Ajker Patrika

টিকা নিতে ভোগান্তি ভাঙচুর ও বিক্ষোভ

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ৪১
টিকা নিতে ভোগান্তি ভাঙচুর ও বিক্ষোভ

নাটোরের লালপুরে শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে ভোগান্তিতে হট্টগোল, বিক্ষোভ ও শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভাঙচুর করেছে বলে জানা গেছে। গতকাল শনিবার লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদানের প্রথম দিনে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ কে এম সাহাব উদ্দিন বলেন, গতকাল লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ৪৫৮ জন, লালপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৬৭০, বালিতিতা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের ২৬১, লালপুর থানা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ১৬২ ও বালিতিতা ফাজিল মাদ্রাসার ৮০ জন শিক্ষার্থীর টিকাদানের তারিখ নির্ধারিত হয়। সকাল ৯টা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে শিক্ষার্থীরা ভিড় করতে থাকে। কারও কারও সঙ্গে একাধিক অভিভাবকও আসতে থাকেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টিকা নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে শিক্ষার্থীরা। নানা অব্যবস্থাপনায় নির্বিঘ্নে টিকাদানে ভোগান্তিতে পড়ায় বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। হট্টগোলের একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সভাকক্ষের দরজা ও কাচ ভেঙে ফেলে।

মেয়েকে নিয়ে আসা এক ছাত্রীর মা জানান, একসঙ্গে সবার টিকা দেওয়া হচ্ছে, অথচ কোনো নিয়ম নেই। স্কুলে টিকা দেওয়া হলে এমন ভোগান্তি হতো না।

টিকা নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলে, টিকা পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা নিতে এসে বেশ কষ্ট হয়েছে। নিজ প্রতিষ্ঠানে টিকা দেওয়া ব্যবস্থা হলে এমন হতো না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির কারণে প্রথম দিন টিকাদানে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। পরবর্তীকালে আর সমস্যা হবে না বলে আশা করেন তিনি।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলুর রহমান বলেন, টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে ভিড় করায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, প্রথম দিন বুঝতে না পারায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ জনের টিকা কার্যক্রমের সুবিধা রয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেখানে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভিড় করে। আজকের অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখ ও সময় শিক্ষকেরা সঙ্গে নিয়ে আসবেন। চিহ্নিত করতে শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত