কঙ্কণ সরকার
সাদা সাদা ফুলে ভরে আছে পুরো গাছ। শত বছর ধরে নাকি এভাবে ফুল ফুটিয়ে যাচ্ছে সে! সেই পুরোনো সঙ্গীসাথি কেউ নেই, বয়সের ভারে তাদের শরীর গেছে ধুলায় মিশে। এখন একা দাঁড়িয়ে আছে শতবর্ষী কুরচি, সাদা রঙের সুগন্ধি ফুলে ভরা ক্ষুদ্র আকৃতির বৃক্ষ।
রবীন্দ্রনাথ কুরচির রূপে মোহিত হয়েছিলেন। লিখেছিলেন, ‘কুরচি, তোমার লাগি পদ্মেরে ভুলেছে অন্যমনা/ যে ভ্রমর, শুনি নাকি তারে কবি করেছে ভর্ৎসনা।’ কালিদাসও প্রেমে পড়েছিলেন তার। এর আরেক নাম গিরিমল্লিকা। এ ছাড়া কুরচি কুটজ, কুটরাজ, ইন্দ্রযব, ইন্দ্রজৌ, বৎসক, কলিঙ্গ, প্রাবৃষ্য, শত্রুপাদপ, সংগ্রাহী, পাণ্ডুরদ্রুম, মহাগন্ধ ও কোটিশ্বর নামেও পরিচিত আমাদের অতি প্রিয় কুরচি। তবে এর ইংরেজি নাম ইস্টার ফ্লাওয়ার।
প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা ফুলে ভরা গাছটি চোখে পড়ল তার ফুলের জন্য। অটোরিকশায় চেপে যাচ্ছি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে শোভাগঞ্জের দিকে। এমন যাত্রাপথে আমার চোখ চলে যায় দুধারে গাছ-ফুল-পাখি-মাঠ-খেতের দিকে। কোথায় কী ফুল ফুটেছে, কোথায় কোন গাছ চোখে পড়ে, সেগুলো খুঁজতে খুঁজতে চলি অলস যাত্রাপথে। সুন্দরগঞ্জ থেকে শোভাগঞ্জের পথে বকুলতলা নামে একটি জায়গা আছে। বকুলতলার পূর্ব দিকে জমির আলে সাদা ফুলে পূর্ণ গাছটি চোখে পড়ল চলতে চলতে। ভালো করে তাকাতে তাকাতেই পেরিয়ে গেলাম। কাজ দ্রুত সেরে ফিরি এই শ্বেতসুন্দরীকে দেখার লোভে। জমির আলে কয়েকটি ইউক্যালিপটাস ও খোকসাগাছ। সঙ্গে কাশের ঝোপ। সেগুলোর মাঝে ফুলভর্তি গাছটি দাঁড়িয়ে গ্রীষ্মের তপ্ত রোদে।
আমি ফুল দেখছি, আর পাশ থেকে একজন আমাকে দেখছেন। তাঁর কাছে গেলাম। তিনি স্থানীয় চালকলমালিক লিটন। তপ্ত গরমে চালকলের বারান্দায় বসে অলস সময় পার করছেন। কাছে বসে ফুলে ভরা গাছটির কথা বললাম। লিটন জানালেন, এ গাছ বহুদিনের। ছোটবেলা থেকে গাছটিকে তিনি এমন দেখছেন। জানালেন, তাঁর বাবার বয়স সাতানব্বই বছর। তাঁর কাছে শুনেছেন, নিজেও কিছু দেখেছেন, এ জায়গা ছিল জঙ্গলে ভরা। সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে শতবর্ষী এ কুরচিগাছ।
আবারও কাছে গিয়ে দেখি, ছবি তুলি। গাছের ছাল ধূসর রঙের। নতুন পাতা গজাচ্ছে এখন। গাছ বেশি উঁচু নয়, এটিই এর বৈশিষ্ট্য। শীতকালে এদের সব পাতা ঝরে পড়ে। ফাল্গুনের শেষ থেকে দু-এক স্তবক কচি পাতার সঙ্গে ফুল ফুটতে শুরু করে এবং থাকে প্রায় বর্ষা পর্যন্ত। তবে শরৎ পর্যন্ত ফুটতে দেখা যায়।
কুরচি তার রূপ আর ঘ্রাণের সঙ্গে গুণেও অনন্য। কুরচির ফুল, বাকল ও ফল থেকে মেলে আমাশয়ের ওষুধ। তা ছাড়া কুরচি ফুল রক্তদোষ, পাতা বাত ও ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, অর্শ ও একজিমায় উপকারী। এটি পেটের রোগের জন্য ভালো ওষুধ। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় কুরচির উপস্থিতি দেখা যায়। ভেষজ গুণে ভরা এ গাছের কাঠ কিন্তু শক্ত নয়, ফলে দামও নেই। তবে এর নরম কাঠ দিয়ে পুতুল ও খেলনা তৈরি করা যায়।
কুরচির আদি বাস মধ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারতীয় উপমহাদেশ, ইন্দোচীন ও চীনের কিছু অংশে। আমাদের দেশের শালবন অঞ্চলসহ সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বনে এই গাছ প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিলেও বাগান, প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির উঠানে পাওয়া যায়।
সাদা সাদা ফুলে ভরে আছে পুরো গাছ। শত বছর ধরে নাকি এভাবে ফুল ফুটিয়ে যাচ্ছে সে! সেই পুরোনো সঙ্গীসাথি কেউ নেই, বয়সের ভারে তাদের শরীর গেছে ধুলায় মিশে। এখন একা দাঁড়িয়ে আছে শতবর্ষী কুরচি, সাদা রঙের সুগন্ধি ফুলে ভরা ক্ষুদ্র আকৃতির বৃক্ষ।
রবীন্দ্রনাথ কুরচির রূপে মোহিত হয়েছিলেন। লিখেছিলেন, ‘কুরচি, তোমার লাগি পদ্মেরে ভুলেছে অন্যমনা/ যে ভ্রমর, শুনি নাকি তারে কবি করেছে ভর্ৎসনা।’ কালিদাসও প্রেমে পড়েছিলেন তার। এর আরেক নাম গিরিমল্লিকা। এ ছাড়া কুরচি কুটজ, কুটরাজ, ইন্দ্রযব, ইন্দ্রজৌ, বৎসক, কলিঙ্গ, প্রাবৃষ্য, শত্রুপাদপ, সংগ্রাহী, পাণ্ডুরদ্রুম, মহাগন্ধ ও কোটিশ্বর নামেও পরিচিত আমাদের অতি প্রিয় কুরচি। তবে এর ইংরেজি নাম ইস্টার ফ্লাওয়ার।
প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা ফুলে ভরা গাছটি চোখে পড়ল তার ফুলের জন্য। অটোরিকশায় চেপে যাচ্ছি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে শোভাগঞ্জের দিকে। এমন যাত্রাপথে আমার চোখ চলে যায় দুধারে গাছ-ফুল-পাখি-মাঠ-খেতের দিকে। কোথায় কী ফুল ফুটেছে, কোথায় কোন গাছ চোখে পড়ে, সেগুলো খুঁজতে খুঁজতে চলি অলস যাত্রাপথে। সুন্দরগঞ্জ থেকে শোভাগঞ্জের পথে বকুলতলা নামে একটি জায়গা আছে। বকুলতলার পূর্ব দিকে জমির আলে সাদা ফুলে পূর্ণ গাছটি চোখে পড়ল চলতে চলতে। ভালো করে তাকাতে তাকাতেই পেরিয়ে গেলাম। কাজ দ্রুত সেরে ফিরি এই শ্বেতসুন্দরীকে দেখার লোভে। জমির আলে কয়েকটি ইউক্যালিপটাস ও খোকসাগাছ। সঙ্গে কাশের ঝোপ। সেগুলোর মাঝে ফুলভর্তি গাছটি দাঁড়িয়ে গ্রীষ্মের তপ্ত রোদে।
আমি ফুল দেখছি, আর পাশ থেকে একজন আমাকে দেখছেন। তাঁর কাছে গেলাম। তিনি স্থানীয় চালকলমালিক লিটন। তপ্ত গরমে চালকলের বারান্দায় বসে অলস সময় পার করছেন। কাছে বসে ফুলে ভরা গাছটির কথা বললাম। লিটন জানালেন, এ গাছ বহুদিনের। ছোটবেলা থেকে গাছটিকে তিনি এমন দেখছেন। জানালেন, তাঁর বাবার বয়স সাতানব্বই বছর। তাঁর কাছে শুনেছেন, নিজেও কিছু দেখেছেন, এ জায়গা ছিল জঙ্গলে ভরা। সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে শতবর্ষী এ কুরচিগাছ।
আবারও কাছে গিয়ে দেখি, ছবি তুলি। গাছের ছাল ধূসর রঙের। নতুন পাতা গজাচ্ছে এখন। গাছ বেশি উঁচু নয়, এটিই এর বৈশিষ্ট্য। শীতকালে এদের সব পাতা ঝরে পড়ে। ফাল্গুনের শেষ থেকে দু-এক স্তবক কচি পাতার সঙ্গে ফুল ফুটতে শুরু করে এবং থাকে প্রায় বর্ষা পর্যন্ত। তবে শরৎ পর্যন্ত ফুটতে দেখা যায়।
কুরচি তার রূপ আর ঘ্রাণের সঙ্গে গুণেও অনন্য। কুরচির ফুল, বাকল ও ফল থেকে মেলে আমাশয়ের ওষুধ। তা ছাড়া কুরচি ফুল রক্তদোষ, পাতা বাত ও ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, অর্শ ও একজিমায় উপকারী। এটি পেটের রোগের জন্য ভালো ওষুধ। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় কুরচির উপস্থিতি দেখা যায়। ভেষজ গুণে ভরা এ গাছের কাঠ কিন্তু শক্ত নয়, ফলে দামও নেই। তবে এর নরম কাঠ দিয়ে পুতুল ও খেলনা তৈরি করা যায়।
কুরচির আদি বাস মধ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারতীয় উপমহাদেশ, ইন্দোচীন ও চীনের কিছু অংশে। আমাদের দেশের শালবন অঞ্চলসহ সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বনে এই গাছ প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিলেও বাগান, প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির উঠানে পাওয়া যায়।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪