Ajker Patrika

ঈদের রাতে ইবাদতের ফজিলত

মুফতি খালিদ কাসেমি
Thumbnail image

পবিত্র মাহে রমজান শেষে যে সন্ধ্যায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়, সেই রাতই ঈদুল ফিতরের রাত। এই রাত অত্যন্ত বরকতময়। দীর্ঘ সিয়াম সাধনার পর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিন বান্দার পুরস্কার লাভের রাত। হাদিস শরিফে এই রাতকে ‘লাইলাতুল জাইযাহ’ তথা ‘পুরস্কার লাভের রাত’ হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। (শুআবুল ইমান)

হাদিস শরিফে ঈদের রাতে ইবাদতের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। নবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি পাঁচ রাতে জেগে ইবাদত করবে, তার ওপর জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। রাত পাঁচটি হলো: এক. জিলহজের ৮ তারিখের রাত। দুই. জিলহজের ৯ তারিখের রাত। তিন. ঈদুল আজহার রাত। চার. ঈদুল ফিতরের রাত। পাঁচ. শাবানের ১৫ তারিখের রাত।’ (আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব)

দোয়া কবুলের বিশেষ কিছু মুহূর্ত রয়েছে, এর মধ্যে দুই ঈদের রাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রাতে কৃত দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘পাঁচ রাত এমন রয়েছে, যাতে কৃত দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। এক. জুমার রাত। দুই. রজব মাসের প্রথম রাত। তিন. অর্ধ শাবানের রাত। চার. ঈদুল ফিতরের রাত। পাঁচ. ঈদুল আজহার রাত।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক)

অন্য হাদিসে নবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি শুধু আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে দুই ঈদের রাতে জেগে থাকবে; সেদিন (হাশরের দিন) তার হৃদয় সজীব থাকবে, যেদিন সবার হৃদয় মারা যাবে।’ (ইবনে মাজাহ)

ঈদের রাত ইবাদতের রাত। এ রাত ঈদের কেনাকাটা ও আমোদ-ফুর্তিতে কাটিয়ে দেওয়া অনুচিত। এ রাতের নির্দিষ্ট কোনো ইবাদত নেই। তবে বিভিন্ন জিকির, কোরআন তিলাওয়াত এবং নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে এ রাতের বরকত লাভে সচেষ্ট হওয়া উচিত। 

লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত