হারুনুর রশিদ, জবি
বিশ্ববিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও খেলাধুলার জন্য মাঠ থাকা আবশ্যক। দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক মাঠ থাকলেও ঠিক উল্টো চিত্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পুরান ঢাকায় ধূপখোলা মাঠটি হাতছাড়া হওয়ার পর কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নে নির্মাণাধীন নতুন ক্যাম্পাসে একটি খেলার মাঠ প্রস্তুত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে মাঠটি খেলার উপযোগী নয় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফুটবল খেলার জন্য নির্ধারণ করা মূল মাঠের এক পাশে একটি বড় গর্ত। সেই গর্তের পাশেই মাঠের সীমানা। সীমানাঘেঁষা অংশ ৫-৭ ফুট গভীর। ফুটবল খেলার সময় খেলোয়াড়েরা দৌড়ে গর্তে পড়লে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া মাঠের অন্য পাশে দেখা গেছে মাটির বড় বড় স্তূপ। স্তূপের পাশে ঝোপঝাড়ের কিছু শক্ত মূল, যা একজন খেলোয়াড়ের জন্য বড় বিপদের কারণ হতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য নেই সুপেয় পানির ব্যবস্থা। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ একটি টিউবওয়েল বসালেও গভীরতা কম হওয়ায় পান করার উপযুক্ত নয় সেই টিউবওয়েলের পানি। অতিরিক্ত আয়রন ও হালকা ময়লাযুক্ত পানি খেয়ে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছে বলে জানা গেছে। মূল মাঠ ছাড়া বসার জন্য একটি রুম করা হলেও সেখানে তালা লাগানো থাকে সব সময়। তপ্ত রোদে বসার জন্য, পান করার জন্য কোনো সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
৫ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় ফুটবল টিমের খেলা থাকায় আপাতত টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। টুর্নামেন্ট সামনে রেখে প্রস্তুতি নিতে শিক্ষার্থীরা মাঠে গিয়ে বিভিন্ন বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। প্রথম সারির এই প্রতিষ্ঠানে খেলার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ বলেন, ‘নতুন মাঠে বিশ্রাম নেওয়া এবং পানি পান করার কোনো ব্যবস্থা নেই। যে টিউবওয়েল আছে, সেটার পানিতে অনেক আয়রন। আমাদের মধ্যে অনেকে পানি না আনায় এগুলো খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া নতুন ক্যাম্পাস এলাকা খুবই নির্জন, এখানে নেই কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা। আমরা রোদের মধ্যে খেলা শেষ করে যে বসব, সে জায়গাটুকুও নেই।’
অপর শিক্ষার্থী সুমন বলেন, ‘মাঠের গর্ত খুবই আতঙ্কের। কখন কে আহত হয় তার ঠিক নেই। এ ছাড়া মাঠটি প্রয়োজনের তুলনায় ছোট। এক গোলবার থেকে বল কিক করলে অন্যবার পার হয়ে যায়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব ছিল শুধু মাঠ নির্মাণ করে দেওয়া। আমরা নির্মাণকাজ শেষ করে ক্রীড়া দপ্তরকে বুঝিয়ে দিয়েছি। গর্তগুলো বৃষ্টির কারণে নতুন করে হয়েছে। এখন কীভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করবে, তা ক্রীড়া দপ্তরের দায়িত্ব।’
ক্রীড়া দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে মাঠের উন্নয়নে কাজ করছি। নতুন করে বাকি কাজ শেষ করা এবং মাঠের সমস্যা সমাধান করা হবে। তবে আমাদের এখন দরকার বিদ্যুৎ, খাওয়ার পানির জন্য টিউবওয়েল বসানো।’
আব্দুল কাদের আরও বলেন, ‘টিউবওয়েলটি বসানো হয়েছে অবকাঠামো উন্নয়নকাজের জন্য, খাওয়ার পানির জন্য নয়। শিক্ষার্থীদের বিশ্রামের জন্য আমরা একটি ছাউনি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কাজ শেষ করতে পারব। এখন শিক্ষার্থীদের সাবধানে খেলার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ হিসেবে রাজধানীর ধূপখোলা মাঠ ব্যবহার করা হতো। সম্প্রতি ধূপখোলা মাঠে সিটি করপোরেশন মার্কেট নির্মাণ শুরু করায় সেখানে খেলার সুযোগ হারায় শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও খেলাধুলার জন্য মাঠ থাকা আবশ্যক। দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক মাঠ থাকলেও ঠিক উল্টো চিত্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পুরান ঢাকায় ধূপখোলা মাঠটি হাতছাড়া হওয়ার পর কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নে নির্মাণাধীন নতুন ক্যাম্পাসে একটি খেলার মাঠ প্রস্তুত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে মাঠটি খেলার উপযোগী নয় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফুটবল খেলার জন্য নির্ধারণ করা মূল মাঠের এক পাশে একটি বড় গর্ত। সেই গর্তের পাশেই মাঠের সীমানা। সীমানাঘেঁষা অংশ ৫-৭ ফুট গভীর। ফুটবল খেলার সময় খেলোয়াড়েরা দৌড়ে গর্তে পড়লে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া মাঠের অন্য পাশে দেখা গেছে মাটির বড় বড় স্তূপ। স্তূপের পাশে ঝোপঝাড়ের কিছু শক্ত মূল, যা একজন খেলোয়াড়ের জন্য বড় বিপদের কারণ হতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য নেই সুপেয় পানির ব্যবস্থা। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ একটি টিউবওয়েল বসালেও গভীরতা কম হওয়ায় পান করার উপযুক্ত নয় সেই টিউবওয়েলের পানি। অতিরিক্ত আয়রন ও হালকা ময়লাযুক্ত পানি খেয়ে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছে বলে জানা গেছে। মূল মাঠ ছাড়া বসার জন্য একটি রুম করা হলেও সেখানে তালা লাগানো থাকে সব সময়। তপ্ত রোদে বসার জন্য, পান করার জন্য কোনো সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
৫ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় ফুটবল টিমের খেলা থাকায় আপাতত টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। টুর্নামেন্ট সামনে রেখে প্রস্তুতি নিতে শিক্ষার্থীরা মাঠে গিয়ে বিভিন্ন বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। প্রথম সারির এই প্রতিষ্ঠানে খেলার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ বলেন, ‘নতুন মাঠে বিশ্রাম নেওয়া এবং পানি পান করার কোনো ব্যবস্থা নেই। যে টিউবওয়েল আছে, সেটার পানিতে অনেক আয়রন। আমাদের মধ্যে অনেকে পানি না আনায় এগুলো খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া নতুন ক্যাম্পাস এলাকা খুবই নির্জন, এখানে নেই কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা। আমরা রোদের মধ্যে খেলা শেষ করে যে বসব, সে জায়গাটুকুও নেই।’
অপর শিক্ষার্থী সুমন বলেন, ‘মাঠের গর্ত খুবই আতঙ্কের। কখন কে আহত হয় তার ঠিক নেই। এ ছাড়া মাঠটি প্রয়োজনের তুলনায় ছোট। এক গোলবার থেকে বল কিক করলে অন্যবার পার হয়ে যায়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব ছিল শুধু মাঠ নির্মাণ করে দেওয়া। আমরা নির্মাণকাজ শেষ করে ক্রীড়া দপ্তরকে বুঝিয়ে দিয়েছি। গর্তগুলো বৃষ্টির কারণে নতুন করে হয়েছে। এখন কীভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করবে, তা ক্রীড়া দপ্তরের দায়িত্ব।’
ক্রীড়া দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে মাঠের উন্নয়নে কাজ করছি। নতুন করে বাকি কাজ শেষ করা এবং মাঠের সমস্যা সমাধান করা হবে। তবে আমাদের এখন দরকার বিদ্যুৎ, খাওয়ার পানির জন্য টিউবওয়েল বসানো।’
আব্দুল কাদের আরও বলেন, ‘টিউবওয়েলটি বসানো হয়েছে অবকাঠামো উন্নয়নকাজের জন্য, খাওয়ার পানির জন্য নয়। শিক্ষার্থীদের বিশ্রামের জন্য আমরা একটি ছাউনি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কাজ শেষ করতে পারব। এখন শিক্ষার্থীদের সাবধানে খেলার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ হিসেবে রাজধানীর ধূপখোলা মাঠ ব্যবহার করা হতো। সম্প্রতি ধূপখোলা মাঠে সিটি করপোরেশন মার্কেট নির্মাণ শুরু করায় সেখানে খেলার সুযোগ হারায় শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪