Ajker Patrika

মেঝেতে ঠাঁই রোগীদের

আবদুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১০: ৫১
মেঝেতে ঠাঁই রোগীদের

খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে সর্দি-জ্বরের প্রাদুর্ভাব প্রকোপ বাড়ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের দৈনিক সেবা নিচ্ছেন গড়ে ৩০০ রোগী। লোকবল সংকটের কারণে ভর্তি রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

এদিকে ফার্মেসিতে প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধ সংকটে রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, আতঙ্কিত না হয়ে নিয়মিত ওষুধ সেবনে ভাইরাসজনিত সর্দি, জ্বর সেরে যাবে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি সম্প্রতি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে। তবে এখনো জনবল, আসবাবপত্রের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায়নি। ফলে ১০ শয্যার জনবল ও বেডে দিয়ে চলছে সেবা দিন।

এদিকে উপজেলায় হঠাৎ করে সর্দি, কাশি ও জ্বরের প্রকোপ বেড়ে গেছে। ফলে প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে গড়ে ৩০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া ভর্তি থাকছে গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ জন। ফলে বাধ্য হয়েই হাসপাতালের মেঝেতে রোগী ভর্তি দিতে হচ্ছে! গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় হাসপাতালে গিয়ে এই দুরবস্থার আজকের পত্রিকার নজরে এসেছে।

উপ-সহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা (সেকমো) ডা. মো. মহি উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হঠাৎ জনপদে জ্বর, সর্দি ও কাশির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে।

জনবল সংকটে আমাদের বাধ্য হয়ে সময়ে-অসময়েও দায়িত্ব পালন করতে হয়। হাসপাতালে ওষুধ সংকট নেই, কিন্তু ফার্মেসিতে প্যারাসিটামল সরবরাহ কম থাকায় সাধারণ জ্বরের রোগীরাও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করছেন।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতন খীসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫০ শয্যার জনবল, আসবাবপত্রের প্রশাসনিক অনুমোদন হলে দ্রুত সংকট কেটে যেত। এতে চরিদা অনুযায়ী চিকিৎসা দিয়ে স্বস্তি পেতাম। এ ছাড়া শীত আসার আগে সর্দি, জ্বর ও কাশির প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়া অস্বাভাবিক নয়। নিয়মিত ওষুধ সেবন ও বিশ্রাম নিলে দ্রুত সেরে যাবে।’

ডা. রতন খীসা জানান, এমনিতে ১০ শয্যার জন্য অনুমোদিত ৭৫টি পদের বিপরীতে এখানে আছে মাত্র ৪৫ টি! আর ৫০ শয্যার জনবল হিসেবে থাকার কথা দেড় শ জন। ৫০ শয্যার অনুমোদন পাওয়া গেলে এ সমস্যা কেটে যাবে।

জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য এম এ জব্বার বলেন, জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগে নানা সংকট নিরসনে কাজ চলছে। মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যার প্রশাসনিক অনুমোদন পেলে জনবল নিয়োগসহ সমস্যাগুলো নিরসন করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত