Ajker Patrika

আকর্ষণের নানা মাত্রা

সম্পাদকীয়
Thumbnail image

বহু বহু বছর আগে কবি ব্রডস্কির সঙ্গে তাঁদের মুখোমুখি দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছিল। খেয়াল করেছিলাম, যতজন কবিকে আমি চিনি, তার মধ্যে একমাত্র তিনিই নিজেকে সগৌরবে এবং সানন্দে কবি বলে উল্লেখ করছেন। কবি শব্দটি নিজের সম্পর্কে প্রয়োগ করতে কোনো দ্বিধা আমি দেখিনি তাঁর মধ্যে। আমার মনে হয়েছে যে যৌবনে যেই নিষ্ঠুর অপমান ও পীড়ন তিনি সহ্য করেছেন, সে কথা মনে করেই তাঁর এই অবাধ উচ্চারণ।

সেই সব দেশে মানুষের মর্যাদা চটজলদি খসিয়ে ফেলা হয় না, সেখানে কবিরা অবশ্যই চান তাঁদের লেখা প্রকাশিত হোক, লোকে পড়ুক এবং বুঝুক। কিন্তু তাঁরা এমন কিছু করতে চান না যা তাঁদের প্রতিদিনের গ্লানি এবং মামুলি মিছিলের থেকে ওপরে নিয়ে যাবে। এই শতকের প্রথম দশকগুলোতেও কবিরা আমাদের চমকে দিতেন তাঁদের আড়ম্বরপূর্ণ পোশাক আর বিশুদ্ধ পাগলামোতে। তবে সে সবই ছিল লোক দেখানোর জন্য। এমন সময় অনেক এসেছে, যখন কবি তাঁর দরজা বন্ধ করে নিজেদের পদমর্যাদা অলংকার বসনভূষণ ছেড়ে নীরবে নিজের মুখোমুখি হয়েছেন।

একজন বিজ্ঞানী বা শিল্পীর জীবনীমূলক ছবি বানানোর যে হিড়িক উঠেছে, তা নেহাতই কাকতালীয় নয়। তাঁদের ছবিতে পাওয়া যায় অনেক রং, আকর্ষণের নানা মাত্রা। গবেষণাগার, নানা রকম যন্ত্রপাতি, মেশিনকে প্রাণ দেওয়া হয় ক্যামেরায়, দর্শকের আগ্রহও তৈরি হয়।

গবেষণার সেই মহান অনিশ্চয়তার মুহূর্তগুলো, হাজারবার একই জিনিস করার পরে সামান্যতম রদবদলে কি প্রার্থিত সাফল্য আসছে? খুবই নাটকীয়তা রয়েছে এর মধ্যে। একজন শিল্পীর জীবন নিয়ে ছবি করা তো আরও চিত্তাকর্ষক। কোনো বিখ্যাত পেইন্টিংয়ের প্রথম পেনসিলের আঁচড় কাটা থেকে শেষ স্ট্রোকটি পর্যন্ত তুলে ধরা যায় ফিল্মে। একজন সংগীতশিল্পীকে নিয়ে ছবি বানানো হলে তা প্রথম দৃশ্য থেকেই ভরে থাকে সুরে। তবে এসবই ওপর ওপর দেখা, একজন স্রষ্টার প্রেরণার দিকটি সব সময় এতে উন্মোচিত হয় না।

পোলিশ কবি উইস্লাওয়া সিমবোরস্কা ১৯৯৬ সালে নোবেল পুরস্কার পান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত