Ajker Patrika

এখনো মামলা করেনি কেউ মালিক পলাতক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ০০
এখনো মামলা করেনি কেউ মালিক পলাতক

পুরান ঢাকার চকবাজারের রুমানা রাবার ইন্ডাস্ট্রি নামে জুতার কারখানায় আগুনে পুড়ে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। আপাতত একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নথিভুক্ত করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনার পরপরই গা-ঢাকা দিয়েছেন কারখানার মালিক হাজি রফিক। তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

এদিকে পুড়ে যাওয়া মরদেহগুলোর পরিচয় নিশ্চিতের জন্য মৃতদের সাত স্বজনের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে সিআইডি।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জুতার কারখানায় আগুনে আমিনুল ইসলাম (৩৫), মনির হোসেন মির্জা (৩২), আব্দুর রহমান রুবেল (৪০), শামীম মিয়া (৩৫) ও কামরুল হাসান (২৬) মারা যান। কারখানায় রাসায়নিকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় এবং বের হওয়ার সরু সিঁড়ি থাকায় ঘুমন্ত এই পাঁচ শ্রমিক মারা যান। বেঁচে যাওয়া শ্রমিকেরা জানান, দুই পালায় ১২ ঘণ্টা করে ৪৫ জন শ্রমিক ওই কারখানায় কাজ করেন। সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা কাজ করেন ৩০ জন এবং রাতের পালায় ১৫ জন। রাতের পালার কাজ চলার সময় বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে নিচতলার রাসায়নিক পদার্থের গুদাম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন শ্রমিকেরা। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। চিৎকার করে শ্রমিকেরা বের হয়ে আসেন। কিন্তু দ্বিতীয় তলায় ঘুমন্ত শ্রমিকদের পাঁচজন বের হতে পারেননি। মৃত্যুর কারণ হিসেবে শ্রমিকেরা বলেন, গুদামে ৫০ বস্তা ও ২৫টি ড্রাম ভর্তি ছিল রাসায়নিক। দ্বিতীয় তলার খুপরিঘর থেকে বের হওয়ার জন্য কারখানার ভেতরেই ছোট একটি সিঁড়ি। সেই সরু সিঁড়ি দিয়ে শ্রমিকেরা বের হতে পারেননি।

এ ঘটনার পর থেকেই কারখানার মালিকের গাফিলতির বিষয়টি সামনে উঠে আসে। তবে গতকাল শনিবার পর্যন্ত কারখানার মালিক রফিককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। চকবাজার থানা-পুলিশ বলছে, রফিক পালিয়ে গেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা শোকার্ত থাকায় মামলা করতে দেরি হচ্ছে। একান্তই যদি স্বজনেরা মামলা না করেন, তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।

চকবাজার থানার এসআই উদয়ন বিকাশ বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাঁচটি মরদেহ হস্তান্তরের জন্য সাতজনের ডিএনএ নেওয়া হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মা-বাবা ও সন্তানদের যেকোনো একজনের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। ভাই-বোন দাবিদার হলে দুজনের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। মরদেহ দেখে চিনতে না পারায় ডিএনএর সঙ্গে মিলিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত