মো. ইমরান হোসাইন, কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম)
বৃষ্টি এলেই শিল্প-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যের পানি ছেড়ে দেওয়া হয় গ্রামের মধ্যে। কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের পানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন কারখানার বর্জ্যের পানিও চলে আসে এলাকায়। এ পানিতে ডুবে গেছে সড়ক, শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়াও বন্ধের উপক্রম।
পানির কারণে বন্দিজীবন যাপন করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এমন আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের বাসিন্দারা। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের কালারপুল সেতু থেকে ভেল্লাপাড়া সেতু পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার অংশে বেড়িবাঁধ না থাকায় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা বৃষ্টির জোয়ারের পানিতে দিনে রাতে দুবার ডুবে যায়। এ সময় ভারী বর্ষণ, অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা কারখানার পানি ও বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হলে এর প্রভাবে কর্ণফুলী নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়।
এসবের ফলে নদীর উপশাখা শিকলবাহা খাল হয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে ইউনিয়নের রাস্তাঘাটে কোথাও কোথাও গলাসমান পানি হয়। এতে অন্তত কয়েক হাজার লোককে পানিবন্দী হয়ে পড়তে হয়। দৈনন্দিন কাজে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় এখানকার বাসিন্দাদের।
গত কয়েক দিন ধরে পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে শিকলবাহা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের নিচু এলাকা। প্লাবিত হয়ে ভেঙে গেছে সড়ক। এতে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয় কৃষক, খামারি ও বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। অতিরিক্ত পানির কারণে উপজেলার স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পাঠদানেও বিঘ্ন ঘটছে।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে খাজা মঈনিয়া সুন্নীয়া মাদ্রাসা, শাহ অহিদিয়া মেমোরিয়াল স্কুল, আল মারকাজুল ইসলামি কিন্ডার গার্টেন, শিকলবাহা ছাবেরিয়া মাদ্রাসায় এবং মিয়াজির বাড়ি সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক পানিতে ডুবে ভোগান্তিতে পড়েছে ইউনিয়নের হাজারো মানুষের।
এতে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বড় ধরনের কোনো সমস্যা না হলেও এ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে রাস্তাঘাট ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নিচু জায়গা ও রাস্তায় পানি জমে গেছে। জনসাধারণের চলাচলসহ বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও দিনমজুরদের মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জনবসতি এলাকায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন কারখানার পানি ছেড়ে দেয় জোয়ার ও বৃষ্টির পানির সঙ্গে। অপরিকল্পিত শিল্প কারখানা স্থাপনার কারণে পানি চলাচলের ড্রেন বন্ধ হয়ে গেছে অনেক স্থানে। অনেকেই ভরাট করে দখল করে রেখেছে ড্রেনও। যার কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি শিকার এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, জোয়ারের পানির সঙ্গে কারখানার পানি ঢুকলে তা আর বের হতে পারে না। পানি চলাচলের জন্য ড্রেনগুলোও ভরাট হয়ে গেছে। ডুবে গেছে সড়ক, স্কুল, মাদ্রাসা। ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ। বর্তমানে কোনোভাবে চলাচল করতে পারছে না পানি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত পীযূষ কুমার চৌধুরী বলেন, জোয়ারের পানি ও বিভিন্ন কারখানার পানিতে কারণে শিকলবাহা ইউনিয়নের বাসিন্দাদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পানিতে বিভিন্ন সড়কও নষ্ট হয়ে পড়ছে। কারখানাগুলোর মালিকেরা আশ্বাস দিয়েছেন, খুব শিগগিরই সমস্যা সমাধান করা হবে।
বৃষ্টি এলেই শিল্প-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যের পানি ছেড়ে দেওয়া হয় গ্রামের মধ্যে। কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের পানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন কারখানার বর্জ্যের পানিও চলে আসে এলাকায়। এ পানিতে ডুবে গেছে সড়ক, শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়াও বন্ধের উপক্রম।
পানির কারণে বন্দিজীবন যাপন করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এমন আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের বাসিন্দারা। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের কালারপুল সেতু থেকে ভেল্লাপাড়া সেতু পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার অংশে বেড়িবাঁধ না থাকায় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা বৃষ্টির জোয়ারের পানিতে দিনে রাতে দুবার ডুবে যায়। এ সময় ভারী বর্ষণ, অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা কারখানার পানি ও বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হলে এর প্রভাবে কর্ণফুলী নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়।
এসবের ফলে নদীর উপশাখা শিকলবাহা খাল হয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে ইউনিয়নের রাস্তাঘাটে কোথাও কোথাও গলাসমান পানি হয়। এতে অন্তত কয়েক হাজার লোককে পানিবন্দী হয়ে পড়তে হয়। দৈনন্দিন কাজে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় এখানকার বাসিন্দাদের।
গত কয়েক দিন ধরে পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে শিকলবাহা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের নিচু এলাকা। প্লাবিত হয়ে ভেঙে গেছে সড়ক। এতে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয় কৃষক, খামারি ও বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। অতিরিক্ত পানির কারণে উপজেলার স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পাঠদানেও বিঘ্ন ঘটছে।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে খাজা মঈনিয়া সুন্নীয়া মাদ্রাসা, শাহ অহিদিয়া মেমোরিয়াল স্কুল, আল মারকাজুল ইসলামি কিন্ডার গার্টেন, শিকলবাহা ছাবেরিয়া মাদ্রাসায় এবং মিয়াজির বাড়ি সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক পানিতে ডুবে ভোগান্তিতে পড়েছে ইউনিয়নের হাজারো মানুষের।
এতে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বড় ধরনের কোনো সমস্যা না হলেও এ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে রাস্তাঘাট ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নিচু জায়গা ও রাস্তায় পানি জমে গেছে। জনসাধারণের চলাচলসহ বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও দিনমজুরদের মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জনবসতি এলাকায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন কারখানার পানি ছেড়ে দেয় জোয়ার ও বৃষ্টির পানির সঙ্গে। অপরিকল্পিত শিল্প কারখানা স্থাপনার কারণে পানি চলাচলের ড্রেন বন্ধ হয়ে গেছে অনেক স্থানে। অনেকেই ভরাট করে দখল করে রেখেছে ড্রেনও। যার কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি শিকার এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, জোয়ারের পানির সঙ্গে কারখানার পানি ঢুকলে তা আর বের হতে পারে না। পানি চলাচলের জন্য ড্রেনগুলোও ভরাট হয়ে গেছে। ডুবে গেছে সড়ক, স্কুল, মাদ্রাসা। ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ। বর্তমানে কোনোভাবে চলাচল করতে পারছে না পানি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত পীযূষ কুমার চৌধুরী বলেন, জোয়ারের পানি ও বিভিন্ন কারখানার পানিতে কারণে শিকলবাহা ইউনিয়নের বাসিন্দাদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পানিতে বিভিন্ন সড়কও নষ্ট হয়ে পড়ছে। কারখানাগুলোর মালিকেরা আশ্বাস দিয়েছেন, খুব শিগগিরই সমস্যা সমাধান করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪