নুরুল আমীন রবীন, শরীয়তপুর
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে হঠাৎ বেড়েছে জ্বর, ঠান্ডা ও কাশিজনিত রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ৪০ শতাংশই শিশু। রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বাড়ায় হাসপাতালটিতে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সেবিকারা।
তা ছাড়া শয্যাসংকটও প্রকট। শয্যা না পেয়ে হাসপাতালের বারান্দা ও করিডরের মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে ভর্তি হওয়া অন্তত ৫০ শতাংশ রোগীকে। ফ্যান না থাকায় তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন রোগী ও রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনেরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ৫১টি। অথচ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য পড়ে আছে চিকিৎসকদের ৩১টি পদ। আর ৮২ জন নার্সের পদ থাকলেও পদায়ন করা হয়েছে ৫৯ জন। গত মাসের ২৬ তারিখ থেকে হাসপাতালে আন্ত ও বহির্বিভাগে রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ রোগীকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। আর ১০০ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন গড়ে রোগী ভর্তি থাকছে ১৮০ থেকে ২০০ জন। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা অর্ধেকের বেশি।
শিশুর জ্বর ও ঠান্ডাজনিত রোগের উপসর্গ নিয়ে ৩ অক্টোবর হাসপাতাল আসেন রুদ্রকর গ্রামের মতি ফরায়জী। পরে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন চিকিৎসক। ওই দিন দুপুরে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত শিশুটির জন্য কোনো সিট পাননি তিনি। হাসপাতালের মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডের সিঁড়ির পাশের মেঝেতে কোনো রকমে চাদর বিছিয়ে ছেলের চিকিৎসা করাতে হচ্ছে তাঁকে। মতি ফরায়জী বলেন, ‘অসুস্থ শিশুটি নিয়ে তিন দিন ধরে নোংরা পরিবেশে থাকতে হচ্ছে। এখানে কোনো ফ্যান না থাকায় শিশুটিসহ আমরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছি। সারা দিন সিঁড়ি দিয়ে মানুষ ওঠানামা করে। তখন প্রচুর ধুলাবালি আমাদের শরীরে পড়ে।’
মতি ফরায়জীর শিশুসন্তানের মতো এমন আরও অন্তত ৬০ থেকে ৭০ জন শিশু ও নারীসহ অন্য রোগীদের ভাগ্যেও জোটেনি হাসপাতালের শয্যা। ফলে প্রচণ্ড গরমে অন্ধকার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে তাঁদের।
জেলা শহরের শান্তিনগর আবাসিক এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে এসে ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও নাতিকে ডাক্তার দেখাতে পারেননি ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ আম্বিয়া খাতুন। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও নাতিকে ডাক্তার দেখাতে পারিনি। রোগী আসছে শত শত। ডাক্তার মাত্র একজন। আমি বুড়ো মানুষ। ভিড় ঠেলে ডাক্তারের কাছে যেতে পারিনি। তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। কাল (আজ বৃহস্পতিবার) আবার আসতে হবে। কী আর করা।’
হাসপাতালে কর্মরত শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফিরোজ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১০ দিন ধরে আউটডোর ও ইনডোরে প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক শিশু চিকিৎসা নিতে আসছে। চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের মধ্যে জ্বর, ঠান্ডা ও কাশিজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাই বেশি। আবহাওয়া পরিবর্তনের কিছুটা প্রভাবের কারণে এমনটি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনীর আহমদ খান বলেন, ‘বর্তমানে হাসপাতালটিতে ১৮৭ জন রোগী ভর্তি আছে। অথচ আমাদের সিট রয়েছে ১০০টি। হাসপাতালে বারান্দা ও মেঝেতে জরুরি ভিত্তিতে বিছানার ব্যবস্থা করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া চিকিৎসকসংকট থাকায় সেবা দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।’
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে হঠাৎ বেড়েছে জ্বর, ঠান্ডা ও কাশিজনিত রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ৪০ শতাংশই শিশু। রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বাড়ায় হাসপাতালটিতে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সেবিকারা।
তা ছাড়া শয্যাসংকটও প্রকট। শয্যা না পেয়ে হাসপাতালের বারান্দা ও করিডরের মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে ভর্তি হওয়া অন্তত ৫০ শতাংশ রোগীকে। ফ্যান না থাকায় তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন রোগী ও রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনেরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ৫১টি। অথচ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য পড়ে আছে চিকিৎসকদের ৩১টি পদ। আর ৮২ জন নার্সের পদ থাকলেও পদায়ন করা হয়েছে ৫৯ জন। গত মাসের ২৬ তারিখ থেকে হাসপাতালে আন্ত ও বহির্বিভাগে রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ রোগীকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। আর ১০০ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন গড়ে রোগী ভর্তি থাকছে ১৮০ থেকে ২০০ জন। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা অর্ধেকের বেশি।
শিশুর জ্বর ও ঠান্ডাজনিত রোগের উপসর্গ নিয়ে ৩ অক্টোবর হাসপাতাল আসেন রুদ্রকর গ্রামের মতি ফরায়জী। পরে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন চিকিৎসক। ওই দিন দুপুরে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত শিশুটির জন্য কোনো সিট পাননি তিনি। হাসপাতালের মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডের সিঁড়ির পাশের মেঝেতে কোনো রকমে চাদর বিছিয়ে ছেলের চিকিৎসা করাতে হচ্ছে তাঁকে। মতি ফরায়জী বলেন, ‘অসুস্থ শিশুটি নিয়ে তিন দিন ধরে নোংরা পরিবেশে থাকতে হচ্ছে। এখানে কোনো ফ্যান না থাকায় শিশুটিসহ আমরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছি। সারা দিন সিঁড়ি দিয়ে মানুষ ওঠানামা করে। তখন প্রচুর ধুলাবালি আমাদের শরীরে পড়ে।’
মতি ফরায়জীর শিশুসন্তানের মতো এমন আরও অন্তত ৬০ থেকে ৭০ জন শিশু ও নারীসহ অন্য রোগীদের ভাগ্যেও জোটেনি হাসপাতালের শয্যা। ফলে প্রচণ্ড গরমে অন্ধকার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে তাঁদের।
জেলা শহরের শান্তিনগর আবাসিক এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে এসে ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও নাতিকে ডাক্তার দেখাতে পারেননি ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ আম্বিয়া খাতুন। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও নাতিকে ডাক্তার দেখাতে পারিনি। রোগী আসছে শত শত। ডাক্তার মাত্র একজন। আমি বুড়ো মানুষ। ভিড় ঠেলে ডাক্তারের কাছে যেতে পারিনি। তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। কাল (আজ বৃহস্পতিবার) আবার আসতে হবে। কী আর করা।’
হাসপাতালে কর্মরত শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফিরোজ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১০ দিন ধরে আউটডোর ও ইনডোরে প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক শিশু চিকিৎসা নিতে আসছে। চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের মধ্যে জ্বর, ঠান্ডা ও কাশিজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাই বেশি। আবহাওয়া পরিবর্তনের কিছুটা প্রভাবের কারণে এমনটি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনীর আহমদ খান বলেন, ‘বর্তমানে হাসপাতালটিতে ১৮৭ জন রোগী ভর্তি আছে। অথচ আমাদের সিট রয়েছে ১০০টি। হাসপাতালে বারান্দা ও মেঝেতে জরুরি ভিত্তিতে বিছানার ব্যবস্থা করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া চিকিৎসকসংকট থাকায় সেবা দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫