Ajker Patrika

বড়লেখায় আবার ভোট গণনার দাবি

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ২০
বড়লেখায় আবার ভোট গণনার দাবি

বড়লেখায় তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট গণনায় নানা অনিয়মের অভিযোগে উঠেছে। উপজেলার তিনটি ইউপির ছয়জন পরাজিত সদস্য প্রার্থীরা এ অভিযোগ করেন। পুনরায় ভোট গণনার দাবিতে তারা পৃথকভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০ ইউপিতে তৃতীয় ধাপে নির্বাচন হয় ২৮ নভেম্বর। ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুনরায় গণনার দাবি জানিয়েছেন উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত সদস্যপ্রার্থী রশীদ আহমদ সোনাম, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যপ্রার্থী ছলিম উদ্দিন, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপ্রার্থী নীলা রানী দাস, সুজানগর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী দেলওয়ার হোসেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যপ্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম ও তালিমপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মো. মামুনুর রশীদ।

নিজবাহাদুরপুর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী রশিদ আহমদ সোনাম লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেন, গত ২৮ নভেম্বর নিজবাহাদুরপুর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গল্লাসাঙ্গন দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। ভোট গণনার সময় প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসাররা রশিদ আহমদ সোনামের ৫৩টি ব্যালট অবৈধ বলে জানান। এ সময় তাঁর এজেন্ট ভোট বাতিল করার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে। কিন্তু এজেন্টের কথার গুরুত্ব না দিয়ে ফলাফল ঘোষণা করে। এতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ৫ ভোটে বিজয়ী দেখানো হয়।

একই ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী ছলিম উদ্দিন লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেন, ভোটগ্রহণ চলাকালীন ভাগাডহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তাঁর পোলিং এজেন্টকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টরা জোরপূর্বক কেন্দ্র থেকে বের করে জালভোট দেন। ভোট গণনার সময়ও তাঁর এজেন্টকে থাকতে দেওয়া হয়নি। ট্রাইব্যুনালে মামলাস করবেন বলেও জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এসএম সাদিকুর রহমান বলেন, পুনরায় নির্বাচন কিংবা পুনরায় ভোট গণনার ক্ষমতা আমার হাতে নেই। পরাজিত সদস্য প্রার্থীরা ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত