কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালকের অভাবে ব্যবহার হচ্ছে মাত্র একটি। তাই রোগী হাসপাতালে আনা-নেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে উপজেলাবাসীকে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন প্রসূতি নারীরা। এ ছাড়া সপ্তাহে দুদিন খুলনার সিভিল সার্জন সুজাত আহম্মেদ অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করায় রোগীর ভোগান্তি আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, রত্না মণ্ডল নামের এক প্রসূতিকে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর গাইনি বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসক না থাকায় তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তখন হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের চালক না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন রোগীর স্বজনেরা। খোঁজ নিয়ে তাঁরা জানতে পারেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির চালু অ্যাম্বুলেন্সটি সকালে রোগী নিয়ে খুলনায় গিয়ে সিভিল সার্জন সুজাত আহম্মেদকে নিয়ে আসার জন্য অপেক্ষা করছে।
অ্যাম্বুলেন্স সংকটে রোগী খুলনায় নিতে দেরি হচ্ছিল। এরই মধ্যে নারীর প্রসব বেদনা চরম আকার ধারণ করছে। একপর্যায়ে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়। তবে মা ও নবজাতক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক খুলনায় নিয়ে সন্তানকে লাইফ সাপোর্টে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। তখন পর্যন্ত সিভিল সার্জনকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি রওনা হলেও হাসপাতালে পৌঁছায়নি। এমতাবস্থায় কষ্টে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স সংগ্রহ করে বেশি ভাড়া দিয়ে খুলনায় নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
শুধু এদিন নয়, প্রতিনিয়ত অ্যাম্বুলেন্স সংকটে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এ উপজেলার মানুষকে। একমাত্র চালু অ্যাম্বুলেন্সটি রোগী নিয়ে খুলনায় গেলে ফিরে না আসা পর্যন্ত সময়ে অন্য রেফার্ড রোগী খুলনায় নিতে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। অন্যদিকে অ্যাম্বুলেন্স সংকটে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাসপাতালে রোগী
আনতে উপকূলীয় এ উপজেলাবাসীর ভোগান্তির শেষ থাকে না।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জনকে খুলনা থেকে কয়রায় আনতে ও রোববার কয়রা থেকে খুলনায় পৌঁছে দিতে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসংলগ্ন প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখতেই তিনি প্রতি সপ্তাহে কয়রায় যান। একমাত্র চালু অ্যাম্বুলেন্সটি সপ্তাহের দুদিন সিভিল সার্জনের ব্যক্তিগত ব্যবহারের ফলে রোগী ভোগান্তি চরমে পৌঁছে।
অ্যাম্বুলেন্সচালক আব্দুস সালাম বলেন, সব সময় রোগী না হওয়ায় সিভিল সার্জন স্যার মাঝেমধ্যে ভাড়া দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করেন।
খুলনার সিভিল সার্জন সুজাত আহম্মেদ অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘মাঝেমধ্যে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করি। তবে রোগী ছাড়া ব্যবহার করলে নির্দিষ্ট ভাড়া দিই।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের বিপরীতে একজন চালক সম্পর্কে জানতে চাইলে সুজাত আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলায় একটাই চালক পদ রয়েছে। যেটা পূরণ আছে। সরকারি বিধান অনুযায়ী একটা অ্যাম্বুলেন্সেরই তেলের খরচ পায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
খুলনার কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালকের অভাবে ব্যবহার হচ্ছে মাত্র একটি। তাই রোগী হাসপাতালে আনা-নেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে উপজেলাবাসীকে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন প্রসূতি নারীরা। এ ছাড়া সপ্তাহে দুদিন খুলনার সিভিল সার্জন সুজাত আহম্মেদ অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করায় রোগীর ভোগান্তি আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, রত্না মণ্ডল নামের এক প্রসূতিকে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর গাইনি বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসক না থাকায় তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তখন হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের চালক না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন রোগীর স্বজনেরা। খোঁজ নিয়ে তাঁরা জানতে পারেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির চালু অ্যাম্বুলেন্সটি সকালে রোগী নিয়ে খুলনায় গিয়ে সিভিল সার্জন সুজাত আহম্মেদকে নিয়ে আসার জন্য অপেক্ষা করছে।
অ্যাম্বুলেন্স সংকটে রোগী খুলনায় নিতে দেরি হচ্ছিল। এরই মধ্যে নারীর প্রসব বেদনা চরম আকার ধারণ করছে। একপর্যায়ে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়। তবে মা ও নবজাতক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক খুলনায় নিয়ে সন্তানকে লাইফ সাপোর্টে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। তখন পর্যন্ত সিভিল সার্জনকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি রওনা হলেও হাসপাতালে পৌঁছায়নি। এমতাবস্থায় কষ্টে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স সংগ্রহ করে বেশি ভাড়া দিয়ে খুলনায় নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
শুধু এদিন নয়, প্রতিনিয়ত অ্যাম্বুলেন্স সংকটে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এ উপজেলার মানুষকে। একমাত্র চালু অ্যাম্বুলেন্সটি রোগী নিয়ে খুলনায় গেলে ফিরে না আসা পর্যন্ত সময়ে অন্য রেফার্ড রোগী খুলনায় নিতে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। অন্যদিকে অ্যাম্বুলেন্স সংকটে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাসপাতালে রোগী
আনতে উপকূলীয় এ উপজেলাবাসীর ভোগান্তির শেষ থাকে না।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জনকে খুলনা থেকে কয়রায় আনতে ও রোববার কয়রা থেকে খুলনায় পৌঁছে দিতে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসংলগ্ন প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখতেই তিনি প্রতি সপ্তাহে কয়রায় যান। একমাত্র চালু অ্যাম্বুলেন্সটি সপ্তাহের দুদিন সিভিল সার্জনের ব্যক্তিগত ব্যবহারের ফলে রোগী ভোগান্তি চরমে পৌঁছে।
অ্যাম্বুলেন্সচালক আব্দুস সালাম বলেন, সব সময় রোগী না হওয়ায় সিভিল সার্জন স্যার মাঝেমধ্যে ভাড়া দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করেন।
খুলনার সিভিল সার্জন সুজাত আহম্মেদ অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘মাঝেমধ্যে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করি। তবে রোগী ছাড়া ব্যবহার করলে নির্দিষ্ট ভাড়া দিই।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের বিপরীতে একজন চালক সম্পর্কে জানতে চাইলে সুজাত আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলায় একটাই চালক পদ রয়েছে। যেটা পূরণ আছে। সরকারি বিধান অনুযায়ী একটা অ্যাম্বুলেন্সেরই তেলের খরচ পায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪