বান্দরবান প্রতিনিধি
পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে বান্দরবানে সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদিত হচ্ছে। জেলার সাত উপজেলায় জুমচাষের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির আম, আনারস, কাঁঠাল, লিচু চাষ করা হয়। পাহাড়ে উৎপাদিত এসব ফল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সুনাম কুড়িয়েছে। ফলে বান্দরবানের ফলের চাহিদাও তৈরি হয়েছে সারা দেশে।
বান্দরবানের আমের ফলনের শুরুতে ঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় এবং কালবৈশাখীতে ফল বিপর্যয়ের আতঙ্কে ছিলেন চাষিরা। তবে এখন গাছে গাছে ফলন দেখে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
পাহাড়ে উৎপাদিত ফলের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ জ্যৈষ্ঠের শুরুতে থেকে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস। এই ফলের প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনসহ দেশ-বিদেশের বাজারে বিক্রির সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হলে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি বাড়বে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।
বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, বান্দরবানে উৎপাদিত ফল কীটনাশকমুক্ত ও সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে এর চাহিদা রয়েছে। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া বিভিন্ন রকম ফল চাষের জন্য উপযোগী। প্রতিবছরের এপ্রিলে কাঁচা আম এবং মে-জুনজুড়ে মৌসুমি ফলের ঘ্রাণে পাহাড় মুখর হয়ে ওঠে। বিশেষ করে পাহাড়ের আম ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন বাজারে ক্রেতাদের নজর কেড়েছে। কাঁঠাল, লিচু, আনারসহ বিভিন্ন ফলের চাহিদাও বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বান্দরবান শহরসহ বিভিন্ন বাজার প্রতিদিনই পাকা ফলে ভরে উঠছে। এপ্রিলের শুরু থেকে জুন-জুলাই পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বান্দরবানের ফল বাজার দখল করে থাকে। আমসহ এসব ফল স্থানীয়দের কাছে যেমন চাহিদা রয়েছে, তেমনি পর্যটকেরাও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যান।
বান্দরবান-চিম্বুক সড়কের শৈলপ্রপাত পর্যটন এলাকায় সম্প্রতি ঘুরতে এসেছিলেন ঢাকার পর্যটক দম্পতি আনোয়ার-শাহানা। তাঁরা জানান, রাজধানীতে যেসব ফল পাওয়া যায়, তাতে প্রচুর পরিমাণ ফরমালিন থাকে। সেই তুলনায় পাহাড়ে উৎপাদিত এসব ফল ফরমালিনমুক্ত।
জেলার থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৌসুমের শুরুতে পুরো বাগান বাইরের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন চাষিরা। বাগান বিক্রির হিসাব পর্যালোচনায় প্রতি কেজি আম ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। ৪৮ থেকে ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে উপজেলায় উৎপাদিত আম জেলা শহরে জাতভেদে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে। শৌখিন চাষিদের উৎপাদিত বিদেশি প্রজাতির কিছু আম ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাহাড়ে স্থানীয় জাতের রাংগোয়াই, আম্রপালি, হিমসাগর, হাঁড়িভাঙা, বারিসহ বিভিন্ন আকারের থোকা থোকা আমের ভারে গাছগুলোর ডালপালা নুয়ে পড়েছে।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছর বান্দরবানে ৭ হাজার ৬৮৮ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯২৮ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল, ১ হাজার ২৪০ হেক্টরে লিচু এবং ৪ হাজার ৪৭ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে।
এদিকে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারকে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় মিনি আকারে সংগ্রহশালা তৈরি করার জন্য জানানো হয়েছে। এতে হিমাগারের অভাবে ফলন নষ্ট হবে না। খুব শিগগির বান্দরবানে এই ব্যবস্থা চালু হবে বলে মনে করেন বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বান্দরবানের আমসহ অন্যান্য ফলের চাহিদা রয়েছে। কারণ, এখানকার ফল অরগানিক। পাহাড়ের কৃষকেরা সে পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহারের অভ্যস্ত নয়।
পাহাড় থেকে বাজারে ফল আনার জন্য যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন, সংগৃহীত ফলের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সংগ্রহের পর অপচয় কমানো, সংরক্ষণ এবং মজুতের যথাযথ সুবিধা গড়ে তোলা হলে বান্দরবানে উৎপাদিত ফলের দেশ-বিদেশে আরও চাহিদা বাড়বে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে বান্দরবানে সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদিত হচ্ছে। জেলার সাত উপজেলায় জুমচাষের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির আম, আনারস, কাঁঠাল, লিচু চাষ করা হয়। পাহাড়ে উৎপাদিত এসব ফল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সুনাম কুড়িয়েছে। ফলে বান্দরবানের ফলের চাহিদাও তৈরি হয়েছে সারা দেশে।
বান্দরবানের আমের ফলনের শুরুতে ঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় এবং কালবৈশাখীতে ফল বিপর্যয়ের আতঙ্কে ছিলেন চাষিরা। তবে এখন গাছে গাছে ফলন দেখে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
পাহাড়ে উৎপাদিত ফলের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ জ্যৈষ্ঠের শুরুতে থেকে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস। এই ফলের প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনসহ দেশ-বিদেশের বাজারে বিক্রির সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হলে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি বাড়বে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।
বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, বান্দরবানে উৎপাদিত ফল কীটনাশকমুক্ত ও সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে এর চাহিদা রয়েছে। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া বিভিন্ন রকম ফল চাষের জন্য উপযোগী। প্রতিবছরের এপ্রিলে কাঁচা আম এবং মে-জুনজুড়ে মৌসুমি ফলের ঘ্রাণে পাহাড় মুখর হয়ে ওঠে। বিশেষ করে পাহাড়ের আম ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন বাজারে ক্রেতাদের নজর কেড়েছে। কাঁঠাল, লিচু, আনারসহ বিভিন্ন ফলের চাহিদাও বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বান্দরবান শহরসহ বিভিন্ন বাজার প্রতিদিনই পাকা ফলে ভরে উঠছে। এপ্রিলের শুরু থেকে জুন-জুলাই পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বান্দরবানের ফল বাজার দখল করে থাকে। আমসহ এসব ফল স্থানীয়দের কাছে যেমন চাহিদা রয়েছে, তেমনি পর্যটকেরাও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যান।
বান্দরবান-চিম্বুক সড়কের শৈলপ্রপাত পর্যটন এলাকায় সম্প্রতি ঘুরতে এসেছিলেন ঢাকার পর্যটক দম্পতি আনোয়ার-শাহানা। তাঁরা জানান, রাজধানীতে যেসব ফল পাওয়া যায়, তাতে প্রচুর পরিমাণ ফরমালিন থাকে। সেই তুলনায় পাহাড়ে উৎপাদিত এসব ফল ফরমালিনমুক্ত।
জেলার থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৌসুমের শুরুতে পুরো বাগান বাইরের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন চাষিরা। বাগান বিক্রির হিসাব পর্যালোচনায় প্রতি কেজি আম ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। ৪৮ থেকে ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে উপজেলায় উৎপাদিত আম জেলা শহরে জাতভেদে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে। শৌখিন চাষিদের উৎপাদিত বিদেশি প্রজাতির কিছু আম ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাহাড়ে স্থানীয় জাতের রাংগোয়াই, আম্রপালি, হিমসাগর, হাঁড়িভাঙা, বারিসহ বিভিন্ন আকারের থোকা থোকা আমের ভারে গাছগুলোর ডালপালা নুয়ে পড়েছে।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছর বান্দরবানে ৭ হাজার ৬৮৮ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯২৮ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল, ১ হাজার ২৪০ হেক্টরে লিচু এবং ৪ হাজার ৪৭ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে।
এদিকে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারকে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় মিনি আকারে সংগ্রহশালা তৈরি করার জন্য জানানো হয়েছে। এতে হিমাগারের অভাবে ফলন নষ্ট হবে না। খুব শিগগির বান্দরবানে এই ব্যবস্থা চালু হবে বলে মনে করেন বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বান্দরবানের আমসহ অন্যান্য ফলের চাহিদা রয়েছে। কারণ, এখানকার ফল অরগানিক। পাহাড়ের কৃষকেরা সে পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহারের অভ্যস্ত নয়।
পাহাড় থেকে বাজারে ফল আনার জন্য যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন, সংগৃহীত ফলের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সংগ্রহের পর অপচয় কমানো, সংরক্ষণ এবং মজুতের যথাযথ সুবিধা গড়ে তোলা হলে বান্দরবানে উৎপাদিত ফলের দেশ-বিদেশে আরও চাহিদা বাড়বে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪