মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার
কমলগঞ্জে বুনো শূকরের হানায় নষ্ট হয়েছে প্রায় এক হাজার একর জমির আমন ও সবজিখেত। এক মাস ধরে উপজেলার প্রায় ছয়টি এলাকায় চলছে এই তাণ্ডব। পাকা ধান ঘরে তোলার সময় এ ভোগান্তিতে ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। এ অবস্থায় বুনো শূকর থেকে ফসল বাঁচানোর জন্য রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা অভিযোগ করে জানান, লংগুরপার, দক্ষিণ বালিগাঁও, বাঘমারা, সরইবাড়ি, ভেড়াছড়া, ছাতকছড়া এলাকার ফসলি জমিতে লাউয়াছড়া বনের বুনো শূকর প্রতি রাতে হানা দেয়। আমন পাকা ধান ও শীতকালীন সবজিখেতে শূকরের দল এসে তা নষ্ট করে। ধান, আলু, মুলা এমনকি কলাগাছসহ বিভিন্ন গাছ উপড়ে ফেলে।
এদিকে শূকর তাড়ানোর চেষ্টা করলে উল্টো মানুষকে ধাওয়া করে। সারা দিন কাজ করে আবার রাত জেগে ফসল পাহারা দিতে হয়। কৃষকেরা বুনো শূকরের হানায় ফসল মাঠে রাখতে পারছেন না।
শীতের মধ্যে পাকা ধান রক্ষায় মাঠে বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে পাহারা দেন কৃষকেরা। সঙ্গে রাখেন প্লাস্টিক ও টিনের তৈরি ড্রাম। কিছুক্ষণ পর শব্দ করে চিৎকার করেন, যাতে শূকর চলে যায়। কৃষক জাহির মিয়া ফসলি মাঠে বাঁশ দিয়ে ৪ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট মাচা তৈরি করে রাতে বসে থাকেন শূকর তাড়ানোর জন্য।
জাহির মিয়া বলেন, ‘শূকর আমাদের সব ফসল নষ্ট করে ফেলছে। এ অবস্থায় প্লাস্টিক ও টিনের ড্রামের শব্দ করে রাত জেগে ফসল পাহারা দিতে হয়। এসব শূকর মানুষকেও আক্রমণ করে। এ কারণে ৪ ফুট উঁচুতে বাঁশের মাচা তৈরি করেছি, যাতে বন্য শূকর আক্রমণ করতে না পারে।’
এভাবে মাচা তৈরি করে রাতভর পাহারা দিচ্ছেন কৃষক মুরাজ মিয়া, আবুল হোসেন, কৈইনুর, দুলাল মিয়া। ফসল কাটার আগ পর্যন্ত চলবে তাঁদের পাহারা দেওয়ার কাজ। তবে বুনো শূকরের আক্রমণ ঠেকাতে এখন পর্যন্ত সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে দাবি করেন কৃষকেরা।
পরিবেশবাদী সংগঠন জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি কমলগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক মো. আহাদ মিয়া বলেন, বন উজাড় ও বনভূমি বেদখল হওয়ার কারণে এখন বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। আগে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে হানা দেয়নি, মানুষের কোনো ক্ষতি করেনি। লাউয়াছড়ার বেদখল বনভূমি উদ্ধার করে বন্যপ্রাণীদের জন্য বনজ গাছ লাগানোর দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গল বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বন্যপ্রাণীর নির্দিষ্ট কোনো এলাকা নেই। বন্যপ্রাণীরা খাবারের জন্য লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। বিশেষ করে বুনো শূকর ধান খেতে পছন্দ করে, মূলত পাকা ধান খাওয়ার জন্য ফসলের মাঠে হানা দিচ্ছে শূকরের দল।
শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বুনো শূকরের বংশবিস্তার আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। শূকরের দলের বনের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে বিচরণ করা স্বাভাবিক বিষয় হলেও ফসল নষ্ট হওয়ায় ঘটনা দুঃখজনক।
কমলগঞ্জে বুনো শূকরের হানায় নষ্ট হয়েছে প্রায় এক হাজার একর জমির আমন ও সবজিখেত। এক মাস ধরে উপজেলার প্রায় ছয়টি এলাকায় চলছে এই তাণ্ডব। পাকা ধান ঘরে তোলার সময় এ ভোগান্তিতে ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। এ অবস্থায় বুনো শূকর থেকে ফসল বাঁচানোর জন্য রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা অভিযোগ করে জানান, লংগুরপার, দক্ষিণ বালিগাঁও, বাঘমারা, সরইবাড়ি, ভেড়াছড়া, ছাতকছড়া এলাকার ফসলি জমিতে লাউয়াছড়া বনের বুনো শূকর প্রতি রাতে হানা দেয়। আমন পাকা ধান ও শীতকালীন সবজিখেতে শূকরের দল এসে তা নষ্ট করে। ধান, আলু, মুলা এমনকি কলাগাছসহ বিভিন্ন গাছ উপড়ে ফেলে।
এদিকে শূকর তাড়ানোর চেষ্টা করলে উল্টো মানুষকে ধাওয়া করে। সারা দিন কাজ করে আবার রাত জেগে ফসল পাহারা দিতে হয়। কৃষকেরা বুনো শূকরের হানায় ফসল মাঠে রাখতে পারছেন না।
শীতের মধ্যে পাকা ধান রক্ষায় মাঠে বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে পাহারা দেন কৃষকেরা। সঙ্গে রাখেন প্লাস্টিক ও টিনের তৈরি ড্রাম। কিছুক্ষণ পর শব্দ করে চিৎকার করেন, যাতে শূকর চলে যায়। কৃষক জাহির মিয়া ফসলি মাঠে বাঁশ দিয়ে ৪ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট মাচা তৈরি করে রাতে বসে থাকেন শূকর তাড়ানোর জন্য।
জাহির মিয়া বলেন, ‘শূকর আমাদের সব ফসল নষ্ট করে ফেলছে। এ অবস্থায় প্লাস্টিক ও টিনের ড্রামের শব্দ করে রাত জেগে ফসল পাহারা দিতে হয়। এসব শূকর মানুষকেও আক্রমণ করে। এ কারণে ৪ ফুট উঁচুতে বাঁশের মাচা তৈরি করেছি, যাতে বন্য শূকর আক্রমণ করতে না পারে।’
এভাবে মাচা তৈরি করে রাতভর পাহারা দিচ্ছেন কৃষক মুরাজ মিয়া, আবুল হোসেন, কৈইনুর, দুলাল মিয়া। ফসল কাটার আগ পর্যন্ত চলবে তাঁদের পাহারা দেওয়ার কাজ। তবে বুনো শূকরের আক্রমণ ঠেকাতে এখন পর্যন্ত সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে দাবি করেন কৃষকেরা।
পরিবেশবাদী সংগঠন জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি কমলগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক মো. আহাদ মিয়া বলেন, বন উজাড় ও বনভূমি বেদখল হওয়ার কারণে এখন বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। আগে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে হানা দেয়নি, মানুষের কোনো ক্ষতি করেনি। লাউয়াছড়ার বেদখল বনভূমি উদ্ধার করে বন্যপ্রাণীদের জন্য বনজ গাছ লাগানোর দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গল বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বন্যপ্রাণীর নির্দিষ্ট কোনো এলাকা নেই। বন্যপ্রাণীরা খাবারের জন্য লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। বিশেষ করে বুনো শূকর ধান খেতে পছন্দ করে, মূলত পাকা ধান খাওয়ার জন্য ফসলের মাঠে হানা দিচ্ছে শূকরের দল।
শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বুনো শূকরের বংশবিস্তার আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। শূকরের দলের বনের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে বিচরণ করা স্বাভাবিক বিষয় হলেও ফসল নষ্ট হওয়ায় ঘটনা দুঃখজনক।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
৩ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫