Ajker Patrika

মান্দায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২২, ১২: ২০
Thumbnail image

নওগাঁর মান্দায় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে মৌসুমি ফল লিচু, শজনেডাটা, কলা ও ভুট্টাখেতসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপড়ে গেছে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য গাছপালা। উড়ে গেছে আধপাকা ও কাঁচা বাড়িঘরের টিনের চাল। ঝড়ের সঙ্গে হঠাৎ বৃষ্টিতে আবারও ক্ষতির কবলে পড়েছেন ভাটামালিকেরা।

গত রোববার রাত ১১টার দিকে কালবৈশাখীর তাণ্ডব শুরু হয়। পশ্চিম-দক্ষিণ কোণ থেকে ধেয়ে আসা ঝড়টি উপজেলার তেঁতুলিয়া, ভারশোঁ, কুসুম্বা, মান্দা, নুরুল্লাবাদ, প্রসাদপুর, কশব ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যায়। এটি প্রায় ২৫ মিনিট স্থায়ী ছিল। ঝড়ের তাণ্ডবে কলাবাগান ও ভুট্টাখেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাছ ভেঙে ও উপড়ে পড়ে ক্ষতি হয়েছে মৌসুমি সবজি শজনেডাটার।

কামারকুড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুস সবুর বলেন, গত রোববার রাতের ঝড়ে তাঁর ১০ কাঠা জমিতে থাকা কলাবাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমির ৯০ ভাগ গাছ ভেঙে গেছে। অল্পদিনেই এসব গাছে ফল আসত। ঝড়ে অন্তত ৫০ হাজার টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি।

উপজেলার শংকরপুর গ্রামের কৃষক দীলিপ কুমার বলেন, গত রাতের ঝড়ে গ্রামের মাঠে আগাম জাতের বোরো ধান মাটিতে পড়ে গেছে। সবে ধান গাছে শিষ বের হয়েছে। এখনো পাকতে অনেক দেরি। এ অবস্থায় মাটিতে পড়ে যাওয়ায় ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ইটভাটার মালিক খলিলুর রহমান বলেন, গত রাতের বৃষ্টিতে ভাটার খলিয়ানে থাকা কাঁচা ইটগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে সেগুলো সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে ভাটামালিকেরা আবারও ক্ষতির মুখে পড়বেন।

উপজেলার নাড়াডাঙ্গা গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুল গফুর বলেন, রাতে হঠাৎ করেই ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয়। এর কিছু পরেই ঘরের টিনের ছাউনি উড়ে চলে যায়। এ সময় তিনিসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিলেন।

উপজেলার বাইবুল্যা গ্রামের অসহায় বৃদ্ধা নারী লতিফুর বিবি বলেন, ঝড়ে তাঁর একমাত্র ঘরের টিনের উড়ে গেছে। বর্তমানে তিনি আকাশের নিচে আছেন।

প্রসাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, গত রাতের ঝড়ে তাঁর ওয়ার্ডের বেশ কিছু বসতঘরের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। খবর দ্রুত তা জমা দেওয়া হবে।

প্রসাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, ঝড়ে তাঁর ইউনিয়নে কলাবাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি আমসহ অন্য ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া কিছু বসতবাড়ির টিন উড়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, গত রাতের ঝড়ে কলাবাগান ও ভুট্টাখেতের ক্ষতি হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৌসুমি ফল ও ফসলের খেত। অনেক এলাকায় বোরো ধান মাটিতে পড়ে গেছে। তবে এতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝড়ে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংবিধানে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ রাখার পক্ষে যে যুক্তি দিলেন আলী রীয়াজ

রাজধানীতে নিখোঁজ কিশোরী নওগাঁয়, যা বললেন সঙ্গে থাকা তরুণের বাবা

নবাবি প্রশাসনে হিন্দু আমলারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ

আটক ৩ জনকে ছাড়িয়ে নিতে উত্তরায় থানায় হামলা শিক্ষার্থীদের

উপদেষ্টা রিজওয়ানার কাছে মাত্র ১৫ মিনিট সময় চেয়ে পাইনি: বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত