কালীগঞ্জ (গাজীপুর) গাজীপুর
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়াখোলায় গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে কুঞ্জমেলা। তিন দিনের এ মেলা এবার শতবর্ষ পূর্ণ করেছে। প্রতিবছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এবং পৌষ মাসের শেষ দিকে বসে এ মেলা। এবারও মেলায় ভিড় করেছেন হাজারো দর্শনার্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার চুয়ারিয়াখোলা গ্রামের শ্রীশ্রী কানাইলাল মন্দির কমিটির উদ্যোগে কুঞ্জমেলার আয়োজন করা হয়। মেলার প্রথম দিন খাবারসামগ্রী, দ্বিতীয় দিন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং তৃতীয় দিন খাবারসামগ্রী ও মাছ মিলিয়ে চলে মেলা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবী রাধা, দেবতা কৃষ্ণের লীলাকীর্তি উপলক্ষে কুঞ্জমেলার আয়োজন করা হয়।
মেলার আগে সনাতন ধর্মের লোকজন টানা ১৫ দিন নিরামিষ খান। মেলার শেষ দিন আমিষ খাদ্য গ্রহণ ও পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় তাঁদের আনুষ্ঠানিকতা। মেলা উপলক্ষে জামাই ও আত্মীয়স্বজনকে আমন্ত্রণ করে আপ্যায়ন করার রেওয়াজও চলে।
গতকাল শুক্রবার দ্বিতীয় দিন মেলাপ্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন শতাধিক ব্যবসায়ী। মিষ্টান্ন, খেলনা, চুড়ি, ফিতা, আলতা থেকে গৃহস্থালির নানা জিনিসের পসরা সাজিয়েছেন তাঁরা। মেলায় নিমকি, মুড়কি, ফুচকা, চটপটি, ঝালমুড়ি, চানাচুর, মিষ্টি ও জিলাপি বিক্রি করা হচ্ছে ৫০টির বেশি দোকানে। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে নাগরদোলা। আরও হাতি, ঘোড়া, নৌকা ও রাইফেলের শুটিং।
ঢাকার ডেমরা থেকে পঞ্চাশোর্ধ্ব সাহেরা বেগম কুঞ্জমেলায় এসেছেন চুড়ি নিয়ে। তিনি বলেন, এবার তিনি প্রথম কুঞ্জমেলায় এসেছেন। বিভিন্নজনের কাছে এই মেলার কথা শুনে তাঁর এখানে আসা। অনেক লোকজন এবং বেচাকেনাও ভালো। মেলায় নারী ও শিশু ক্রেতাই বেশি বলে জানান তিনি।
নরসিংদী থেকে খেলনার দোকান নিয়ে এসেছেন আফজাল উদ্দিন। তিনি বললেন, ‘আমি কয়েক বছর ধরে এখানে আসি। পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রেখেছে এখানকার মেলা। বেচাকেনা যা-ই হোক, একসঙ্গে এত দর্শনার্থী দেখে ভালোই লাগে।’
কাপাসিয়ার জাঙ্গালীয়ার রয়েন থেকে মাটির তৈজসপত্র নিয়ে এসেছেন শুভাস চন্দ্র দাস। আর উপজেলার মোক্তারপুরের বাঘুন থেকে মাটির তৈরি পিঠার ছাঁচ নিয়ে এসেছেন পরিমল চন্দ্র পাল। মাটির তৈজসপত্র কিনতে আসা অবলা রানী দাস বলেন, শীতের সময় গ্রামে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। তাই পিঠা তৈরির ছাঁচের জন্য তিনি প্রতিবছর মেলায় আসেন।
শ্রীশ্রী কানাইলাল মন্দির ও মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি মুকুল চন্দ্র দে বলেন, ১০০ বছর পূর্ণ হলো এই কুঞ্জমেলার। মূলত পৌষ মাসের শেষের দিকে এই কুঞ্জমেলা বসে। কানাইলাল মন্দির রাধা-কৃষ্ণের লীলাকীর্তি ১৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। একেবারে শেষের তিন দিনে বসে কুঞ্জমেলা। মেলা থেকে যে আয় হয়, তা মন্দিরের কল্যাণ ট্রাস্টে জমা হয়।
মুকুল চন্দ্র দে বলেন, মেলা উপলক্ষে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয় না। দূর-দূরান্তের মানুষ এখনো আসছে মেলায় যোগ দিতে। সে কারণে সব রকমের সুবিধা রাখতে আয়োজক কমিটি প্রায় এক মাস আগে থেকে সব প্রস্তুতি নিয়ে থাকে।
তুমলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুবকর বাক্কু মিয়া বলেন, গ্রাম-বাংলার মেলার ঐতিহ্য রাখতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছে শ্রীশ্রী কানাইলাল মন্দির কমিটি। প্রতিবছর তাঁরা স্বেচ্ছাশ্রমে অব্যাহত রেখেছেন এই মেলার আয়োজন।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়াখোলায় গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে কুঞ্জমেলা। তিন দিনের এ মেলা এবার শতবর্ষ পূর্ণ করেছে। প্রতিবছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এবং পৌষ মাসের শেষ দিকে বসে এ মেলা। এবারও মেলায় ভিড় করেছেন হাজারো দর্শনার্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার চুয়ারিয়াখোলা গ্রামের শ্রীশ্রী কানাইলাল মন্দির কমিটির উদ্যোগে কুঞ্জমেলার আয়োজন করা হয়। মেলার প্রথম দিন খাবারসামগ্রী, দ্বিতীয় দিন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং তৃতীয় দিন খাবারসামগ্রী ও মাছ মিলিয়ে চলে মেলা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবী রাধা, দেবতা কৃষ্ণের লীলাকীর্তি উপলক্ষে কুঞ্জমেলার আয়োজন করা হয়।
মেলার আগে সনাতন ধর্মের লোকজন টানা ১৫ দিন নিরামিষ খান। মেলার শেষ দিন আমিষ খাদ্য গ্রহণ ও পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় তাঁদের আনুষ্ঠানিকতা। মেলা উপলক্ষে জামাই ও আত্মীয়স্বজনকে আমন্ত্রণ করে আপ্যায়ন করার রেওয়াজও চলে।
গতকাল শুক্রবার দ্বিতীয় দিন মেলাপ্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন শতাধিক ব্যবসায়ী। মিষ্টান্ন, খেলনা, চুড়ি, ফিতা, আলতা থেকে গৃহস্থালির নানা জিনিসের পসরা সাজিয়েছেন তাঁরা। মেলায় নিমকি, মুড়কি, ফুচকা, চটপটি, ঝালমুড়ি, চানাচুর, মিষ্টি ও জিলাপি বিক্রি করা হচ্ছে ৫০টির বেশি দোকানে। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে নাগরদোলা। আরও হাতি, ঘোড়া, নৌকা ও রাইফেলের শুটিং।
ঢাকার ডেমরা থেকে পঞ্চাশোর্ধ্ব সাহেরা বেগম কুঞ্জমেলায় এসেছেন চুড়ি নিয়ে। তিনি বলেন, এবার তিনি প্রথম কুঞ্জমেলায় এসেছেন। বিভিন্নজনের কাছে এই মেলার কথা শুনে তাঁর এখানে আসা। অনেক লোকজন এবং বেচাকেনাও ভালো। মেলায় নারী ও শিশু ক্রেতাই বেশি বলে জানান তিনি।
নরসিংদী থেকে খেলনার দোকান নিয়ে এসেছেন আফজাল উদ্দিন। তিনি বললেন, ‘আমি কয়েক বছর ধরে এখানে আসি। পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রেখেছে এখানকার মেলা। বেচাকেনা যা-ই হোক, একসঙ্গে এত দর্শনার্থী দেখে ভালোই লাগে।’
কাপাসিয়ার জাঙ্গালীয়ার রয়েন থেকে মাটির তৈজসপত্র নিয়ে এসেছেন শুভাস চন্দ্র দাস। আর উপজেলার মোক্তারপুরের বাঘুন থেকে মাটির তৈরি পিঠার ছাঁচ নিয়ে এসেছেন পরিমল চন্দ্র পাল। মাটির তৈজসপত্র কিনতে আসা অবলা রানী দাস বলেন, শীতের সময় গ্রামে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। তাই পিঠা তৈরির ছাঁচের জন্য তিনি প্রতিবছর মেলায় আসেন।
শ্রীশ্রী কানাইলাল মন্দির ও মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি মুকুল চন্দ্র দে বলেন, ১০০ বছর পূর্ণ হলো এই কুঞ্জমেলার। মূলত পৌষ মাসের শেষের দিকে এই কুঞ্জমেলা বসে। কানাইলাল মন্দির রাধা-কৃষ্ণের লীলাকীর্তি ১৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। একেবারে শেষের তিন দিনে বসে কুঞ্জমেলা। মেলা থেকে যে আয় হয়, তা মন্দিরের কল্যাণ ট্রাস্টে জমা হয়।
মুকুল চন্দ্র দে বলেন, মেলা উপলক্ষে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয় না। দূর-দূরান্তের মানুষ এখনো আসছে মেলায় যোগ দিতে। সে কারণে সব রকমের সুবিধা রাখতে আয়োজক কমিটি প্রায় এক মাস আগে থেকে সব প্রস্তুতি নিয়ে থাকে।
তুমলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুবকর বাক্কু মিয়া বলেন, গ্রাম-বাংলার মেলার ঐতিহ্য রাখতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছে শ্রীশ্রী কানাইলাল মন্দির কমিটি। প্রতিবছর তাঁরা স্বেচ্ছাশ্রমে অব্যাহত রেখেছেন এই মেলার আয়োজন।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫