শিমুল চৌধুরী, ভোলা
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার জনপ্রিয়তায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বাঁশশিল্পে ধস নেমেছে। ফলে এ শিল্পে জড়িতরা পড়েছেন বেকায়দায়। অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছেন এবং বাধ্য হয়ে অনেকে ছাড়েন এই পেশা। ভোলায় বিলুপ্তির পথে এই বাঁশশিল্প।
তাঁরা চাচ্ছেন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। বিক্ষিপ্তভাবে সহযোগিতার সুযোগ নেই বলে বলছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সুযোগ এলে তাঁদের সহযোগিতা করা হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ভোলায় বর্তমানে বাঁশশিল্পের চাহিদা কমেছে। বেড়েছে প্লাস্টিকসামগ্রীর ব্যবহার। এর সঙ্গে কারিগরেরা পাচ্ছেন না পণ্যের ন্যায্যমূল্য। ফলে বাঁশের তৈরি পণ্য দিন দিন যাচ্ছে হারিয়েছে। কারিগরেরা পেশাও পরিবর্তন করছেন। অথচ একসময় গ্রাম থেকে শহরের ঘরগুলোয় বাঁশশিল্পের পণ্য সাজাতে দেখা যেত। এখন সেখানে জায়গা করে নিয়েছে প্লাস্টিকপণ্য। প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাব, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়া, বাঁশের উপকরণের দাম বৃদ্ধি, প্লাস্টিকপণ্যের সহজলভ্যতায় বাঁশশিল্প বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। এতে বাঁশের তৈরি সামগ্রীর কারিগরেরা এখন অস্তিত্ব সংকটে।
জেলার সর্বদক্ষিণের উপজেলা চরফ্যাশনের বিভিন্ন হাটবাজারে বাঁশশিল্প নিয়ে বসে রয়েছেন বিক্রেতা। কিন্তু ক্রেতার দেখা নেই। চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় বাঁশের তৈরি সামগ্রী বিক্রি করতে আসা মো. শাজাহান সোয়াল বলেন, ‘একসময় বাঁশ দিয়ে বানানো মাছ রাখার খলই, ডুলি, চালা, ঢাকি কুলা, খাঁচা, চলনি, চাটাই, ঝুড়ি পলো, ডারকির খুব চাহিদা ছিল। তখন এসব সামগ্রী বাজারে আনার পর ক্রেতা সামলাতে হিমশিম খেতে হতো। লাভও হতো। তাতেই সংসার চলত স্বাচ্ছন্দ্যে। কিন্তু এখন হাটে আসা-যাওয়ার ভ্যানভাড়াই ওঠে না। সংসারের খরচ তো পরের কথা। আগে প্রতি হাটে ৩-৪ হাজার টাকা বিক্রি হতো। বর্তমানে হয় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।’
নয়া মিয়া ব্যাপারী বলেন, ‘বাঁশশিল্পের মতো দেখতে প্লাস্টিকপণ্য বানাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ওইসব পণ্যই ক্রয় করেন ক্রেতারা। এই জন্য বাজারে বাঁশের তৈরি পণ্যের ক্রেতা নেই বললেই চলে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাঁশশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারেন।’
জানতে চাওয়া হলে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নোমান রাহুল বলেন, ‘আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাঁশের তৈরি সামগ্রীর আদলে প্লাস্টিকের পণ্য বানাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ কারণে বিপাকে পড়েছেন এ পেশার মানুষ। তবে বিচ্ছিন্নভাবে তাঁদের সহযোগিতা করার কোনো সুযোগ নেই। সরকারি সহায়তা দেওয়ার সুযোগ থাকলে তা অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার জনপ্রিয়তায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বাঁশশিল্পে ধস নেমেছে। ফলে এ শিল্পে জড়িতরা পড়েছেন বেকায়দায়। অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছেন এবং বাধ্য হয়ে অনেকে ছাড়েন এই পেশা। ভোলায় বিলুপ্তির পথে এই বাঁশশিল্প।
তাঁরা চাচ্ছেন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। বিক্ষিপ্তভাবে সহযোগিতার সুযোগ নেই বলে বলছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সুযোগ এলে তাঁদের সহযোগিতা করা হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ভোলায় বর্তমানে বাঁশশিল্পের চাহিদা কমেছে। বেড়েছে প্লাস্টিকসামগ্রীর ব্যবহার। এর সঙ্গে কারিগরেরা পাচ্ছেন না পণ্যের ন্যায্যমূল্য। ফলে বাঁশের তৈরি পণ্য দিন দিন যাচ্ছে হারিয়েছে। কারিগরেরা পেশাও পরিবর্তন করছেন। অথচ একসময় গ্রাম থেকে শহরের ঘরগুলোয় বাঁশশিল্পের পণ্য সাজাতে দেখা যেত। এখন সেখানে জায়গা করে নিয়েছে প্লাস্টিকপণ্য। প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাব, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়া, বাঁশের উপকরণের দাম বৃদ্ধি, প্লাস্টিকপণ্যের সহজলভ্যতায় বাঁশশিল্প বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। এতে বাঁশের তৈরি সামগ্রীর কারিগরেরা এখন অস্তিত্ব সংকটে।
জেলার সর্বদক্ষিণের উপজেলা চরফ্যাশনের বিভিন্ন হাটবাজারে বাঁশশিল্প নিয়ে বসে রয়েছেন বিক্রেতা। কিন্তু ক্রেতার দেখা নেই। চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় বাঁশের তৈরি সামগ্রী বিক্রি করতে আসা মো. শাজাহান সোয়াল বলেন, ‘একসময় বাঁশ দিয়ে বানানো মাছ রাখার খলই, ডুলি, চালা, ঢাকি কুলা, খাঁচা, চলনি, চাটাই, ঝুড়ি পলো, ডারকির খুব চাহিদা ছিল। তখন এসব সামগ্রী বাজারে আনার পর ক্রেতা সামলাতে হিমশিম খেতে হতো। লাভও হতো। তাতেই সংসার চলত স্বাচ্ছন্দ্যে। কিন্তু এখন হাটে আসা-যাওয়ার ভ্যানভাড়াই ওঠে না। সংসারের খরচ তো পরের কথা। আগে প্রতি হাটে ৩-৪ হাজার টাকা বিক্রি হতো। বর্তমানে হয় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।’
নয়া মিয়া ব্যাপারী বলেন, ‘বাঁশশিল্পের মতো দেখতে প্লাস্টিকপণ্য বানাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ওইসব পণ্যই ক্রয় করেন ক্রেতারা। এই জন্য বাজারে বাঁশের তৈরি পণ্যের ক্রেতা নেই বললেই চলে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাঁশশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারেন।’
জানতে চাওয়া হলে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নোমান রাহুল বলেন, ‘আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাঁশের তৈরি সামগ্রীর আদলে প্লাস্টিকের পণ্য বানাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ কারণে বিপাকে পড়েছেন এ পেশার মানুষ। তবে বিচ্ছিন্নভাবে তাঁদের সহযোগিতা করার কোনো সুযোগ নেই। সরকারি সহায়তা দেওয়ার সুযোগ থাকলে তা অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪