Ajker Patrika

বাঁধ নির্মাণকাজ বন্ধ থেমে নেই ভাঙন

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২২, ১২: ৫৫
বাঁধ নির্মাণকাজ বন্ধ  থেমে নেই ভাঙন

লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। উদ্বোধনের তিন মাসের বেশি সময় পার হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রকল্পের কাজ থেমে থাকলেও থেমে নেই মেঘনার ভাঙন। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বর্ষার আগে বাঁধ নির্মাণ না হলে বিস্তীর্ণ জনপদ বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এমন পরিস্থিতিতে ভাঙন রোধে দ্রুত নদীর তীর সংরক্ষণে দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি করেন তাঁরা।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জুনে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বড়খেরী ও লুধুয়াবাজার এবং কাদির পণ্ডিতের হাট এলাকা ভাঙন হতে রক্ষাকল্পে মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন হয়। ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। একই বছরের আগস্টে প্রকল্পের টেন্ডার হয়। দ্রুত বাস্তবায়নে পুরো কাজ ৯৯ প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। উদ্বোধনের পর সামান্য কিছু জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার পর কাজ বন্ধ রয়েছে। নেই কাজের কোনো অগ্রগতি।

উপজেলার সাহেবেরহাট, কালকিনি, ফলকন ও পাটারিরহাট ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও কোনো কাজ চলে না। ঘটনাস্থলে নেই শ্রমিক ও নির্মাণসামগ্রী।

পাওয়া যায়নি ঠিকাদারের কোনো লোকজন। এদিকে অব্যাহতভাবে নদী ভাঙছে। বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, রাস্তাঘাট, হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলি জমিসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।

জানা গেছে, ঠিকাদার স্থানীয় কিছু দালালের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করে। এখন তাদের মধ্যে দরদাম নিয়ে ঝামেলা দেখা দেয়, যে কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে।

এদিকে জিও ব্যাগ ডাম্পিংসহ নদীর তীর রক্ষা বাঁধের নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে এলাকা। সব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে শত শত পরিবার। স্থানীয়রা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে বলেন, বসতভিটা রক্ষায় বর্ষার আগে বাঁধ নির্মাণকাজ করতে হবে। বিলম্ব না করে যথাসময়ে মজবুত ও টেকসই বাঁধ নির্মাণ চান তাঁরা।

লক্ষ্মীপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদার চাঁদপুর থেকে বালু এনে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ করতেন। কিন্তু সেখানে বালুসংকটের কারণ দেখিয়ে তাঁরা সাময়িক কাজ বন্ধ রেখেছেন। তবে কোন জায়গা থেকে বালু সংগ্রহ করবেন, সেটা তাঁদের বিষয়। আমরা ঠিকাদারদের চিঠি দিয়েছি, তাঁরা যেন কাজ বন্ধ না রেখে চালিয়ে যান। আশা করি আগামী পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে তাঁরা কাজ শুরু করবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত