কামরুজ্জামান রাজু, কেশবপুর (যশোর)
যশোরের কেশবপুরের শেখ মুহাইমিনুল ইসলাম সেতু (২৮) কেঁচো বিক্রি করেই এখন লাখপতি। মাত্র ৫ কেজি কেঁচো নিয়ে বছর দুয়েক আগে কেঁচো সার তৈরির মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর পথচলা। এখন তাঁর খামারে প্রায় ১০ মণ কেঁচো রয়েছে। এসব কেঁচো ও কেঁচো থেকে উৎপাদিত সার বিক্রি করে প্রতি মাসে তিনি আয় করছেন লাখ টাকা।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায় সেতুর উৎপাদিত কেঁচো। নিজে উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি সৃষ্টি করেছেন অনেকের কর্মসংস্থান। তাঁর দেখাদেখি অনেক বেকার যুবক ঝুঁকছেন এ পেশায়। উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চিংড়া গ্রামের কৃষক শেখ তছলিম উদ্দীনের ছেলে সেতু। বেকার এ যুবক কৃষি অফিসের পরামর্শে ৫ কেজি থাইল্যান্ডের কেঁচো সংগ্রহ করে ২০২০ সালে ‘চিংড়া ভার্মি কম্পোস্ট’ নামে জৈব সার উৎপাদনের একটি খামার তৈরি করেন। সেখানে ৩৫টি হাউসে তিনি গোবর ও কেঁচোর সমন্বয়ে কেঁচো সার তৈরি করেন। রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে মাটির গুণাগুণ ঠিক রাখতে কৃষকেরা ফসলের খেতে কেঁচো সার ব্যবহারে ঝুঁকতে থাকায় তাঁর খামারের উৎপাদিত কেঁচো এবং কেঁচো সারের চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে।
সেতু জানান, প্রথমে খামারে ১২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট প্রস্থের পৃথক ৩৫টি হাউসে ১০ বস্তা করে গোবর ও ১০ কেজি করে কেঁচো মিশিয়ে দেন। এসব গোবর খেয়ে কেঁচো মলত্যাগ করে এবং এর সঙ্গে কেঁচোর দেহ থেকে রাসায়নিক পদার্থ বের হয়ে কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) তৈরি হয়। ওই হাউসের ভেতরেই কেঁচো ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করে। এক মাস পরে ছাঁকনির সাহায্যে হাউসের কেঁচো ও সার আলাদা করা হয়। পরে পুনরায় গোবর ও কেঁচো হাউসে দেওয়া হয় এবং ওই হাউসে জন্মানো অতিরিক্ত কেঁচো বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করা হয়। প্রতি হাউস থেকে মাসে প্রায় ৫ মণ কেঁচো সার উৎপাদিত হয়। সব মিলিয়ে প্রতি মাসে তাঁর এ খামার থেকে প্রায় ১৭০ মণ কেঁচো সার উৎপাদিত হচ্ছে।
সেতু আরও জানান, তিনি প্রতি কেজি ১২-১৩ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এখন তাঁর খামারে প্রায় ১০ মণ কেঁচো রয়েছে। প্রতি কেজি কেঁচো তিনি ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন। প্রতি মাসে এ খামারে উৎপাদিত কেঁচো ও কেঁচো সার বিক্রি করে তাঁর প্রায় এক লাখ টাকা আয় হচ্ছে।
খামারে কাজ করার সময় সুমন হোসেন জানায়, সে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। পড়াশোনার ফাঁকে এখানে কাজ করে লেখাপড়ার খরচ জুগিয়ে সংসারে সহযোগিতা করে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, ছোট একটা প্রদর্শনী দিয়েই সেতুর ‘চিংড়া ভার্মি কম্পোস্ট’ খামারের পথচলা শুরু হয়। এখন তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা। কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন সময়ে পরিদর্শনে গিয়ে তাঁকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাঁর উৎপাদিত বিদেশি কেঁচো ও কেঁচো সার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। সেতুর খামার দেখে অনেক নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে।
যশোরের কেশবপুরের শেখ মুহাইমিনুল ইসলাম সেতু (২৮) কেঁচো বিক্রি করেই এখন লাখপতি। মাত্র ৫ কেজি কেঁচো নিয়ে বছর দুয়েক আগে কেঁচো সার তৈরির মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর পথচলা। এখন তাঁর খামারে প্রায় ১০ মণ কেঁচো রয়েছে। এসব কেঁচো ও কেঁচো থেকে উৎপাদিত সার বিক্রি করে প্রতি মাসে তিনি আয় করছেন লাখ টাকা।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায় সেতুর উৎপাদিত কেঁচো। নিজে উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি সৃষ্টি করেছেন অনেকের কর্মসংস্থান। তাঁর দেখাদেখি অনেক বেকার যুবক ঝুঁকছেন এ পেশায়। উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চিংড়া গ্রামের কৃষক শেখ তছলিম উদ্দীনের ছেলে সেতু। বেকার এ যুবক কৃষি অফিসের পরামর্শে ৫ কেজি থাইল্যান্ডের কেঁচো সংগ্রহ করে ২০২০ সালে ‘চিংড়া ভার্মি কম্পোস্ট’ নামে জৈব সার উৎপাদনের একটি খামার তৈরি করেন। সেখানে ৩৫টি হাউসে তিনি গোবর ও কেঁচোর সমন্বয়ে কেঁচো সার তৈরি করেন। রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে মাটির গুণাগুণ ঠিক রাখতে কৃষকেরা ফসলের খেতে কেঁচো সার ব্যবহারে ঝুঁকতে থাকায় তাঁর খামারের উৎপাদিত কেঁচো এবং কেঁচো সারের চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে।
সেতু জানান, প্রথমে খামারে ১২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট প্রস্থের পৃথক ৩৫টি হাউসে ১০ বস্তা করে গোবর ও ১০ কেজি করে কেঁচো মিশিয়ে দেন। এসব গোবর খেয়ে কেঁচো মলত্যাগ করে এবং এর সঙ্গে কেঁচোর দেহ থেকে রাসায়নিক পদার্থ বের হয়ে কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) তৈরি হয়। ওই হাউসের ভেতরেই কেঁচো ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করে। এক মাস পরে ছাঁকনির সাহায্যে হাউসের কেঁচো ও সার আলাদা করা হয়। পরে পুনরায় গোবর ও কেঁচো হাউসে দেওয়া হয় এবং ওই হাউসে জন্মানো অতিরিক্ত কেঁচো বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করা হয়। প্রতি হাউস থেকে মাসে প্রায় ৫ মণ কেঁচো সার উৎপাদিত হয়। সব মিলিয়ে প্রতি মাসে তাঁর এ খামার থেকে প্রায় ১৭০ মণ কেঁচো সার উৎপাদিত হচ্ছে।
সেতু আরও জানান, তিনি প্রতি কেজি ১২-১৩ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এখন তাঁর খামারে প্রায় ১০ মণ কেঁচো রয়েছে। প্রতি কেজি কেঁচো তিনি ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন। প্রতি মাসে এ খামারে উৎপাদিত কেঁচো ও কেঁচো সার বিক্রি করে তাঁর প্রায় এক লাখ টাকা আয় হচ্ছে।
খামারে কাজ করার সময় সুমন হোসেন জানায়, সে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। পড়াশোনার ফাঁকে এখানে কাজ করে লেখাপড়ার খরচ জুগিয়ে সংসারে সহযোগিতা করে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, ছোট একটা প্রদর্শনী দিয়েই সেতুর ‘চিংড়া ভার্মি কম্পোস্ট’ খামারের পথচলা শুরু হয়। এখন তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা। কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন সময়ে পরিদর্শনে গিয়ে তাঁকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাঁর উৎপাদিত বিদেশি কেঁচো ও কেঁচো সার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। সেতুর খামার দেখে অনেক নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫