Ajker Patrika

রাস্তায় খোয়া বিছিয়ে লাপাত্তা ঠিকাদার

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২২, ১৫: ০৪
Thumbnail image

রাস্তা পাকাকরণের জন্য খোয়া বিছিয়ে সাত মাস ধরে লাপাত্তা ঠিকাদার। এতে যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ছয় গ্রামের শত শত মানুষ।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের ফরিঙ্গাদীঘি বাজার থেকে ৫০০ মিটার দীর্ঘ রাস্তাটির পাকাকরণের কাজ পায় ঠাকুরগাঁওয়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল ইকোয়ান ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরি। প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। গত বছরের জুলাই মাসে কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের ২০ মার্চের মধ্যে রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখনো রাস্তায় খোয়া বিছানোই আছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিম্নমানের খোয়া বিছানো হয়েছে।

গতকাল রোববার দেখা গেছে, ফরিঙ্গাদীঘি বাজার থেকে রাস্তা পাকাকরণের জন্য ৫০ থেকে ১৫০ মিলি খোয়া বিছিয়ে রাখা হয়েছে। খোয়াগুলোতে রোলার না করায় এলোমেলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। পথচারীদের সাইকেল-মোটরসাইকেলে করে যেতে বেগ পেতে হচ্ছে। হেঁটে যাওয়াও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এতে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর সবুর বলেন, ‘রাস্তাটি খোয়া বিছিয়ে রোলার না করায় আমাকে মোটরসাইকেলের দুটি টায়ার পরিবর্তন করতে হয়েছে। সাত মাস ধরে বিনা রোলারে খোয়া বিছিয়ে রেখেছে। খননকাজ মিলিয়ে প্রায় দুই বছর হয়ে গেল। তবু পাকাকরণ শেষ হচ্ছে না।’

পথচারী মিজান, কাদের ও আনোয়ার বলেন, ‘আমরা হেঁটে যেতে পারি না। ইটের খোয়ার ওপর পা পড়লেই পিছলে যায়। একটু অসাবধান হলে পা ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করি। আমাদের এই কষ্ট দূর করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন কাজটি শেষ করা হয়।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রাস্তা নির্মাণের কাজটি দেখভাল করছেন রানীশংকৈল পৌরসভার কাউন্সিলর ঠিকাদার মিঠু ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তায় খোয়ার কাজ শেষ করে খুব শিগগির কার্পেটিং করা হবে।’ তবে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ওই সড়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল গণি বলেন, কাজটি শেষ করার কথা ছিল গত ২০ মার্চের মধ্যে, কিন্তু ঠিকাদার এখনো তা বাস্তবায়ন করতে পারেননি। কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী কে এম সাব্বিরুল ইনামের কার্যালয়ে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনে রাস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কলটি কেটে দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত