Ajker Patrika

দর্শনার্থীর পদচারণে মুখর গুনগুন-রণন বইমেলা

বেরোবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২২, ১৫: ০৫
দর্শনার্থীর পদচারণে মুখর   গুনগুন-রণন বইমেলা

পাঠক, লেখক ও দর্শনার্থীর পদচারণে জমে উঠছে বইমেলা। গুনগুন-রণনের আয়োজনে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে ছয় দিনব্যাপী মেলার চতুর্থ দিনে গতকাল বুধবার দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

বুধবার বিকেল থেকে বইমেলা ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই দল বেঁধে বইমেলায় আসছেন। কেউ প্রিয় মানুষকে নিয়ে, কেউ আবার বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে, কেউবা পরিবার পরিজন নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছেন। শিশু, কিশোর-কিশোরীরাও এসেছে। মেলায় আগতরা ঘুরে ঘুরে দেখছেন মেলায় আসা নতুন বইগুলো। পছন্দমতো বইও কিনছেন।

বইমেলায় এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী খায়রুন্নাহার মণি। সঙ্গে রয়েছে ছেলে ও মেয়ে। কথা হলে খায়রুন্নাহার মণি বলেন, ‘অনেক দিন পর বইমেলায় এসে খুব ভালো লাগছে। তবে শিশুদের জন্য একটা শিশু কর্নার থাকলে ভালো হতো।’

সোহানুর রহমান শাকিল নামে একজন বলেন, ‘আমি বইমেলায় সুযোগ পেলেই চলে আসি। স্টলে স্টলে ঘুরি আর বই কিনি। মেলার শেষ দিকে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি হচ্ছে। বাকি দিনগুলোতে বইপ্রেমী পাঠক, দর্শনার্থীদের ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।’

লেখক রেজাউল করিম মুকুল বলেন, ‘দীর্ঘ বিরতির পর আমরা সবাই বইমেলায় আগের মতো আসতে পারছি এটা অনেক বড় বিষয়। আমি প্রতিদিনই আসছি কবি-পাঠকদের মিলনমেলায়। পাঠকেরা বই নিচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’

বইমেলা দেখতে আসা কৈশিক রায় ও মাহফুজুর রহমান জানান, এবারের বই মেলায় বেরোবির চারজন লেখকের বই পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া অনেক নতুন নতুন বই পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি বছর মেলা আয়োজনের দাবি জানান তাঁরা।

বেরোবির তরুণ কবি মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘বই মেলায় আমার লেখা ‘শয়তানগ্রহ’ বইটি পাওয়া যাচ্ছে। বইটি মেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলছে। অনেকেই বইটি কিনছেন। ভালো লাগছে। আমি চাই সবাই বই মেলায় আসুন, বই কিনুন।’

ব্রুডা স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধি জসীম উদ্দীন রিয়াজ বলেন, ‘মেলা শুরু হওয়ার পর প্রথম দিকে তেমন একটা না জমলেও, শেষ দুই দিন বইপ্রেমী ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বেচাবিক্রিও।’

আইডিয়া প্রকাশনের প্রকাশক সাকিল মাসুদ বলেন, ‘চমৎকার আয়োজনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে এবারের গুনগুন-রণন বইমেলা। বই বিক্রি ভালো হচ্ছে। অন্যবারের তুলনায় এবার লোকসমাগমও বেশি। পাঠকদের চাহিদা মেটাতে আমাদের স্টলে যথেষ্ট বই মজুত রাখা আছে। প্রতিদিন বিকেল থেকে মানুষের উপস্থিতি বেড়ে যায়।’

আয়োজক কমিটির উমর ফারুক জানান, অন্যবারের তুলনায় পাঠক-লেখকদের সমাগম বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে এবার। এবার মেলা প্রাঙ্গণে ২৭টি স্টল বসেছে। বাকি দিনগুলোতে মানুষের সমাগম আরও বাড়বে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত