তানিম আহমেদ ও মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, গাজীপুর থেকে
খেলাপি ঋণের জিম্মাদার থাকায় বাতিল হলো গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র। বিষয়টিকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আজমত উল্লা খান স্বস্তিদায়ক বললেও এখনই হাল ছাড়ছেন না জাহাঙ্গীর। আপিল করার কথা জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া তাঁর মায়ের মনোনয়নপত্রও বৈধ ঘোষিত হয়েছে। ফলে এখনো আলোচনায় আছেন তিনি।
আগামী ২৫ জুন অনুষ্ঠেয় গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ১২ জন। তাঁদের মধ্যে জাহাঙ্গীরসহ তিনজনের মনোনয়নপত্র গতকাল রোববার বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান, জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুনসহ বাকি নয়জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ফরিদুল ইসলাম বলেন, জাহাঙ্গীর আলম যেসব কাগজপত্র দাখিল করেছেন, সেগুলোর সবকিছু সঠিক পাওয়া গেছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি যে প্রতিষ্ঠানের ঋণের জন্য জামিনদার হয়েছিলেন, সেই প্রতিষ্ঠানটি ঋণখেলাপি।
এদিকে মনোনয়নপত্র বাতিলকে অগণতান্ত্রিক দাবি করেছেন জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। আমি কমিশনের কাছে নিরপেক্ষতা ও ন্যায়বিচার পাইনি। আমি এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে আজমত উল্লা খান বলেন, ‘কেউ আমার প্রতিপক্ষ নয়, সকলেই আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী। জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল নিশ্চয়ই স্বস্তিদায়ক।’
জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ীতে কোরিয়ান মালিকানাধীন নিউ টাউন নিট ওয়্যার কোম্পানি লিমিটেড (এনটিকেসি) নামের একটি কম্পোজিট কারখানার নেওয়া ঋণের জামিনদার ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। অগ্রণী ব্যাংক থেকে নেওয়া ওই ঋণের পরিমাণ ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা বলে সূত্র জানিয়েছে।
জাহাঙ্গীরের হলফনামাতেও এনটিকেসির এই ঋণের কথা উল্লেখ আছে। তিনি সেখানে উল্লেখ করেছেন, ‘এনটিকেসির পক্ষে আমার নিজ সম্পত্তি অগ্রণী ব্যাংকের ঢাকা ওয়াসা করপোরেট শাখায় বন্ধক দিয়ে ঋণের জমিনদার হয়েছি। ঋণটি পুনঃ তফসিলীকরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
ওই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ১৯৯৬ সালে স্থাপিত ওই প্রতিষ্ঠানে এক হাজারের বেশি শ্রমিক আছেন। বার্ষিক আয় ১ কোটি থেকে ৫ কোটি ডলার। ওয়েবসাইটে পাওয়া কোম্পানির মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ওই কোম্পানিতে আমার কোনো শেয়ার নেই। লভ্যাংশও নিই না। তবু শ্রমিকদের বাঁচানোর জন্য মানবিক কারণে আমার নিজের সম্পদ দিয়েছি, যা ওই ব্যাংকে বন্ধক দিয়ে কোরিয়ান মালিক ঋণ নিয়ে কারখানাটি চালু রেখেছেন। করোনা মহামারির কারণে কোরিয়ানরা ব্যাংকে যথাসময়ে টাকা দিতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমি প্রার্থী হওয়ার পর গত ১১ এপ্রিল ও ১৮ এপ্রিল কোরিয়ানরা বাংলাদেশ ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের যে পাওনা ছিল, তা পরিশোধ করেছে। কোরিয়ান কোম্পানি ১৭ এপ্রিল অগ্রণী ব্যাংকের পাওনা টাকা পরিশোধ করেছে। সেই সব কাগজপত্র আইনজীবী এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়েছে। তারপরও আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।’
জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে মনে করছেন দলটির ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। তিনি মনে করেন, আপিলে জাহাঙ্গীরের পক্ষে ফল আসার সম্ভাবনা কম।
মির্জা আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঋণের ৫ না ১০ শতাংশ ম্যানেজারের কাছে জমা দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর তো সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আর এটা আজকেই (রোববার) প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। এখন এমডির একক কোনো ক্ষমতা নেই অনুমোদন করার। এটা প্রসেস করে বোর্ড মিটিংয়ে অ্যাজেন্ডা হিসেবে আসবে। তারপর বোর্ড অনুমোদন করবে। এটা অনেক সময়ের ব্যাপার। মনে হয় না এত অল্প সময়ে সমাধান হবে।’ আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলে আওয়ামী লীগ কি জাহাঙ্গীরকে নির্বাচন থেকে সরানোর কোনো উদ্যোগ নেবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তখন আমরা তাঁকে অনুরোধ করে বলব দলে থাকতে চাইলে নেত্রীর সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে।’
এদিকে জাহাঙ্গীরের মায়ের মনোনয়নপত্র বৈধ হলেও অনেকে মনে করছেন, জাহাঙ্গীর নির্বাচনে থাকলে যে ফলাফল হবে, তাঁর মা থাকলে তা হবে অন্য রকম।
ভোটের মাঠে নানা হিসাব
গাজীপুর-২ এবং গাজীপুর-১ ও গাজীপুর-৫ আসনের আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত সিটি করপোরেশন। এই তিন আসনে আওয়ামী লীগের এমপি হলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও মেহের আফরোজ চুমকি। দলীয় সূত্র বলেছে, এই তিনজনের সঙ্গে বেশির ভাগ সময় আজমত উল্লার সম্পর্ক ভালো ছিল। এবারের নির্বাচনেও তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ আছেন। তবে মেয়র থাকাকালে নানান সুযোগ-সুবিধা দেওয়ায় এবং বিভিন্ন দলের একটি অংশের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় ভোটের মাঠে জাহাঙ্গীরের শক্ত অবস্থান আছে। শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে ফিরে এলে নৌকার প্রার্থীকে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে বলে মনে করছেন গাজীপুরের একজন জনপ্রতিনিধি।
ওই জনপ্রতিনিধি বলেন, জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় জাহাঙ্গীর বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। ক্ষমা চেয়ে মাফ পাওয়ার পর আবারও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলেন। এগুলো তাঁর রাজনৈতিক ভুল। দলীয় প্রধান তাঁর বিরুদ্ধে এখন শক্ত অবস্থান নিলে তাঁর ওপর দলের যেসব নেতার ছায়া আছে, তা-ও সরে যাবে।
গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নৌকা যাঁর আমরা তাঁর। তাই তাঁকে বিজয়ী করতে আমাদের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। শুধু মহানগর আওয়ামী লীগ নয়, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও প্রচারে মাঠে নামবে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও গাজীপুর সিটি নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত টিমের প্রধান মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন করব। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের ভোটে জয়লাভ করা।’
খেলাপি ঋণের জিম্মাদার থাকায় বাতিল হলো গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র। বিষয়টিকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আজমত উল্লা খান স্বস্তিদায়ক বললেও এখনই হাল ছাড়ছেন না জাহাঙ্গীর। আপিল করার কথা জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া তাঁর মায়ের মনোনয়নপত্রও বৈধ ঘোষিত হয়েছে। ফলে এখনো আলোচনায় আছেন তিনি।
আগামী ২৫ জুন অনুষ্ঠেয় গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ১২ জন। তাঁদের মধ্যে জাহাঙ্গীরসহ তিনজনের মনোনয়নপত্র গতকাল রোববার বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান, জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুনসহ বাকি নয়জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ফরিদুল ইসলাম বলেন, জাহাঙ্গীর আলম যেসব কাগজপত্র দাখিল করেছেন, সেগুলোর সবকিছু সঠিক পাওয়া গেছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি যে প্রতিষ্ঠানের ঋণের জন্য জামিনদার হয়েছিলেন, সেই প্রতিষ্ঠানটি ঋণখেলাপি।
এদিকে মনোনয়নপত্র বাতিলকে অগণতান্ত্রিক দাবি করেছেন জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। আমি কমিশনের কাছে নিরপেক্ষতা ও ন্যায়বিচার পাইনি। আমি এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে আজমত উল্লা খান বলেন, ‘কেউ আমার প্রতিপক্ষ নয়, সকলেই আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী। জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল নিশ্চয়ই স্বস্তিদায়ক।’
জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ীতে কোরিয়ান মালিকানাধীন নিউ টাউন নিট ওয়্যার কোম্পানি লিমিটেড (এনটিকেসি) নামের একটি কম্পোজিট কারখানার নেওয়া ঋণের জামিনদার ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। অগ্রণী ব্যাংক থেকে নেওয়া ওই ঋণের পরিমাণ ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা বলে সূত্র জানিয়েছে।
জাহাঙ্গীরের হলফনামাতেও এনটিকেসির এই ঋণের কথা উল্লেখ আছে। তিনি সেখানে উল্লেখ করেছেন, ‘এনটিকেসির পক্ষে আমার নিজ সম্পত্তি অগ্রণী ব্যাংকের ঢাকা ওয়াসা করপোরেট শাখায় বন্ধক দিয়ে ঋণের জমিনদার হয়েছি। ঋণটি পুনঃ তফসিলীকরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
ওই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ১৯৯৬ সালে স্থাপিত ওই প্রতিষ্ঠানে এক হাজারের বেশি শ্রমিক আছেন। বার্ষিক আয় ১ কোটি থেকে ৫ কোটি ডলার। ওয়েবসাইটে পাওয়া কোম্পানির মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ওই কোম্পানিতে আমার কোনো শেয়ার নেই। লভ্যাংশও নিই না। তবু শ্রমিকদের বাঁচানোর জন্য মানবিক কারণে আমার নিজের সম্পদ দিয়েছি, যা ওই ব্যাংকে বন্ধক দিয়ে কোরিয়ান মালিক ঋণ নিয়ে কারখানাটি চালু রেখেছেন। করোনা মহামারির কারণে কোরিয়ানরা ব্যাংকে যথাসময়ে টাকা দিতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমি প্রার্থী হওয়ার পর গত ১১ এপ্রিল ও ১৮ এপ্রিল কোরিয়ানরা বাংলাদেশ ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের যে পাওনা ছিল, তা পরিশোধ করেছে। কোরিয়ান কোম্পানি ১৭ এপ্রিল অগ্রণী ব্যাংকের পাওনা টাকা পরিশোধ করেছে। সেই সব কাগজপত্র আইনজীবী এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়েছে। তারপরও আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।’
জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে মনে করছেন দলটির ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। তিনি মনে করেন, আপিলে জাহাঙ্গীরের পক্ষে ফল আসার সম্ভাবনা কম।
মির্জা আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঋণের ৫ না ১০ শতাংশ ম্যানেজারের কাছে জমা দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর তো সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আর এটা আজকেই (রোববার) প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। এখন এমডির একক কোনো ক্ষমতা নেই অনুমোদন করার। এটা প্রসেস করে বোর্ড মিটিংয়ে অ্যাজেন্ডা হিসেবে আসবে। তারপর বোর্ড অনুমোদন করবে। এটা অনেক সময়ের ব্যাপার। মনে হয় না এত অল্প সময়ে সমাধান হবে।’ আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলে আওয়ামী লীগ কি জাহাঙ্গীরকে নির্বাচন থেকে সরানোর কোনো উদ্যোগ নেবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তখন আমরা তাঁকে অনুরোধ করে বলব দলে থাকতে চাইলে নেত্রীর সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে।’
এদিকে জাহাঙ্গীরের মায়ের মনোনয়নপত্র বৈধ হলেও অনেকে মনে করছেন, জাহাঙ্গীর নির্বাচনে থাকলে যে ফলাফল হবে, তাঁর মা থাকলে তা হবে অন্য রকম।
ভোটের মাঠে নানা হিসাব
গাজীপুর-২ এবং গাজীপুর-১ ও গাজীপুর-৫ আসনের আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত সিটি করপোরেশন। এই তিন আসনে আওয়ামী লীগের এমপি হলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও মেহের আফরোজ চুমকি। দলীয় সূত্র বলেছে, এই তিনজনের সঙ্গে বেশির ভাগ সময় আজমত উল্লার সম্পর্ক ভালো ছিল। এবারের নির্বাচনেও তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ আছেন। তবে মেয়র থাকাকালে নানান সুযোগ-সুবিধা দেওয়ায় এবং বিভিন্ন দলের একটি অংশের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় ভোটের মাঠে জাহাঙ্গীরের শক্ত অবস্থান আছে। শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে ফিরে এলে নৌকার প্রার্থীকে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে বলে মনে করছেন গাজীপুরের একজন জনপ্রতিনিধি।
ওই জনপ্রতিনিধি বলেন, জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় জাহাঙ্গীর বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। ক্ষমা চেয়ে মাফ পাওয়ার পর আবারও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলেন। এগুলো তাঁর রাজনৈতিক ভুল। দলীয় প্রধান তাঁর বিরুদ্ধে এখন শক্ত অবস্থান নিলে তাঁর ওপর দলের যেসব নেতার ছায়া আছে, তা-ও সরে যাবে।
গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নৌকা যাঁর আমরা তাঁর। তাই তাঁকে বিজয়ী করতে আমাদের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। শুধু মহানগর আওয়ামী লীগ নয়, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও প্রচারে মাঠে নামবে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও গাজীপুর সিটি নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত টিমের প্রধান মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন করব। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের ভোটে জয়লাভ করা।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪