নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ৫৩টি ঘটনা ঘটেছে বিগত অক্টোবরে। হামলা হয়েছে ৪১টি ঘরবাড়ি ও বহু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। গত ১৩ থেকে ২০ অক্টোবর আট দিনে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় ৯ জন নিহত ও ২ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। নিহত ৯ জনের মধ্যে ৬ জন মুসলিম ও ৩ জন হিন্দুধর্মাবলম্বী। বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) মাসিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহিংসতার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একে অন্যকে দোষারোপ করে। এতে মূল অপরাধী দৃষ্টির বাইরে চলে যায়। যার ফলে প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করা যায় না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের বড় উৎসব দুর্গাপূজার সময় তাদের ওপর সুপরিকল্পিত নিরবচ্ছিন্ন সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সবচেয়ে উদ্বেগজনক ঘটনা ছিল। কুমিল্লায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এবং তার জের ধরে ধর্মীয় উগ্রবাদী ও সুবিধাভোগী গোষ্ঠী দেশের ১৯টি জেলায় বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ ও হামলাকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ঘটনা শুরুর পর প্রশাসনকে উদ্বেগের কথা জানানো হলেও হিন্দু সম্প্রদায়কে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানানো হয়। এ সময় দ্রুত প্রতিমা বিসর্জনের তাগাদা দেওয়া হয়। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দশমীর দিন বিসর্জন দিতে ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কায় অষ্টমীর দিনই বিসর্জন দিয়ে সেখানকার দুর্গাপূজা শেষ করা হয়। প্রতিমা বিসর্জনের পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মন্দির ত্যাগ করলে হামলাগুলো সংঘটিত হয়। হিন্দু জনগোষ্ঠীর শারদীয় দুর্গাপূজায় হামলার অর্থ হচ্ছে রাষ্ট্রপ্রদত্ত ধর্মীয় অধিকার পালনে রাষ্ট্র নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
এমএসএফ মনে করে, কোনো সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার না হওয়া, হামলা প্রতিরোধ, হিন্দুধর্মাবলম্বীসহ তাদের পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা, জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বপালনে অবহেলা, দোষারোপের রাজনীতি এবং প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত না করে ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাম্প্রদায়িক হামলার বিচারপ্রক্রিয়া জটিল করা হচ্ছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও এমএসএফ কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় নির্বাচনপূর্ব ও রাজনৈতিক সহিংসতায় অন্তত ৭ জন নিহত ও ৬৮ জন কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অক্টোবরে কারা হেফাজতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে সীমান্তে তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এমএসএফ বলছে, দেশে ধর্ষণ, হত্যা ও পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা বিগত মাসগুলোর মতোই অব্যাহত রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অক্টোবরে ৩৪৬টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৭৪টি ধর্ষণ, ১৮টি গণধর্ষণ, ৩টি ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ৭ জন প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ সময় ২১ কিশোরীসহ মোট ৮৩ নারী আত্মহত্যা করেছেন, যা গত মাসের তুলনায় ১৯ জন বেশি। অ্যাসিড নিক্ষেপে আক্রান্ত হয়েছে ১ জন কিশোরী। অপহৃত হয়েছে ১ শিশু ও ৩ কিশোরী। অন্যদিকে ৯ শিশু, কিশোরী ও নারী নিখোঁজ রয়েছেন।
পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ৫৩টি ঘটনা ঘটেছে বিগত অক্টোবরে। হামলা হয়েছে ৪১টি ঘরবাড়ি ও বহু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। গত ১৩ থেকে ২০ অক্টোবর আট দিনে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় ৯ জন নিহত ও ২ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। নিহত ৯ জনের মধ্যে ৬ জন মুসলিম ও ৩ জন হিন্দুধর্মাবলম্বী। বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) মাসিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহিংসতার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একে অন্যকে দোষারোপ করে। এতে মূল অপরাধী দৃষ্টির বাইরে চলে যায়। যার ফলে প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করা যায় না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের বড় উৎসব দুর্গাপূজার সময় তাদের ওপর সুপরিকল্পিত নিরবচ্ছিন্ন সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সবচেয়ে উদ্বেগজনক ঘটনা ছিল। কুমিল্লায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এবং তার জের ধরে ধর্মীয় উগ্রবাদী ও সুবিধাভোগী গোষ্ঠী দেশের ১৯টি জেলায় বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ ও হামলাকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ঘটনা শুরুর পর প্রশাসনকে উদ্বেগের কথা জানানো হলেও হিন্দু সম্প্রদায়কে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানানো হয়। এ সময় দ্রুত প্রতিমা বিসর্জনের তাগাদা দেওয়া হয়। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দশমীর দিন বিসর্জন দিতে ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কায় অষ্টমীর দিনই বিসর্জন দিয়ে সেখানকার দুর্গাপূজা শেষ করা হয়। প্রতিমা বিসর্জনের পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মন্দির ত্যাগ করলে হামলাগুলো সংঘটিত হয়। হিন্দু জনগোষ্ঠীর শারদীয় দুর্গাপূজায় হামলার অর্থ হচ্ছে রাষ্ট্রপ্রদত্ত ধর্মীয় অধিকার পালনে রাষ্ট্র নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
এমএসএফ মনে করে, কোনো সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার না হওয়া, হামলা প্রতিরোধ, হিন্দুধর্মাবলম্বীসহ তাদের পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা, জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বপালনে অবহেলা, দোষারোপের রাজনীতি এবং প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত না করে ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাম্প্রদায়িক হামলার বিচারপ্রক্রিয়া জটিল করা হচ্ছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও এমএসএফ কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় নির্বাচনপূর্ব ও রাজনৈতিক সহিংসতায় অন্তত ৭ জন নিহত ও ৬৮ জন কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অক্টোবরে কারা হেফাজতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে সীমান্তে তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এমএসএফ বলছে, দেশে ধর্ষণ, হত্যা ও পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা বিগত মাসগুলোর মতোই অব্যাহত রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অক্টোবরে ৩৪৬টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৭৪টি ধর্ষণ, ১৮টি গণধর্ষণ, ৩টি ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ৭ জন প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ সময় ২১ কিশোরীসহ মোট ৮৩ নারী আত্মহত্যা করেছেন, যা গত মাসের তুলনায় ১৯ জন বেশি। অ্যাসিড নিক্ষেপে আক্রান্ত হয়েছে ১ জন কিশোরী। অপহৃত হয়েছে ১ শিশু ও ৩ কিশোরী। অন্যদিকে ৯ শিশু, কিশোরী ও নারী নিখোঁজ রয়েছেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪