Ajker Patrika

মুলাদীতে অচল সংযোগেও গুনতে হয় টেলিফোনের বিল

আরিফুল হক তারেক, মুলাদী (বরিশাল)
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ১৭
মুলাদীতে অচল সংযোগেও গুনতে হয় টেলিফোনের বিল

মুলাদীতে দীর্ঘদিন ধরে অকেজো বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এর ল্যান্ডফোন সংযোগ। সাধারণ গ্রাহকদের সংযোগ না থাকলেও সরকারি দপ্তরের সংযোগগুলো নামে বহাল রয়েছে। তবে সেগুলো অচল। কিন্তু বছর শেষে মাসিক ন্যূনতম বিল দিতে হচ্ছে তাদের। এতে সরকারি টাকা গচ্চা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া দুজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা দেওয়ায় প্রতি মাসেই রাজস্ব খরচ হচ্ছে।

জানা যায়, পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি না থাকায় এবং সেবার মান কমে যাওয়ায় গ্রাহক হারিয়েছে বিটিসিএল। এ ছাড়া পৌর এলাকায় পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও পাইপ লাইন স্থাপনের সময় টেলিফোনের তার কাটা পড়ায় বিটিসিএলের সংযোগগুলো পুরোপুরি অচল হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ওই দপ্তরের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, উপজেলার তার ও টেলিফোন বোর্ড ১৯৯৭ সালের শেষের দিকে ডিজিটাল এক্সচেঞ্জে উন্নীত করা হয়। পরে পৌর এলাকায় কিছু সংযোগ বাড়ানো হয়। ওই সময় অনেক বাড়িতে টেলিফোন সংযোগ ছিল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা মৎস্য, মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে টেলিফোন ছিল। ২০০৫-২০০৬ সালের দিকে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক বাড়লে ধীরে ধীরে টেলিফোনের ব্যবহার কমতে থাকে। এ ছাড়া সেবার মান কমে যাওয়ায় অনেকে টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। জানা যায়, অচল হলেও ৬৫টি সংযোগের মাসিক বিল নেওয়া হয় বর্তমানে।

মুলাদী বন্দরের গ্রাহক বাচ্চু হাওলাদার জানান, ২০০৮ সালে জুলাই মাসে বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ডের (বিটিটিবি) নাম বদলে বিটিসিএল করা হয়। আশা ছিল সেবার মান বাড়বে। কিন্তু সেবার মানের কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় অনেকেই বিটিসিএলের ল্যান্ড ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। বর্তমানে দুই-একজন বাইরের গ্রাহক রয়েছেন। বাকি সবই সরকারি দপ্তরের সংযোগ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ হোসাইনী বলেন, সরকারি বেশ কিছু দপ্তরে বিটিসিএলের সংযোগ রয়েছে। কিন্তু সবগুলো অচল। লাইন টিকিয়ে রাখতে ন্যূনতম বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর সেবার মান উন্নত করলে সংযোগের চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিটিসিএলের মুলাদী কার্যালয়ের লাইনম্যান মো. লিটন সরদার জানান, সরকারি দপ্তর ছাড়া মুলাদীতে বিটিসিএলের মাত্র ২-১ জন গ্রাহক আছে। কার্যালয়ের যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যাওয়ায় সবকিছু অকেজো হয়ে পড়েছে। যন্ত্রপাতির চাহিদা দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন দপ্তর উন্নত যন্ত্রপাতি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু পৌর এলাকায় পাইপ লাইন স্থাপন ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা করার সময় বেশ কিছু তার কাটা পড়েছে। তাই যন্ত্রপাতি স্থাপনের পর নতুন করে তার স্থাপন করতে পারলে বিটিসিএল সেবা চালু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত