Ajker Patrika

ভাড়াবাড়িতে পৌরকাজ

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২১, ১১: ৫৩
ভাড়াবাড়িতে পৌরকাজ

১৭ বছর ধরে ভাড়াবাড়িতে চলছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরসভার কার্যক্রম। এতে সেবা নিতে মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন।

রাণীশংকৈল পৌরসভা ২০০৪ সালে স্থাপিত। এরপর রাণীশংকৈল-পীরগঞ্জ মহাসড়ক ঘেঁষা পৌরশহরের চাদনী এলাকার মালিকানাধীন একটি বাড়ির আটটি কক্ষ মাসিক ভাড়া নিয়ে পৌরসভার কার্যক্রম শুরু করা হয়। বাড়িটিতে জায়গার সংকট থাকায় লোক চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছে।

ভাড়াবাড়ি থেকে পৌরসভার তিনজন প্রশাসক ও একজন রাজনৈতিক প্রশাসকের মাধ্যমে পৌরসভার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

২০১১ সালে পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র হন মোখলেসুর রহমান। তিনিও সেই ভাড়াবাড়িতে থেকে পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি জাপান আন্তর্জাতিক সংস্থা (জাইকা) উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেন। সে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ না হতেই তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদ ফুরিয়ে যায়।

২০১৬ সালে পৌরসভার দ্বিতীয় মেয়র হন আলমগীর সরকার। তাঁর মেয়াদে তিনিও ভাড়াবাড়ি থেকে জাইকার কার্যক্রমের পাশাপাশি পৌরসভা ‘গ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। তবে তিনি তাঁর মেয়াদে পৌরসভা ভবন করার লক্ষ্যে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভান্ডারা (শান্তিপুর) এলাকায় অবস্থিত হোসেনগাঁও ইউপি পুরোনো কাউন্সিল কার্যালয়ের ৫০ শতক জমি কেনার জন্য ৩০ লাখ টাকা দাম নির্ধারণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৫ লাখ টাকা বায়না চুক্তি করেন।

রাণীশংকৈল পৌরসভার কার্যালয় হিসেবে সাইনবোর্ড স্থাপন করেন আলমগীর। তবে বাকি ১৫ লাখ টাকা পরিশোধ করে জমি রেজিস্ট্রি নেওয়ার আগেই তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর বর্তমান পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমানও সেই ভাড়াবাড়িতেই পৌরসভার কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

পৌরসভার প্রধান সহকারী ডালিম শেখ জানান, পৌরসভার ১০টি সেবামূলক দপ্তর ছাড়াও প্রকৌশলী, সচিব, পৌর মেয়রের আলাদা দপ্তরের প্রয়োজন। সব মিলে একটি পৌরসভায় প্রায় ১৫টি আলাদা কক্ষের প্রয়োজন হয়। তবে বর্তমানে যে ভাড়াবাড়িতে পৌরসভার কার্যক্রম চলছে, তাতে রয়েছে সব মিলে আটটি কক্ষ। তার মধ্যে পৌর মেয়র ও সচিবের কক্ষ একক দপ্তর থাকলেও অন্য দপ্তরগুলো বাকি ছয়টি কক্ষের মধ্যে সমন্বয় করে কার্যক্রম চলছে। এতে একজন সেবাপ্রার্থীকে দপ্তরগুলোতে বসতে দেওয়ার মতো জায়গা নেই।

প্রধান সহকারী ডালিম শেখ আরও জানান, দিন যত যাচ্ছে, তত পৌরসভার সেবার মান বাড়ছে। প্রয়োজনের স্বার্থে মানুষের উপস্থিতি বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে জায়গা সংকুলান হওয়ায় একের অধিক মানুষকে একসঙ্গে কোনো সেবা দেওয়া যাচ্ছে না।

পৌর মেয়র হাজি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে প্রতি মাসে সাত হাজার টাকা করে বাড়িভাড়া দিয়ে পৌরসভা চালাতে হচ্ছে। ভাড়া আরও বাড়তে পারে। তা ছাড়া ছোট একটি বাড়িতে এত বড় পৌরসভার কার্যক্রম চালানো মুশকিল। যে জমিটি আগের মেয়র ১৫ লাখ টাকা চুক্তি করেছিলেন, সে জমিটিও হোসেনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাব-রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছে না। তবে পৌরসভার ভবনের জন্য আমি একটি সুন্দর স্থান পছন্দ করেছিলাম। যেখানে আপাতত প্রশাসনের মাল্টাবাগান করা রয়েছে। তবে ইউএনও সে জায়গা দিতে নারাজ। জায়গা না পাওয়ায় এখন পর্যন্ত পৌর ভবন করা সম্ভব হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত