Ajker Patrika

সরকারি ওয়েবসাইটে ভুল তথ্য, বিড়ম্বনায় মানুষ

শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ, (রংপুর)
আপডেট : ২২ জুলাই ২০২২, ১২: ১৬
Thumbnail image

রংপুরের তারাগঞ্জে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ওয়েবসাইট ভুল তথ্যে ভরা। হালনাগাদ করা হচ্ছে না কয়েক বছর ধরে। এতে সাধারণ মানুষ সঠিক তথ্য পেতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন।

জানা গেছে, তারাগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি দপ্তরের কর্মকর্তা ও এসবের সেবার কোনো তথ্য নেই। তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী যেসব তথ্য স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রকাশ করার কথা, ওই সব তথ্যও নেই। এ ছাড়া দপ্তরের কার্যক্রম, গুরুত্বপূর্ণ নোটিশ, কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেবাগ্রহীতাদের যোগাযোগের তথ্য, বিভিন্ন সভার কার্যবিবরণী, উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য এবং সুবিধাভোগীদের তালিকাও নেই ওয়েবসাইটে। অথচ এসব বিষয় দেখার জন্য প্রতিটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সভাপতিত্বে আইসিটি-বিষয়ক কমিটি রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তারাগঞ্জে ২৮টি দপ্তরের পৃথক ওয়েবসাইট আছে। এসব পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জামাদি আছে। সরকারি খরচে আছে ওয়াইফাই সংযোগ। এত কিছুর পরও নেই হালনাগাদ তথ্য।

সাধারণ মানুষের সেবায় সরাসরি যুক্ত থানা-পুলিশ। জাতীয় তথ্য বাতায়নের তারাগঞ্জ থানার ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নাম লেখা জিন্নাত আলী। তিনি তিন বছর আগে বদলি হয়েছেন। এরপর আরও দুজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছেন। চলতি বছরের ২১ এপ্রিল ওসি হিসেবে যোগ দিয়েছেন সুশান্ত কুমার সরকার। তাঁর সম্পর্কেও সেখানে কোনো তথ্য নেই।

রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক তারাগঞ্জ উপজেলার বুক চিরে চলে গেছে। এ সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এখানে হাইওয়ে থানা থাকলেও তার কোনো হালনাগাদ তথ্য নেই ওয়েবসাইটে। সর্বশেষ হালনাগাদ ২০১৭ সালের। সেখানে ওসির নাম দেওয়া আছে আব্দুল্লাহেল বাকী। তিনি বদলি হওয়ার পর আরও তিনজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করে চলে গেছেন। সর্বশেষ গত এপ্রিলে শেখ মোহাম্মদ মাহাবুব মোরশেদ ওসি হিসেবে যোগ দিলেও কোনো তথ্য নেই।

উপজেলার সয়ার হাজীরহাট গ্রামের যুবক নাহিদুজ্জামান বলেন, ‘তারাগঞ্জের অধিকাংশ সরকারি ওয়েবসাইটে তথ্য আপডেট নেই। কিছু কিছু ওয়েবসাইট আছে, যেগুলোতে কর্মকর্তার নাম ও যোগাযোগের করার তথ্য নেই। আমরা এসব থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছি না।’

বামনদীঘি গ্রামের আসাদুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন তথ্যের জন্য সরকারি ওয়েবসাইটে ঢুকি। কিন্তু অধিকাংশ ওয়েবসাইটে তথ্য নেই।’

উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার মাহাফুজা খাতুন বলেন, ‘সব দপ্তর-অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়মিত তথ্য আপডেটের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আমরা তথ্য আপডেটের জন্য তাঁদের বলেছিও। কিন্তু তাঁরা তথ্য আপডেট না করলে তো আমার দোষ না।’

এ বিষয়ে ইউএনও রাসেল মিয়া বলেন, ‘প্রতিটি দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্য হালনাগাদের জন্য বলা হয়েছে। তাঁরা যদি তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করেন, তাহলে জনসাধারণ তথ্য পাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত