Ajker Patrika

খেজুর গুড়ে ভেজাল

তেরখাদা প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২১, ১৭: ০২
খেজুর গুড়ে ভেজাল

তেরখাদা উপজেলার হাট বাজারগুলোতে শীতের পিঠাপুলি তৈরির অন্যতম উপকরণ খেজুর গুড়ে বিষাক্ত রং, হাইড্রোজ, সোডা, ফিটকিরি, পাথুরে চুন ও চিনি মেশানোর অভিযোগ তুলেছেন ভোক্তারা। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। খেজুরের গুড়ে ভেজাল দেওয়া বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা।

জানা গেছে, শীত মৌসুমের আগেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে পিঠাপুলি বানানোর আমেজ। তাই চাহিদা বেড়েছে পাটারী ও খেজুর গুড়ের। তেরখাদা, জয়সেনা ও কাটেংগা বাজার ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন গুড় ব্যবসায়ী ও মুদি দোকানিরা গুড় বিক্রি করছেন। বেশি লাভের জন্য শীতের আগেই খুলনার পাইকারী বাজার থেকে ভেজাল পাটারী ও খেজুর গুড় কিনে আনছেন তাঁরা।

গুড় ব্যবসায়ী রাসেল শেখ বলেন, ‘আমরা বাইরে থেকে পাইকারী দরে গুড় কিনে এনে বিক্রি করছি। ভেজালের বিষয়টা আমার জানা নেই।’

কাটেংগা বাজার থেকে ১ কেজি খেজুর গুড় ক্রয় করেন স্থানীয় সবুজ রায়। তিনি বলেন, ‘পিঠা খাওয়ার জন্য দুধের সঙ্গে গুড় মিশালে দুধ নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া খেজুরের গুড়ের কোনো স্বাদ-গন্ধ নেই। পরে বুঝলাম গুড়ে ভেজাল আছে। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার ইখড়ি ও কাটেংগা এলাকার কয়েকজন গাছি জানান, নিম্নমানের ঝুলা ও নরম গুড় গলিয়ে তাতে চিনি, রং, হাইড্রোজ, সোডা, ফিটকিরি, পাথুরে চুন ও বিশেষ গাছের ছালের গোড়া দিয়ে গুড় তৈরি করা হয় এসব ভেজাল গুড়। গুড়ের রং সাদা ও গুড় শক্ত করতে মেশানো হয় চিনি। এদিকে এসব গুড় খেয়ে শিশু ও বৃদ্ধসহ অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

এ ব্যাপারে তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘চিনি মিশ্রিত গুড় খেলে পেটের পীড়াসহ নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে এসব ভেজাল গুড় ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত