সম্পাদকীয়
তা যদি জানা থাকত, তাহলে হয়তো ভালোই হতো। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত সুরাইয়ার স্কুলে যাওয়ার খবরটি পড়ে যে কারও মনে একই সঙ্গে ভালো এবং খারাপ দুটি অনুভূতিই ক্রিয়াশীল হওয়ার কথা। ভালো লাগবে এটা জেনে যে সুরাইয়া শিক্ষাজীবন শুরু করেছে আর খারাপ লাগবে তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কথা জেনে।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, মাতৃগর্ভেই গুলিবিদ্ধ হয়েছিল সুরাইয়া। তখন তার জীবন রক্ষা করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই সুরাইয়া এবার স্কুলে যাচ্ছে। তাকে ভর্তি করা হয়েছে মাগুরা শহরের পুলিশ লাইনস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণিতে। গত রোববার সকালে মা-বাবার কোলে চড়ে স্কুলে যায় সুরাইয়া।
২০১৫ সালের ২৩ জুলাই মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়ায় ক্ষমতাসীন দলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন পথচারী নাজমা বেগম গুলিবিদ্ধ হন, গুলি লাগে তাঁর গর্ভে থাকা শিশুর শরীরেও। গুলিটি শিশুর পিট দিয়ে ঢুকে বুকের ডান পাশ দিয়ে বের হয়ে ডান চোখে আঘাত করে। মাগুরা সদর হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সুরাইয়া পৃথিবীর আলো দেখে।
সুরাইয়ার মা নাজমা বেগম জানিয়েছেন, গুলির আঘাতে সুরাইয়ার ডান চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ডান চোখে সে কিছু দেখতে পায় না। বাঁ চোখের অবস্থাও ভালো নয়। ঢাকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, ডান চোখ তুলে না ফেললে বাঁ চোখটিও নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সুরাইয়ার বয়সী অন্য শিশুরা দৌড়ে খেলাধুলা করে বেড়াতে পারলেও, সে কিছুই পারে না। এমনকি দাঁড়াতেও পারে না। কারও সাহায্য ছাড়া সে হাঁটতে পারে না। তবে এটা জানা গেছে যে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারলে ভালো হয়ে যাবে সুরাইয়া। সুরাইয়ার অভিভাবকদের তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার মতো আর্থিক সংগতি নেই। সুরাইয়ার জন্মের সময় অনেকে কথা দিলেও এখন কেউ আর পাশে নেই বলে আক্ষেপ করেছেন সুরাইয়ার মা।
এ খবরটি সরকারি কোনো মহলের নজরে পড়েছে বা পড়বে কি না, জানি না। তবে পড়া উচিত এবং সুরাইয়ার পাশে দাঁড়ানো দরকার সরকারেরই। তার উপযুক্ত ও উন্নত চিকিৎসা দিয়ে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ করে দিতে হবে সরকারকেই। কারণ, অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো সরকারের একটি অন্যতম দায়িত্ব। সুরাইয়ার জীবনে যে দুর্যোগ সৃষ্টি হয়েছে তার পেছনে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের দায় আছে। ক্ষমতাসীন দলের দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ না হলে এমন দুঃসহ অবস্থা সুরাইয়ার জীবনে হতো না। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতৃত্বও বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখতে পারেন। আধিপত্য বিস্তারের জন্য কোন্দল করে অন্যদের ক্ষতি করলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করতে হবে।
তা যদি জানা থাকত, তাহলে হয়তো ভালোই হতো। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত সুরাইয়ার স্কুলে যাওয়ার খবরটি পড়ে যে কারও মনে একই সঙ্গে ভালো এবং খারাপ দুটি অনুভূতিই ক্রিয়াশীল হওয়ার কথা। ভালো লাগবে এটা জেনে যে সুরাইয়া শিক্ষাজীবন শুরু করেছে আর খারাপ লাগবে তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কথা জেনে।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, মাতৃগর্ভেই গুলিবিদ্ধ হয়েছিল সুরাইয়া। তখন তার জীবন রক্ষা করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই সুরাইয়া এবার স্কুলে যাচ্ছে। তাকে ভর্তি করা হয়েছে মাগুরা শহরের পুলিশ লাইনস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণিতে। গত রোববার সকালে মা-বাবার কোলে চড়ে স্কুলে যায় সুরাইয়া।
২০১৫ সালের ২৩ জুলাই মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়ায় ক্ষমতাসীন দলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন পথচারী নাজমা বেগম গুলিবিদ্ধ হন, গুলি লাগে তাঁর গর্ভে থাকা শিশুর শরীরেও। গুলিটি শিশুর পিট দিয়ে ঢুকে বুকের ডান পাশ দিয়ে বের হয়ে ডান চোখে আঘাত করে। মাগুরা সদর হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সুরাইয়া পৃথিবীর আলো দেখে।
সুরাইয়ার মা নাজমা বেগম জানিয়েছেন, গুলির আঘাতে সুরাইয়ার ডান চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ডান চোখে সে কিছু দেখতে পায় না। বাঁ চোখের অবস্থাও ভালো নয়। ঢাকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, ডান চোখ তুলে না ফেললে বাঁ চোখটিও নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সুরাইয়ার বয়সী অন্য শিশুরা দৌড়ে খেলাধুলা করে বেড়াতে পারলেও, সে কিছুই পারে না। এমনকি দাঁড়াতেও পারে না। কারও সাহায্য ছাড়া সে হাঁটতে পারে না। তবে এটা জানা গেছে যে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারলে ভালো হয়ে যাবে সুরাইয়া। সুরাইয়ার অভিভাবকদের তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার মতো আর্থিক সংগতি নেই। সুরাইয়ার জন্মের সময় অনেকে কথা দিলেও এখন কেউ আর পাশে নেই বলে আক্ষেপ করেছেন সুরাইয়ার মা।
এ খবরটি সরকারি কোনো মহলের নজরে পড়েছে বা পড়বে কি না, জানি না। তবে পড়া উচিত এবং সুরাইয়ার পাশে দাঁড়ানো দরকার সরকারেরই। তার উপযুক্ত ও উন্নত চিকিৎসা দিয়ে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ করে দিতে হবে সরকারকেই। কারণ, অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো সরকারের একটি অন্যতম দায়িত্ব। সুরাইয়ার জীবনে যে দুর্যোগ সৃষ্টি হয়েছে তার পেছনে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের দায় আছে। ক্ষমতাসীন দলের দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ না হলে এমন দুঃসহ অবস্থা সুরাইয়ার জীবনে হতো না। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতৃত্বও বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখতে পারেন। আধিপত্য বিস্তারের জন্য কোন্দল করে অন্যদের ক্ষতি করলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করতে হবে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫