ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি
আগস্ট মাসের প্রথম সাত দিন নিরাপদ মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ। বিশ্ব নিরাপদ মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২২-এর প্রতিপাদ্য, ‘স্টেপ আপ ফর ব্রেস্ট ফিডিং: এডুকেট অ্যান্ড সাপোর্ট’। প্রকৃতপক্ষে, উপযুক্ত শিক্ষা ও সহযোগিতার মাধ্যমেই শিশুর স্তন্যপানকে এগিয়ে নিতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে। ২০০৯ সালে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে আমাদের দেশে প্রতিবছর ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’ পালিত হয়ে আসছে। এতে নিয়োজিত রয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পুষ্টি সেবা বিভাগ।
একটি পরিবারের আনন্দের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে শিশু। তাই সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে সঠিক পরিচর্যার পাশাপাশি শিশুর সুষম খাদ্যগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। জন্মের পর থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুর প্রধান এবং একমাত্র খাবার হলো মায়ের দুধ।
শুধু বুকের দুধ পান করানোর মাধ্যমে বছরে আট লাখের বেশি ছয় মাসের কম বয়সী শিশুর জীবন রক্ষা করা সম্ভব।
নবজাতকের জন্য মায়ের দুধের কোনো বিকল্প নেই। শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে মাতৃদুগ্ধ পানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মূলত এই গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি জনগণের কাছে পৌঁছে দিতেই বিশ্বজুড়ে পালিত হয় মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের দুধ পান করালে শিশুমৃত্যুর হার ৩১ শতাংশ কমে। এ ছাড়া ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ পান করালে শিশুর মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায় আরও ১৩ শতাংশ।
ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ পান করালে শিশুর মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায় ১৩ শতাংশ।
মায়ের দুধ শিশুর উৎকৃষ্ট খাবার। মায়ের দুধ পানে শিশু যেমন সুস্থ-সবল হয়ে বেড়ে ওঠে, তেমনি প্রসূতিও অনেক উপকৃত হন। এটি শিশুর জীবন রক্ষার পাশাপাশি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। স্তন্যপান পরিবারের খরচ ও সময় বাঁচায়।দুধ খাওয়ানোর সময় মায়েদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। পাশাপাশি প্রয়োজন যথেষ্ট বিশ্রাম ও ঘুম।
দুধ খাওয়ানোর সময় মায়েদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি
মায়ের দুধের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিশ্বব্যাপী শিশুকে মায়ের দুধ পান করানোর হার এখনো অনেক কম। বাংলাদেশে জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ পান করানোর হার ৬৯ শতাংশ। মাত্র ৬৫ শতাংশ ক্ষেত্রে শিশুকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ পান করানো হয়। আমাদের সবার শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব এই অবস্থার জন্য দায়ী। তাই স্তন্যপান করানোর উপকারিতার ব্যাপারে সবাইকে শিক্ষিত ও সচেতন করে তুলতে হবে।
শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ, নতুন প্রজন্মকে নীরোগ ও স্বাস্থ্যবান করে গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে আমরা একটি কর্মক্ষম জাতি ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। তাই জন্মের পরপরই শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মায়ের দুধ পান নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। মাতৃদুগ্ধ পান নিশ্চিত করার সাফল্যের ক্ষেত্রে পরিবারের সব সদস্যের শিক্ষা ও সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই। প্রসূতি মাসহ স্বামী ও আত্মীয়স্বজনদের স্তন্যপানের উপকারিতার শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। পাশাপাশি প্রসূতি মা যাতে নির্বিঘ্নে শিশুকে স্তন্যদান করাতে পারেন, সে ব্যাপারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই নবজাতকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এবং আমরা একটি মেধাবী ও সক্ষম জাতি দেশকে উপহার দিতে পারব।
ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি, সহকারী অধ্যাপক, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
আগস্ট মাসের প্রথম সাত দিন নিরাপদ মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ। বিশ্ব নিরাপদ মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২২-এর প্রতিপাদ্য, ‘স্টেপ আপ ফর ব্রেস্ট ফিডিং: এডুকেট অ্যান্ড সাপোর্ট’। প্রকৃতপক্ষে, উপযুক্ত শিক্ষা ও সহযোগিতার মাধ্যমেই শিশুর স্তন্যপানকে এগিয়ে নিতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে। ২০০৯ সালে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে আমাদের দেশে প্রতিবছর ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’ পালিত হয়ে আসছে। এতে নিয়োজিত রয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পুষ্টি সেবা বিভাগ।
একটি পরিবারের আনন্দের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে শিশু। তাই সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে সঠিক পরিচর্যার পাশাপাশি শিশুর সুষম খাদ্যগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। জন্মের পর থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুর প্রধান এবং একমাত্র খাবার হলো মায়ের দুধ।
শুধু বুকের দুধ পান করানোর মাধ্যমে বছরে আট লাখের বেশি ছয় মাসের কম বয়সী শিশুর জীবন রক্ষা করা সম্ভব।
নবজাতকের জন্য মায়ের দুধের কোনো বিকল্প নেই। শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে মাতৃদুগ্ধ পানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মূলত এই গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি জনগণের কাছে পৌঁছে দিতেই বিশ্বজুড়ে পালিত হয় মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের দুধ পান করালে শিশুমৃত্যুর হার ৩১ শতাংশ কমে। এ ছাড়া ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ পান করালে শিশুর মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায় আরও ১৩ শতাংশ।
ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ পান করালে শিশুর মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পায় ১৩ শতাংশ।
মায়ের দুধ শিশুর উৎকৃষ্ট খাবার। মায়ের দুধ পানে শিশু যেমন সুস্থ-সবল হয়ে বেড়ে ওঠে, তেমনি প্রসূতিও অনেক উপকৃত হন। এটি শিশুর জীবন রক্ষার পাশাপাশি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। স্তন্যপান পরিবারের খরচ ও সময় বাঁচায়।দুধ খাওয়ানোর সময় মায়েদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। পাশাপাশি প্রয়োজন যথেষ্ট বিশ্রাম ও ঘুম।
দুধ খাওয়ানোর সময় মায়েদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি
মায়ের দুধের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিশ্বব্যাপী শিশুকে মায়ের দুধ পান করানোর হার এখনো অনেক কম। বাংলাদেশে জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ পান করানোর হার ৬৯ শতাংশ। মাত্র ৬৫ শতাংশ ক্ষেত্রে শিশুকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ পান করানো হয়। আমাদের সবার শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব এই অবস্থার জন্য দায়ী। তাই স্তন্যপান করানোর উপকারিতার ব্যাপারে সবাইকে শিক্ষিত ও সচেতন করে তুলতে হবে।
শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ, নতুন প্রজন্মকে নীরোগ ও স্বাস্থ্যবান করে গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে আমরা একটি কর্মক্ষম জাতি ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। তাই জন্মের পরপরই শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মায়ের দুধ পান নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। মাতৃদুগ্ধ পান নিশ্চিত করার সাফল্যের ক্ষেত্রে পরিবারের সব সদস্যের শিক্ষা ও সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই। প্রসূতি মাসহ স্বামী ও আত্মীয়স্বজনদের স্তন্যপানের উপকারিতার শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। পাশাপাশি প্রসূতি মা যাতে নির্বিঘ্নে শিশুকে স্তন্যদান করাতে পারেন, সে ব্যাপারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই নবজাতকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এবং আমরা একটি মেধাবী ও সক্ষম জাতি দেশকে উপহার দিতে পারব।
ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি, সহকারী অধ্যাপক, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪