Ajker Patrika

যুবককে গুলি করে হত্যা অভিযুক্তের ঘরে আগুন

পাবনা প্রতিনিধি
যুবককে গুলি করে হত্যা অভিযুক্তের ঘরে আগুন

পাবনার সুজানগরে প্রতিপক্ষের গুলিতে এরশাদ শেখ (৩২) হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে তাঁর বাবা মোয়াজ্জেম হোসেন বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

গত রোববার রাতে ৯টার দিকে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের চর মানিকদিয়ার গ্রামে সেতুর কাছে প্রতিপক্ষের গুলিতে এরশাদ মারা যান। এরপর বিক্ষুব্ধ স্বজনেরা আক্কাস বিশ্বাস ও আজম আলী বিশ্বাসের গরু-মুরগির খামারে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন।  

এই হত্যার বিচারের দাবি ও জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে গতকাল বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল করেন এরশাদ শেখের স্বজন ও এলাকাবাসী।এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাস, রফিক বিশ্বাস ও মামুন বিশ্বাস। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে ছাগলের জমির ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় গোলাপ শেখ ও আক্কাস বিশ্বাসের পরিবারের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় হালিম বিশ্বাস নামের এক যুবক এরশাদ শেখকে গুলি করেন। পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই থেকে আড়াই মাস আগে আক্কাস বিশ্বাস বাড়ির পাশে একটি দোকান নির্মাণ করেন। এর সামান্য দূরে শেখ পরিবারের আত্মীয় চাদু প্রামাণিক তাঁর বাড়ির সামনে একটি দোকান নির্মাণ করেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। কারণ চাদু প্রামাণিকের দোকান দেওয়ার পর আক্কাসের বেচাকেনা কমে যায়।

এরশাদের মা মরিয়ম খাতুন বলেন, গত রোববার বিকেলে গোলাপ শেখের জমিতে আক্কাস বিশ্বাসের ছাগল বাঁধা নিয়ে প্রথমে দুই পরিবারের নারীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। আক্কাস বিশ্বাস প্রথমে গোলাপ শেখের লোকজনকে মারধর করেন। সেখান থেকে পুরুষদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

এরশাদের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সুমনা খাতুন বলেন, এরশাদ গিয়ে সবাইকে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু তাঁকে হালিম বিশ্বাস কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেন। সুজানগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, হত্যার পর হালিম বিশ্বাসের বাবা আজম বিশ্বাসের বাড়ি থেকে তাঁর লাইসেন্স করা বন্দুক জব্দ করা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত