলে ধারণা পাওয়া যায়। আমরা তো মেয়েদের সমান সুযোগ দিতে পারছি না।’
গত বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার এবং ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক দিয়ে ছেলেদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে মেয়েরা। এ পরীক্ষায় মেয়েদের পাসের হার ৯৪ দশমিক ৫০ আর ছেলেদের পাসের হার ৯২ দশমিক ৬৯। মোট জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ১ লাখ ৩ হাজার ৫৭৮ জন এবং ছাত্র ৭৯ হাজার ৭৬২ জন।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে মেয়েদের অংশগ্রহণ ৫৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ, উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গিয়ে সেটা নেমে আসে ৩৫ দশমিক ২১ শতাংশে।
অর্থাৎ উচ্চমাধ্যমিকের পরে গিয়ে মেয়েরা ঝরে পড়ছে। এ বিষয়ে নারীপক্ষের নির্বাহী কমিটির সদস্য শিরিন হক বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অভিভাবকদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় মেয়ের একটা ভালো বিয়ে দেওয়া। একটা সময় ভাবা হতো, সপ্তম শ্রেণি পাস মেয়ের জন্য একটা বিএ পাস ছেলে পাওয়া যাবে। মেয়েকে সেভাবে পড়াশোনা করানো হতো। এখন সেটা উচ্চমাধ্যমিকে পৌঁছেছে। আবার এর সঙ্গে মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টিও জড়িত। আমরা মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছি না। এ জন্য একটা পর্যায়ে গিয়ে তাকে আর বাড়ি থেকে দূরে গিয়ে পড়তে দেওয়া হচ্ছে না।’
এ বছর ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি রাজধানীর একটি স্কুলের শিক্ষার্থী মুশফিকা রহমান। কিন্তু তার পাশের স্কুলে পড়া বন্ধু তাশরিক হাসান এই পরীক্ষায় উতরে গেছে। এ নিয়ে মুশফিকার বেজায় মন খারাপ। সপ্তম শ্রেণির এই ছাত্রীর মা ওয়াজিদা আক্তার বললেন, ‘ভর্তি পরীক্ষায় টিকতে না পারায় আমি ওকে একেবারেই বকাবকি করিনি। আমি জানি, মেয়েদের জন্য এটা খুবই কঠিন। ছেলেদের ক্যাডেট যেখানে ৯টি, মেয়েদের জন্য সেখানে আছে মাত্র ৩টি। স্বাভাবিকভাবেই এখানে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের লড়াইটা অনেক কঠিন।’
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফাওজিয়া মোসলেম এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তে আমরা দেখি, শিক্ষায় মেয়েরা এগিয়ে। ছেলেদের চেয়ে রেজাল্টও ভালো করছে। কিন্তু উচ্চশিক্ষায় এবং কর্মক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে আছে মেয়েরা। কেন পিছিয়ে আছে, সেটা ক্যাডেট কলেজের সংখ্যা দেখলে ধারণা পাওয়া যায়। আমরা তো মেয়েদের সমান সুযোগ দিতে পারছি না।’
গত বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার এবং ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক দিয়ে ছেলেদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে মেয়েরা। এ পরীক্ষায় মেয়েদের পাসের হার ৯৪ দশমিক ৫০ আর ছেলেদের পাসের হার ৯২ দশমিক ৬৯। মোট জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ১ লাখ ৩ হাজার ৫৭৮ জন এবং ছাত্র ৭৯ হাজার ৭৬২ জন।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে মেয়েদের অংশগ্রহণ ৫৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ, উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গিয়ে সেটা নেমে আসে ৩৫ দশমিক ২১ শতাংশে।
অর্থাৎ উচ্চমাধ্যমিকের পরে গিয়ে মেয়েরা ঝরে পড়ছে। এ বিষয়ে নারীপক্ষের নির্বাহী কমিটির সদস্য শিরিন হক বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অভিভাবকদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় মেয়ের একটা ভালো বিয়ে দেওয়া। একটা সময় ভাবা হতো, সপ্তম শ্রেণি পাস মেয়ের জন্য একটা বিএ পাস ছেলে পাওয়া যাবে। মেয়েকে সেভাবে পড়াশোনা করানো হতো। এখন সেটা উচ্চমাধ্যমিকে পৌঁছেছে। আবার এর সঙ্গে মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টিও জড়িত। আমরা মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছি না। এ জন্য একটা পর্যায়ে গিয়ে তাকে আর বাড়ি থেকে দূরে গিয়ে পড়তে দেওয়া হচ্ছে না।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪