Ajker Patrika

হস্তান্তরের আগেই ভবনে ফাটল, চলছে পাঠদান

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০: ৩২
Thumbnail image

আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তরের আগেই প্রতিষ্ঠানটিতে পাঠদান শুরু করে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে গত বছর নবনির্মিত ভবনটিতে পাঠদান শুরু হয়। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক ভবনের নিচতলা থেকে চারতলা পর্যন্ত একই স্থানে বিমে ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে ওই ফাটলে কোনো ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এমন চিত্র জয়পুরহাটের আক্কেলপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে।

খোঁজ নিয়ে ও প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৮ সালে আক্কেলপুর পৌর শহরের বেলার মাঠে আক্কেলপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণকাজ শুরু হয়। সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হলেও এখনো তা হস্তান্তর করা হয়নি। এর মধ্যে ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করে পাঠদান শুরু হয়। চলতি বছরেও প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে।

আক্কেলপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমিক ভবন পাঁচতলা আর প্রশাসনিক ভবন চারতলার। একাডেমিক ভবন থেকে প্রশাসনিক ভবনের সংযোগস্থলের বেশ কিছু বিমে ফাটল ধরেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রশাসনিক ভবনের নিচতলা থেকে চারতলা পর্যন্ত একই স্থানের বিমগুলোতে ফাটল ধরেছে। এর মধ্যে তৃতীয় তলায় ফাটলের পরিমাণ কিছুটা বেশি।

আক্কেলপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম কুমার মন্ডল বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনটি হস্তান্তর করার আগেই কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পাঠদান শুরু করেছি। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটি চালু করে ওই বছরেই শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। চলতি বছরেও শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার খুলেছে। তবে প্রশাসনিক ভবনের নিচতলা থেকে চারতলা পর্যন্ত একই স্থানের বিমে ফাটল ধরেছে। দিন যত যাচ্ছে ফাটলের আকার বাড়ছে। এ কারণে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানোর পরে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ভবনটি দেখে গেছেন। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, এমন ফাটলে ভয়ের কোনো কারণ নেই।’

জয়পুরহাট শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, ‘আক্কেলপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবনির্মিত ভবনটি এখনো হস্তান্তর করা হয়নি। তবে কী কারণে হস্তান্তর হয়নি এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। ফাটলের বিষয়টি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে জানাব। তাঁরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত