Ajker Patrika

কার্ডের নামে সুবিধাভোগীদের কাছে টাকা আদায়

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২২, ১৩: ৪৫
কার্ডের নামে সুবিধাভোগীদের কাছে টাকা আদায়

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের নতুন কার্ড দেওয়ার নামে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ডিলারদের বিরুদ্ধে। উপজেলার ২২ হাজার ২৩৪ জন সুবিধাভোগীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হলে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ডিলার কিছু সুবিধাভোগীর টাকা ফেরত দিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণের জন্য ৫৩ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব ডিলারের আওতায় রয়েছে ২২ হাজার ২৩৪ জন সুবিধাভোগী। সুবিধাভোগীদের পূর্বের কার্ডের চাল উত্তোলনের ছক শেষ হয়ে যায় ছয় মাস আগে। নতুন কার্ড দেওয়ার নামে ডিলাররা সুবিধাভোগী প্রতিজনের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা করে আদায় করেছেন। বড়ভিটা ইউনিয়নের ডিলার এমদাদুল হকের এলাকার সুবিধাভোগী ছাইফুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, জমসের আলী জানান, নতুন কার্ড দেওয়ার নামে তাঁদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে নিয়েছেন ডিলার।

বড়ভিটা ইউনিয়নের বাজার এলাকার ডিলার নুরুজ্জামান। তাঁর আওতায় থাকা সুবিধাভোগী শরিফা বেগম, মেজিকা বেগম, আমিনুর রহমান ও নুরুন্নাহার বেগম জানান, ডিলার নুরুজ্জামানকে টাকা দিতে না চাইলে কার্ড বাতিল করার বয় দেখান। পরে বাধ্য হয়ে তাঁরা ৪০০ টাকা করে দিয়েছেন।

বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফজলার রহমান বলেন, ‘ডিলাররা প্রতিজন সুবিধাভোগীর কাছ থেকে ৩০০ থেকে ৪০০ করে টাকা নিয়েছেন। এটা জানার পর উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় সিদ্ধান্ত হয় সুবিধাভোগীদের টাকা ডিলারদের ফেরত দিতে হবে। এ ব্যাপারে প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু তারপরও ডিলাররা টাকা ফেরত দিচ্ছেন না।’

চাঁদখানা ইউনিয়নের সুবিধাভোগী মায়া রানী, চিত্র রানী, অশ্বনী রানী ও ফুলমতি রানীসহ আরও অনেকে অভিযোগ করে জানান, ডিলার ফিকরুল হোসেন তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে আদায় করেছেন।

চাঁদখানা বুড়িরহাট পয়েন্টের ডিলার হাসানুজ্জামান সান্টু, মাগুড়া ইউনিয়নের ধনীপাড়া গ্রামের ডিলার মফিজার রহমান ও গাড়াগ্রাম টেপারহাট পয়েন্টের ডিলার ফজলুল হকের বিরুদ্ধেও সুবিধাভোগীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিতাই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সুবিধাভোগী রাজিয়া বেগম বলেন, ‘ডিলার আমার কাছ থেকে নতুন কার্ড দেবে বলে ৫০০ টাকা চেয়েছে। আমি তাঁকে টাকা না দিয়ে সরাসরি অফিসে গিয়ে কার্ড নেই। অফিসের লোকও আমার কাছে ১০০ টাকা নিয়েছে।’

বড়ভিটা ইউনিয়নের উত্তর বড়ভিটা পয়েন্টের ডিলার এমদাদুল হক বলেন, ‘সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে যে টাকা আদায় করেছি তা ফেরত দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। কথা হলে একই কথা জানান ডিলার নুরুজ্জামানও।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘ডিলারদের টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে উপজেলার মাসিক সভায় আলোচনা হয়েছে। সুবিধাভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘যেসব ডিলারের টাকা নেওয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত