বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
বান্দরবানের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র নীলাচল ও নীলগিরি। এ নামের সঙ্গে মিল রেখে প্রায় পাঁচ বছর আগে গড়ে তোলা হয় ‘নীল দিগন্ত’। শুরুর কয়েক বছরের মধ্যেই করোনায় বন্ধ থাকায় পর্যটনকেন্দ্রটি এখনো অপরিচিত। দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভেতরের বেঞ্চ ও কটেজগুলো নড়বড়ে হয়ে গেছে। আগামী এপ্রিলে পর্যটনকেন্দ্রটি নতুনভাবে চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। জেলা ও থানচি উপজেলা প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জেলা সদর থেকে প্রায় ৫২ কিলোমিটার দূরে বান্দরবান-থানচি সড়কের জীবননগর এলাকায় নীল দিগন্ত নামে পর্যটনকেন্দ্রটি গড়ে তুলে জেলা প্রশাসন। তবে এলাকাটি থানচি উপজেলার আওতায় হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনই এর পরিচালনা করত।
থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন নীল দিগন্তকে নতুনভাবে সাজিয়ে পুনরায় চালুর জন্য কাজ করছে। আগামী ১০ এপ্রিল এটি চালু করা হবে।
সম্প্রতি নীল দিগন্তে গিয়ে দেখা গেছে, পর্যটনকেন্দ্রে ঢোকার প্রধান ফটকে তালা লাগানো। ফটকের রং ঝলসে গেছে। ভেতরে বসার বেঞ্চ, কটেজগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়া ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নড়বড়ে হয়ে গেছে। ময়লা-আবর্জনা জমে আছে। কেন্দ্রের গাছেও অযত্ন ও অবহেলার ছাপ। গেটে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও দায়িত্বরত কাউকে পাওয়া যায়নি।
পরে যোগাযোগ করলে থানচি উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, করোনার কারণে নীল দিগন্ত পর্যটনকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। তাই সেখানে কোনো দায়িত্বরত কর্মী নেই। এ কারণে সেটি কিছুটা অগোছাল।
জেলা সদর থেকে অর্ধশত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নীল দিগন্ত পর্যটনকেন্দ্র ঠিকঠাক মতো সাজিয়ে পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। আগামী এপ্রিলেই এটি চালু করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই জেলা প্রশাসন, থানচি উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সহায়তায় নীল দিগন্ত পর্যটনকেন্দ্র চালু হয়। বান্দরবান-থানচি সড়কের পাশেই উঁচু পাহাড়ের ওপর গড়ে তোলা হয় কেন্দ্রটি।
থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গণী ওসমানীর জানান, চালুর পর নীল দিগন্ত পর্যটনপ্রেমীদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠছিল। নীল দিগন্ত থেকে নীল আকাশ, মেঘ ও সবুজ পাহাড়ের দৃশ্য দেখার সুযোগ থাকায় অনেকেই সেখানে ভিড় জমাতেন। তবে ২০২০ সালে করোনা শুরু হলে এর নেতিবাচক প্রভাব নীল দিগন্তে পড়ে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এটির অবকাঠামো ও ভেতরের প্রাকৃতিক দৃশ্য, পরিবেশও নষ্ট হয়ে যায়।
পুনরায় চালুর অগ্রগতি সম্পর্কে থানচি উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নীল দিগন্ত পর্যটনকেন্দ্রে কটেজ ও বাথরুম নষ্ট হয়ে আছে। এগুলো সংস্কারের কাজ চলছে। এ ছাড়া পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে নীল দিগন্তের প্রায় ছয় কিলোমিটার নিচের উৎস থেকে মোটরের মাধ্যমে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজ করছে।
এদিকে বিদ্যুতের সংযোগ বিষয়ে থানচির বলিপাড়া বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। নীল দিগন্ততে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আলাদা একটি ট্রান্সফরমার স্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বলিপাড়া থেকে সাত-আট কিলোমিটার বিদ্যুতের সংযোগ লাইন চালু করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনও সহযোগিতা দিচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নীল দিগন্তে প্রবেশ করতে হলে জনপ্রতি ২০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়। এদিকে বান্দরবানের অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্র ইতিমধ্যে চালু হয়েছে। তাই অনেক পর্যটকই নীল দিগন্ত কেন্দ্রেও ঘুরতে যায়। কিন্তু এটি বন্ধ থাকায় ফিরে আসে হয়।
বান্দরবানের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র নীলাচল ও নীলগিরি। এ নামের সঙ্গে মিল রেখে প্রায় পাঁচ বছর আগে গড়ে তোলা হয় ‘নীল দিগন্ত’। শুরুর কয়েক বছরের মধ্যেই করোনায় বন্ধ থাকায় পর্যটনকেন্দ্রটি এখনো অপরিচিত। দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভেতরের বেঞ্চ ও কটেজগুলো নড়বড়ে হয়ে গেছে। আগামী এপ্রিলে পর্যটনকেন্দ্রটি নতুনভাবে চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। জেলা ও থানচি উপজেলা প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জেলা সদর থেকে প্রায় ৫২ কিলোমিটার দূরে বান্দরবান-থানচি সড়কের জীবননগর এলাকায় নীল দিগন্ত নামে পর্যটনকেন্দ্রটি গড়ে তুলে জেলা প্রশাসন। তবে এলাকাটি থানচি উপজেলার আওতায় হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনই এর পরিচালনা করত।
থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন নীল দিগন্তকে নতুনভাবে সাজিয়ে পুনরায় চালুর জন্য কাজ করছে। আগামী ১০ এপ্রিল এটি চালু করা হবে।
সম্প্রতি নীল দিগন্তে গিয়ে দেখা গেছে, পর্যটনকেন্দ্রে ঢোকার প্রধান ফটকে তালা লাগানো। ফটকের রং ঝলসে গেছে। ভেতরে বসার বেঞ্চ, কটেজগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়া ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নড়বড়ে হয়ে গেছে। ময়লা-আবর্জনা জমে আছে। কেন্দ্রের গাছেও অযত্ন ও অবহেলার ছাপ। গেটে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও দায়িত্বরত কাউকে পাওয়া যায়নি।
পরে যোগাযোগ করলে থানচি উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, করোনার কারণে নীল দিগন্ত পর্যটনকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। তাই সেখানে কোনো দায়িত্বরত কর্মী নেই। এ কারণে সেটি কিছুটা অগোছাল।
জেলা সদর থেকে অর্ধশত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নীল দিগন্ত পর্যটনকেন্দ্র ঠিকঠাক মতো সাজিয়ে পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। আগামী এপ্রিলেই এটি চালু করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই জেলা প্রশাসন, থানচি উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সহায়তায় নীল দিগন্ত পর্যটনকেন্দ্র চালু হয়। বান্দরবান-থানচি সড়কের পাশেই উঁচু পাহাড়ের ওপর গড়ে তোলা হয় কেন্দ্রটি।
থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গণী ওসমানীর জানান, চালুর পর নীল দিগন্ত পর্যটনপ্রেমীদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠছিল। নীল দিগন্ত থেকে নীল আকাশ, মেঘ ও সবুজ পাহাড়ের দৃশ্য দেখার সুযোগ থাকায় অনেকেই সেখানে ভিড় জমাতেন। তবে ২০২০ সালে করোনা শুরু হলে এর নেতিবাচক প্রভাব নীল দিগন্তে পড়ে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এটির অবকাঠামো ও ভেতরের প্রাকৃতিক দৃশ্য, পরিবেশও নষ্ট হয়ে যায়।
পুনরায় চালুর অগ্রগতি সম্পর্কে থানচি উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নীল দিগন্ত পর্যটনকেন্দ্রে কটেজ ও বাথরুম নষ্ট হয়ে আছে। এগুলো সংস্কারের কাজ চলছে। এ ছাড়া পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে নীল দিগন্তের প্রায় ছয় কিলোমিটার নিচের উৎস থেকে মোটরের মাধ্যমে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজ করছে।
এদিকে বিদ্যুতের সংযোগ বিষয়ে থানচির বলিপাড়া বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। নীল দিগন্ততে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আলাদা একটি ট্রান্সফরমার স্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বলিপাড়া থেকে সাত-আট কিলোমিটার বিদ্যুতের সংযোগ লাইন চালু করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনও সহযোগিতা দিচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নীল দিগন্তে প্রবেশ করতে হলে জনপ্রতি ২০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়। এদিকে বান্দরবানের অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্র ইতিমধ্যে চালু হয়েছে। তাই অনেক পর্যটকই নীল দিগন্ত কেন্দ্রেও ঘুরতে যায়। কিন্তু এটি বন্ধ থাকায় ফিরে আসে হয়।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১৭ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪