উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেওয়া কর্মসূচিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো দেশ। সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন এখন সরকার পতনের এক দফায় রূপ নিয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আজ রোববার ‘নিরাপত্তাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটি’র বৈঠক আহ্বান করেছে সরকার। কমিটির আহ্বায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে বেলা ১১টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কমিটির সব সদস্যকে উপস্থিত থাকতে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
নিরাপত্তাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটি দেশের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, কমিটির আজকের সভায় চলমান পরিস্থিতিসহ দেশে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা হবে। বিশেষ করে সদ্য নিষিদ্ধ জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন মোকাবিলার পাশাপাশি দাতা সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক শক্তিকে আস্থায় আনার কৌশল নির্ধারণ করা হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিটির একাধিক সদস্য জানান, কমিটি গঠনের পর এই প্রথমবারের মতো বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। মূলত দুটি বিষয় সামনে রেখে এই বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। তার একটি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, অপরটি হলো জামায়াত-শিবিরের সম্ভাব্য সহিংসতা প্রতিরোধ। সেখানে সরকারপ্রধানের সামনে মাঠের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও সর্বশেষ অবস্থার বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হতে পারে। সেই আলোকে কীভাবে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়, তার কৌশল নির্ধারণ করা হতে পারে। এর বাইরেও যাতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয়, সে বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হতে পারে।
জানা গেছে, এ বৈঠক সামনে রেখে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যে পৃথক পৃথক প্রতিবেদন সরকারের শীর্ষ মহলে পাঠিয়েছে। এসব প্রতিবেদনে চলমান কোটা সংস্থার আন্দোলনের সর্বশেষ অবস্থা, রাজনৈতিক ইস্যু, সরকারবিরোধী তৎপরতা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারবিরোধী নানা অপপ্রচার, ক্ষমতাসীন দলের মাঠপর্যায়ের অবস্থার বিশদ বিবরণ রয়েছে। এ ছাড়া সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াত-শিবির দেশে কী ধরনের নৈরাজ্য পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে, সে বিষয়েও সরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনের সুপারিশ রয়েছে। এসবের ভিত্তিতে কমিটির প্রধান প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে গত জানুয়ারিতে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। দায়িত্ব নেওয়ার পরই গত ৩০ জানুয়ারি গঠন করা হয় ‘নিরাপত্তাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটি’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২৭ সদস্যের এই শক্তিশালী কমিটিতে আছেন অর্থমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সেনা-বিমান ও নৌবাহিনী প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব এবং পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এবং জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত সেলের নির্বাহী প্রধানও আছেন কমিটিতে। কমিটির সদস্য ২৭ জন হলেও বৈঠকে শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত থাকতে পারেন।
আরও খবর পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেওয়া কর্মসূচিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো দেশ। সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন এখন সরকার পতনের এক দফায় রূপ নিয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আজ রোববার ‘নিরাপত্তাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটি’র বৈঠক আহ্বান করেছে সরকার। কমিটির আহ্বায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে বেলা ১১টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কমিটির সব সদস্যকে উপস্থিত থাকতে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
নিরাপত্তাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটি দেশের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, কমিটির আজকের সভায় চলমান পরিস্থিতিসহ দেশে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা হবে। বিশেষ করে সদ্য নিষিদ্ধ জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন মোকাবিলার পাশাপাশি দাতা সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক শক্তিকে আস্থায় আনার কৌশল নির্ধারণ করা হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিটির একাধিক সদস্য জানান, কমিটি গঠনের পর এই প্রথমবারের মতো বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। মূলত দুটি বিষয় সামনে রেখে এই বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। তার একটি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, অপরটি হলো জামায়াত-শিবিরের সম্ভাব্য সহিংসতা প্রতিরোধ। সেখানে সরকারপ্রধানের সামনে মাঠের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও সর্বশেষ অবস্থার বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হতে পারে। সেই আলোকে কীভাবে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়, তার কৌশল নির্ধারণ করা হতে পারে। এর বাইরেও যাতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয়, সে বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হতে পারে।
জানা গেছে, এ বৈঠক সামনে রেখে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যে পৃথক পৃথক প্রতিবেদন সরকারের শীর্ষ মহলে পাঠিয়েছে। এসব প্রতিবেদনে চলমান কোটা সংস্থার আন্দোলনের সর্বশেষ অবস্থা, রাজনৈতিক ইস্যু, সরকারবিরোধী তৎপরতা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারবিরোধী নানা অপপ্রচার, ক্ষমতাসীন দলের মাঠপর্যায়ের অবস্থার বিশদ বিবরণ রয়েছে। এ ছাড়া সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াত-শিবির দেশে কী ধরনের নৈরাজ্য পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে, সে বিষয়েও সরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনের সুপারিশ রয়েছে। এসবের ভিত্তিতে কমিটির প্রধান প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে গত জানুয়ারিতে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। দায়িত্ব নেওয়ার পরই গত ৩০ জানুয়ারি গঠন করা হয় ‘নিরাপত্তাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটি’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২৭ সদস্যের এই শক্তিশালী কমিটিতে আছেন অর্থমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সেনা-বিমান ও নৌবাহিনী প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব এবং পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এবং জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত সেলের নির্বাহী প্রধানও আছেন কমিটিতে। কমিটির সদস্য ২৭ জন হলেও বৈঠকে শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত থাকতে পারেন।
আরও খবর পড়ুন:
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৮ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৮ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৮ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫