আনিছুর লাডলা, লালমনিরহাট
লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে কুমড়াসহ বিভিন্ন শাকসবজি আবাদ করে পাল্টে গেছে কৃষকের জীবনযাত্রা। অথচ কয়েক বছর আগেও চরাঞ্চলের মানুষ ছিল অভাবের মধ্যে। এখানকার উৎপাদিত সবজি অনেকটা কীটনাশকমুক্ত হওয়ায় ভোক্তাদের কাছে এর চাহিদা বেশি।
জেলার উল্লেখযোগ্য চরাঞ্চল ভোটমারীর জামিরবাড়ি, গোকুন্ডা, রাজুপর, খুনিয়াগাছ, ডাউয়াবাড়ি, সানিয়াজান, গড্ডিমারীসহ পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অন্তত শতাধিক চরাঞ্চলে মিষ্টি কুমড়া, লালশাক, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির ব্যাপক আবাদ হয়েছে। স্বল্প খরচে তিস্তায় জেগে ওঠা চরাঞ্চলে সেচ পাম্প বসিয়ে সেচ ব্যবস্থা করে এসব ফসল চাষাবাদ করছেন কৃষকেরা।
ভোটমারী ইউনিয়নের জামিরবাড়ি চরের আমজাদ হোসেন বলেন, ‘সেচের সময় পানির অভাবে ফসল ফলাতে সমস্যা হচ্ছে অনেক। আমরা শ্যালোমেশিন ব্যবহার করে পানির অভাব পূরণ করে থাকি তবুও পরিপূর্ণভাবে পানির চাহিদা মেটাতে পারছি না। এই তিস্তা নদীর পানির ওপর নির্ভর করে থাকে আমাদের ফসল। তাই সরকার যদি তিস্তা নদীর পানির ব্যবস্থা করত তাহলে আমরা তিস্তা চরাঞ্চলের কৃষক অনেক বেশি উপকৃত হতাম।’
আদিতমারী উপজেলার চর বালাপাড়া এলাকার কৃষক হাসান আলী বলেন, ‘আমার যেটুকু জমি ছিল তা তিস্তার পেটে চলে গেছে। এ কারণে প্রতি বছর এই সময় নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে জৈব সার ব্যবহার করে কুমড়া, আলু, বাদাম চাষ করি। ফলন ভালো হওয়ায় আমরা পরিবার নিয়ে ভালোভাবে দিন কাটাতে পারছি।’
কালীগঞ্জ উপজেলার চর বৈরাতি গ্রামের মমিনুল আনোয়ারা কৃষক দম্পতি বলেন, ‘সংসার চালাতে তীব্র রোদের মধ্যে এই বালু চরে পানি সেচ দিয়ে ভুট্টা, রসুন, পেঁয়াজ ও আলুর চাষাবাদ করছি।’ একই চরের আফজাল হোসেন বলেন, ‘একসময় বসতভিটা, জমি-জমা সবই ছিল। তিস্তা তা কেড়ে নিয়েছে। খরা মৌসুমে পানি কমে যাওয়ায় বসতভিটার জায়গা আবার জেগে উঠেছে। আর সেই বসত-ভিটায় এখন তামাক আবাদ করছি। তামাক বিক্রি করে সারা বছর সংসারের খরচ চালাব।’
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামীম আশরাফ বলেন, ‘এ বছর জেলায় পাঁচ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজির চাষ হয়েছে। কম খরচে লাভবান হওয়ায় গত বছরের তুলনায় চলতি বছর তিস্তায় চরে শাক-সবজির আবাদ হয়েছে অনেক বেশি।
লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে কুমড়াসহ বিভিন্ন শাকসবজি আবাদ করে পাল্টে গেছে কৃষকের জীবনযাত্রা। অথচ কয়েক বছর আগেও চরাঞ্চলের মানুষ ছিল অভাবের মধ্যে। এখানকার উৎপাদিত সবজি অনেকটা কীটনাশকমুক্ত হওয়ায় ভোক্তাদের কাছে এর চাহিদা বেশি।
জেলার উল্লেখযোগ্য চরাঞ্চল ভোটমারীর জামিরবাড়ি, গোকুন্ডা, রাজুপর, খুনিয়াগাছ, ডাউয়াবাড়ি, সানিয়াজান, গড্ডিমারীসহ পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অন্তত শতাধিক চরাঞ্চলে মিষ্টি কুমড়া, লালশাক, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির ব্যাপক আবাদ হয়েছে। স্বল্প খরচে তিস্তায় জেগে ওঠা চরাঞ্চলে সেচ পাম্প বসিয়ে সেচ ব্যবস্থা করে এসব ফসল চাষাবাদ করছেন কৃষকেরা।
ভোটমারী ইউনিয়নের জামিরবাড়ি চরের আমজাদ হোসেন বলেন, ‘সেচের সময় পানির অভাবে ফসল ফলাতে সমস্যা হচ্ছে অনেক। আমরা শ্যালোমেশিন ব্যবহার করে পানির অভাব পূরণ করে থাকি তবুও পরিপূর্ণভাবে পানির চাহিদা মেটাতে পারছি না। এই তিস্তা নদীর পানির ওপর নির্ভর করে থাকে আমাদের ফসল। তাই সরকার যদি তিস্তা নদীর পানির ব্যবস্থা করত তাহলে আমরা তিস্তা চরাঞ্চলের কৃষক অনেক বেশি উপকৃত হতাম।’
আদিতমারী উপজেলার চর বালাপাড়া এলাকার কৃষক হাসান আলী বলেন, ‘আমার যেটুকু জমি ছিল তা তিস্তার পেটে চলে গেছে। এ কারণে প্রতি বছর এই সময় নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে জৈব সার ব্যবহার করে কুমড়া, আলু, বাদাম চাষ করি। ফলন ভালো হওয়ায় আমরা পরিবার নিয়ে ভালোভাবে দিন কাটাতে পারছি।’
কালীগঞ্জ উপজেলার চর বৈরাতি গ্রামের মমিনুল আনোয়ারা কৃষক দম্পতি বলেন, ‘সংসার চালাতে তীব্র রোদের মধ্যে এই বালু চরে পানি সেচ দিয়ে ভুট্টা, রসুন, পেঁয়াজ ও আলুর চাষাবাদ করছি।’ একই চরের আফজাল হোসেন বলেন, ‘একসময় বসতভিটা, জমি-জমা সবই ছিল। তিস্তা তা কেড়ে নিয়েছে। খরা মৌসুমে পানি কমে যাওয়ায় বসতভিটার জায়গা আবার জেগে উঠেছে। আর সেই বসত-ভিটায় এখন তামাক আবাদ করছি। তামাক বিক্রি করে সারা বছর সংসারের খরচ চালাব।’
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামীম আশরাফ বলেন, ‘এ বছর জেলায় পাঁচ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজির চাষ হয়েছে। কম খরচে লাভবান হওয়ায় গত বছরের তুলনায় চলতি বছর তিস্তায় চরে শাক-সবজির আবাদ হয়েছে অনেক বেশি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪