Ajker Patrika

অনুমোদন ছাড়াই পশুর হাট বসালেন ইউপি চেয়ারম্যান

মহিউদ্দিন রানা, ঈশ্বরগঞ্জ
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ২৫
অনুমোদন ছাড়াই পশুর হাট বসালেন ইউপি চেয়ারম্যান

ঈশ্বরগঞ্জে অনুমোদন ছাড়াই সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) প্রাঙ্গণে গো-হাট বসানোর অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান আবু হানিফার বিরুদ্ধে। অনুমোদনহীন ওই হাট অপসারণ ও স্থাপনকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর আবেদন করেছেন পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস ছাত্তার।

আবেদন সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরগঞ্জ পৌর গো-হাটের খুবই কাছে ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়। ইউপি চেয়ারম্যান আবু হানিফা জেলা প্রশাসকের অনুমোদন ছাড়াই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে অবৈধ পশুর হাট বসান। এতে পৌরসভার চলমান গো-হাটের সঙ্গে ইউনিয়নে গো-হাট বসানোয় পৌরবাজারের রাজস্ব আদায় কাজে ক্ষতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, পৌরসভার সার্বিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

অবৈধ পশুর হাটটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ওই ইউপি চেয়ারম্যান হানিফাকে একাধিকবার অবগত করা হলেও তা বন্ধ করা হয়নি। বরং উপজেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত শুক্রবার ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে স্থানীয় কৃষক এবং পাইকারদের আনা ৬০ থেকে ৭০টি গরু ও ২৫ থেকে ৩০টি ছাগল নিয়ে ফের হাট জমান তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসকের অনুমোদনহীন ওই হাটের কার্যক্রম শুরু হয় গত ১৫ এপ্রিল। এ খবর উপজেলা প্রশাসন জানার পর ইউএনও ওই হাটটি বন্ধ করে দেন এবং হানিফাকে সতর্ক করে আসেন। এরপর গত শুক্রবার ফের পশুর হাট বসান তিনি।

এ বিষয়ে সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু হানিফা বলেন, ‘আমার ইউনিয়ন একটি বেওয়ারিশ ইউনিয়ন। ভূমিহীনদের যেমন কোনো কিছু নাই, তেমনি আমার ইউনিয়নে আয়ের কোনো উৎস নেই। ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ওপর পৌর পশুর হাট থাকায় জনসাধারণের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’

হানিফা আরও বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় কোরবানির ঈদ ব্যতীত পশুর হাট বসানোর কোনো নিয়ম নেই। তাই আমার ইউনিয়নের মানুষ হাটটি বসিয়েছে। আমি তাদের পক্ষে আছি। হাটের বৈধতার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি।’

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের অনুমোদন ছাড়াই সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু হানিফা যে অবৈধ পশুর হাট গড়ে তুলেছেন, তা পৌর গো-হাট থেকে ৫০০ গজ দূরে। পৌরসভার মূল আয়কে ব্যাহত করতেই অবৈধ হাট গড়ে তোলা হয়েছে। এ হাট অপসারণ না করা হলে পৌরসভার রাজস্ব আয় ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ এজন্য হাট বন্ধে প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ‘অবৈধ হাট যেন না বসে, এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে পত্র দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের অনুমতি ব্যতিরেকে এবং নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হাট বসানোর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত