হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বন্য হাতির দল এক দরিদ্র পরিবারের দুটি ঘর ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। এ সময় এলাকার প্রায় ২ একর জমির আমনের ধান ও সবজিখেত খেয়ে এবং পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী কড়ইতলী এলাকার পশ্চিম কোচপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি বন বিভাগের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
বন বিভাগের কর্মকর্তা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৫-২০ দিন ধরে সীমান্তে একের পর এক তাণ্ডব চালাচ্ছে বন্য হাতির দল। ফসল ও ঘরবাড়ি রক্ষায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটার সময় কড়ইতলী এলাকার ছাহেরা খাতুনের বাড়িতে তাণ্ডব চালায় হাতির দল। এ সময় পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে রক্ষা পান। হাতির দল ঘর, গোয়ালঘরসহ বাড়ির আঙিনার ফলের গাছ নষ্ট করে ফেলে।
পরে সেখান থেকে হাতির দল পানিহাটা পাহাড়ের ঢালের ১৫-১৬ জন কৃষকের প্রায় দুই একর জমির ধান ও সবজিখেত খেয়ে এবং মাড়িয়ে নষ্ট করে দেয়। এ সময় স্থানীয়রা মশাল ও টর্চলাইট জ্বালিয়ে, পটকা ফুটিয়ে ও হইহল্লা করে হাতির দলটিতে জঙ্গলে ফেরাতে চেষ্টা করেন। পরে ভোরে হাতির দলটি আবার আমতৈল জঙ্গলে চলে যায়।
কৃষকেরা জানান, ৩৫-৪০টি বন্য হাতির দল বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলার কড়ইতলী এলাকার সীমান্তবর্তী পাহাড়ের ঢালে অবস্থান করছে। সন্ধ্যা হলেই খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে হাতির দল। হানা দেয় ফসলি জমিতে ও বসতভিটায়। গত কয়েক দিনে কড়ইতলী, কোচপাড়া, লক্ষ্মীকুড়াসহ কয়েকটি এলাকায় মানুষ রাত জেগে পাহারা দিয়েও রক্ষা করতে পারছে না ফসলি জমি। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ একর সবজি ও আমন ধান খেয়ে এবং পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করেছে হাতির দল।
কৃষক শাহ আলম বলেন, হাতির দল এখন আগুন ও মানুষ দেখেও ভয় পায় না। হইহল্লা করেও কাজ হয় না। আমরা এখন নিরুপায়।
গৃহবধূ ছাহেরা খাতুন বলেন, ‘হাতির চিৎকার শুনেই আমরা ঘরবাড়ি ছেড়ে কোনোরকমে দৌড়ে পালিয়ে জীবন রক্ষা করেছি। আমার থাকার ঘরসহ দুটি ঘর ভেঙে তছনছ করে দিছে। আমি গরিব মানুষ। আমি এখন কই যামু? আমার সব শেষ অইয়া গেল।’
এ ব্যাপারে বন বিভাগের দায়িত্বে থাকা গোপালপুর বিট কর্মকর্তা মো. মাজাহারুল ইসলাম জানান, ‘বন্য হাতির দল পাহাড়ি জঙ্গল থেকে প্রতি রাতে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে। এলাকাবাসীদের নিয়ে তাঁরা হাতি জঙ্গলে ফেরাতে কাজ করে যাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে ছাহেরা খাতুনের বাড়িতে তাণ্ডব চালায়। এতে তাঁর প্রায় ২ লাখ টাকার সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের থানায় জিডি করে বন বিভাগের ফরমে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বন্য হাতির দল এক দরিদ্র পরিবারের দুটি ঘর ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। এ সময় এলাকার প্রায় ২ একর জমির আমনের ধান ও সবজিখেত খেয়ে এবং পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী কড়ইতলী এলাকার পশ্চিম কোচপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি বন বিভাগের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
বন বিভাগের কর্মকর্তা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৫-২০ দিন ধরে সীমান্তে একের পর এক তাণ্ডব চালাচ্ছে বন্য হাতির দল। ফসল ও ঘরবাড়ি রক্ষায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটার সময় কড়ইতলী এলাকার ছাহেরা খাতুনের বাড়িতে তাণ্ডব চালায় হাতির দল। এ সময় পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে রক্ষা পান। হাতির দল ঘর, গোয়ালঘরসহ বাড়ির আঙিনার ফলের গাছ নষ্ট করে ফেলে।
পরে সেখান থেকে হাতির দল পানিহাটা পাহাড়ের ঢালের ১৫-১৬ জন কৃষকের প্রায় দুই একর জমির ধান ও সবজিখেত খেয়ে এবং মাড়িয়ে নষ্ট করে দেয়। এ সময় স্থানীয়রা মশাল ও টর্চলাইট জ্বালিয়ে, পটকা ফুটিয়ে ও হইহল্লা করে হাতির দলটিতে জঙ্গলে ফেরাতে চেষ্টা করেন। পরে ভোরে হাতির দলটি আবার আমতৈল জঙ্গলে চলে যায়।
কৃষকেরা জানান, ৩৫-৪০টি বন্য হাতির দল বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলার কড়ইতলী এলাকার সীমান্তবর্তী পাহাড়ের ঢালে অবস্থান করছে। সন্ধ্যা হলেই খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে হাতির দল। হানা দেয় ফসলি জমিতে ও বসতভিটায়। গত কয়েক দিনে কড়ইতলী, কোচপাড়া, লক্ষ্মীকুড়াসহ কয়েকটি এলাকায় মানুষ রাত জেগে পাহারা দিয়েও রক্ষা করতে পারছে না ফসলি জমি। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ একর সবজি ও আমন ধান খেয়ে এবং পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করেছে হাতির দল।
কৃষক শাহ আলম বলেন, হাতির দল এখন আগুন ও মানুষ দেখেও ভয় পায় না। হইহল্লা করেও কাজ হয় না। আমরা এখন নিরুপায়।
গৃহবধূ ছাহেরা খাতুন বলেন, ‘হাতির চিৎকার শুনেই আমরা ঘরবাড়ি ছেড়ে কোনোরকমে দৌড়ে পালিয়ে জীবন রক্ষা করেছি। আমার থাকার ঘরসহ দুটি ঘর ভেঙে তছনছ করে দিছে। আমি গরিব মানুষ। আমি এখন কই যামু? আমার সব শেষ অইয়া গেল।’
এ ব্যাপারে বন বিভাগের দায়িত্বে থাকা গোপালপুর বিট কর্মকর্তা মো. মাজাহারুল ইসলাম জানান, ‘বন্য হাতির দল পাহাড়ি জঙ্গল থেকে প্রতি রাতে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে। এলাকাবাসীদের নিয়ে তাঁরা হাতি জঙ্গলে ফেরাতে কাজ করে যাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে ছাহেরা খাতুনের বাড়িতে তাণ্ডব চালায়। এতে তাঁর প্রায় ২ লাখ টাকার সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের থানায় জিডি করে বন বিভাগের ফরমে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪