কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের নতুন কার্ড দেওয়ার নামে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ডিলারদের বিরুদ্ধে। উপজেলার ২২ হাজার ২৩৪ জন সুবিধাভোগীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হলে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ডিলার কিছু সুবিধাভোগীর টাকা ফেরত দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণের জন্য ৫৩ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব ডিলারের আওতায় রয়েছে ২২ হাজার ২৩৪ জন সুবিধাভোগী। সুবিধাভোগীদের পূর্বের কার্ডের চাল উত্তোলনের ছক শেষ হয়ে যায় ছয় মাস আগে। নতুন কার্ড দেওয়ার নামে ডিলাররা সুবিধাভোগী প্রতিজনের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা করে আদায় করেছেন। বড়ভিটা ইউনিয়নের ডিলার এমদাদুল হকের এলাকার সুবিধাভোগী ছাইফুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, জমসের আলী জানান, নতুন কার্ড দেওয়ার নামে তাঁদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে নিয়েছেন ডিলার।
বড়ভিটা ইউনিয়নের বাজার এলাকার ডিলার নুরুজ্জামান। তাঁর আওতায় থাকা সুবিধাভোগী শরিফা বেগম, মেজিকা বেগম, আমিনুর রহমান ও নুরুন্নাহার বেগম জানান, ডিলার নুরুজ্জামানকে টাকা দিতে না চাইলে কার্ড বাতিল করার বয় দেখান। পরে বাধ্য হয়ে তাঁরা ৪০০ টাকা করে দিয়েছেন।
বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফজলার রহমান বলেন, ‘ডিলাররা প্রতিজন সুবিধাভোগীর কাছ থেকে ৩০০ থেকে ৪০০ করে টাকা নিয়েছেন। এটা জানার পর উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় সিদ্ধান্ত হয় সুবিধাভোগীদের টাকা ডিলারদের ফেরত দিতে হবে। এ ব্যাপারে প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু তারপরও ডিলাররা টাকা ফেরত দিচ্ছেন না।’
চাঁদখানা ইউনিয়নের সুবিধাভোগী মায়া রানী, চিত্র রানী, অশ্বনী রানী ও ফুলমতি রানীসহ আরও অনেকে অভিযোগ করে জানান, ডিলার ফিকরুল হোসেন তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে আদায় করেছেন।
চাঁদখানা বুড়িরহাট পয়েন্টের ডিলার হাসানুজ্জামান সান্টু, মাগুড়া ইউনিয়নের ধনীপাড়া গ্রামের ডিলার মফিজার রহমান ও গাড়াগ্রাম টেপারহাট পয়েন্টের ডিলার ফজলুল হকের বিরুদ্ধেও সুবিধাভোগীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিতাই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সুবিধাভোগী রাজিয়া বেগম বলেন, ‘ডিলার আমার কাছ থেকে নতুন কার্ড দেবে বলে ৫০০ টাকা চেয়েছে। আমি তাঁকে টাকা না দিয়ে সরাসরি অফিসে গিয়ে কার্ড নেই। অফিসের লোকও আমার কাছে ১০০ টাকা নিয়েছে।’
বড়ভিটা ইউনিয়নের উত্তর বড়ভিটা পয়েন্টের ডিলার এমদাদুল হক বলেন, ‘সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে যে টাকা আদায় করেছি তা ফেরত দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। কথা হলে একই কথা জানান ডিলার নুরুজ্জামানও।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘ডিলারদের টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে উপজেলার মাসিক সভায় আলোচনা হয়েছে। সুবিধাভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘যেসব ডিলারের টাকা নেওয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের নতুন কার্ড দেওয়ার নামে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ডিলারদের বিরুদ্ধে। উপজেলার ২২ হাজার ২৩৪ জন সুবিধাভোগীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হলে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ডিলার কিছু সুবিধাভোগীর টাকা ফেরত দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণের জন্য ৫৩ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব ডিলারের আওতায় রয়েছে ২২ হাজার ২৩৪ জন সুবিধাভোগী। সুবিধাভোগীদের পূর্বের কার্ডের চাল উত্তোলনের ছক শেষ হয়ে যায় ছয় মাস আগে। নতুন কার্ড দেওয়ার নামে ডিলাররা সুবিধাভোগী প্রতিজনের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা করে আদায় করেছেন। বড়ভিটা ইউনিয়নের ডিলার এমদাদুল হকের এলাকার সুবিধাভোগী ছাইফুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, জমসের আলী জানান, নতুন কার্ড দেওয়ার নামে তাঁদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে নিয়েছেন ডিলার।
বড়ভিটা ইউনিয়নের বাজার এলাকার ডিলার নুরুজ্জামান। তাঁর আওতায় থাকা সুবিধাভোগী শরিফা বেগম, মেজিকা বেগম, আমিনুর রহমান ও নুরুন্নাহার বেগম জানান, ডিলার নুরুজ্জামানকে টাকা দিতে না চাইলে কার্ড বাতিল করার বয় দেখান। পরে বাধ্য হয়ে তাঁরা ৪০০ টাকা করে দিয়েছেন।
বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফজলার রহমান বলেন, ‘ডিলাররা প্রতিজন সুবিধাভোগীর কাছ থেকে ৩০০ থেকে ৪০০ করে টাকা নিয়েছেন। এটা জানার পর উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় সিদ্ধান্ত হয় সুবিধাভোগীদের টাকা ডিলারদের ফেরত দিতে হবে। এ ব্যাপারে প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু তারপরও ডিলাররা টাকা ফেরত দিচ্ছেন না।’
চাঁদখানা ইউনিয়নের সুবিধাভোগী মায়া রানী, চিত্র রানী, অশ্বনী রানী ও ফুলমতি রানীসহ আরও অনেকে অভিযোগ করে জানান, ডিলার ফিকরুল হোসেন তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে আদায় করেছেন।
চাঁদখানা বুড়িরহাট পয়েন্টের ডিলার হাসানুজ্জামান সান্টু, মাগুড়া ইউনিয়নের ধনীপাড়া গ্রামের ডিলার মফিজার রহমান ও গাড়াগ্রাম টেপারহাট পয়েন্টের ডিলার ফজলুল হকের বিরুদ্ধেও সুবিধাভোগীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিতাই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সুবিধাভোগী রাজিয়া বেগম বলেন, ‘ডিলার আমার কাছ থেকে নতুন কার্ড দেবে বলে ৫০০ টাকা চেয়েছে। আমি তাঁকে টাকা না দিয়ে সরাসরি অফিসে গিয়ে কার্ড নেই। অফিসের লোকও আমার কাছে ১০০ টাকা নিয়েছে।’
বড়ভিটা ইউনিয়নের উত্তর বড়ভিটা পয়েন্টের ডিলার এমদাদুল হক বলেন, ‘সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে যে টাকা আদায় করেছি তা ফেরত দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। কথা হলে একই কথা জানান ডিলার নুরুজ্জামানও।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘ডিলারদের টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে উপজেলার মাসিক সভায় আলোচনা হয়েছে। সুবিধাভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘যেসব ডিলারের টাকা নেওয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪