Ajker Patrika

ফোনের সংযোগ নেই তবুও আসছে বিল

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২২, ১৫: ১০
ফোনের সংযোগ নেই তবুও আসছে বিল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে টেলিফোন ও সংযোগ না থাকার পরও দীর্ঘ ১২ বছর পর গ্রাহকদের কাছে টেলিফোন বিল চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) বিরুদ্ধে। টেলিফোন ব্যবহার না করেও টাকা পরিশোধের জন্য বলায় বিপাকে পড়েছেন সাবেক গ্রাহকেরা। এ ধরনের হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদরে বিটিসিএলের গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ১৭৫। সম্প্রতি টেলিফোন বিল পরিশোধের চিঠি পেয়ে হতবাক সাবেক এই গ্রাহকেরা। উপজেলা সদরের মো. মামুন ভূঁইয়া বলেন, ‘যেখানে বাড়িতে লাইনই নিইনি, সেখানে প্রায় ১২ বছর আগের বিল দেখে যে কারও অবাক হওয়ারই কথা।’

নাসিরনগর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল হক বলেন, ‘আমি ১২ বছর আগেই টেলিফোন লাইনের সব বিল পরিশোধ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি। কিন্তু কিছুদিন আগে আমার নামে ১২ বছরের বকেয়া বিল পরিশোধ করার চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমার জন্য খুবই বিব্রতকর।’

শুধু মামুন কিংবা আব্দুল হকই নন, বরং তাঁদের মতো অনেকেই এমন বিপাকে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে গত ৬ জুন ভুক্তভোগীদের পক্ষে উপজেলা সদরের ২০ জন গ্রাহক ইউএনওর কাছে লিখিত আকারে জানান। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও মো. মোনাববর হোসেন উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাসকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গত মঙ্গলবার সকালে নাসিরনগর উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা তাঁর কার্যালয়ে শুনানির আয়োজন করেন। এ সময় জেলার বিটিসিএলের কর্মকর্তা ও ভুক্তভোগীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

তবে সাধারণ গ্রাহকদের অনেকেই জানান, তাঁদের বকেয়া বিল উপজেলা বিটিসিএল কার্যালয়ের কর্মচারী তাপস মূখার্জীর কাছে পরিশোধ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন তাঁরা।

উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন কুমার দেব বলেন, ‘আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সময় সব বিল পরিশোধ করে প্রত্যয়ন নিয়েছি, কিন্তু তারপরও আমার নামে ১২ বছরের বিল দেখানো হয়েছে।’

অভিযুক্ত বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) নাসিরনগর অফিসের কর্মচারী তাপস মূখার্জী বলেন, ‘আমি গ্রাহকের সব টাকা সময়মতো জমা করেছি। কী কারণে এত বিল আসল, আমার জানা নেই।’

তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘সব গ্রাহকের কথা শুনেছি। আমি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব। তারপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

জেলার বিটিসিএলের সহকারী ব্যবস্থাপক (রাজস্ব) মো. আমির জাহান খান বলেন, ‘গ্রাহকেরা লাইনের সংযোগ নিয়ে পরে বিচ্ছিন্ন করার জন্য কোনো আবেদন করেননি। ফলে তাঁদের নামে অনেক বিল এসেছে। সবাইকে বিল পরিশোধ করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত